মুনাফিকের আলামত
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃচারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়।
১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে;
২. কথা বললে মিথ্যা বলে;
৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং
৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃমুনাফিকদের জন্য ফজর ও ‘ইশার সালাত অপেক্ষা অধিক ভারী সালাত আর নেই।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ মু’মিন ছাড়া আনসারদেরকে কেউ ভালবাসবে না এবং মুনাফিক ছাড়া কেউ তাঁদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে না। যে ব্যক্তি তাঁদেরকে ভালবাসবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ভালবাসবেন আর যে ব্যক্তি তাঁদের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ঘৃণা করবেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৭৮৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ আনসারদের প্রতি ভালবাসা ঈমানেরই নিদর্শন এবং তাঁদের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ রাখা মুনাফিকীর নিদর্শন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫১০)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৭৮৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
যির ইবন হুবায়শ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আলী (রা) বলেছেন, রাসূলুল্লাহু (সাঃ) আমার নিকট অঙ্গীকার করে বলেছেন : কেবল মু'মিনই আমার সাথে মহব্বত রাখবে, আর মুনাফিকই আমার প্রতি শক্ৰতা পোষণ করবে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫০২২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবু মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার উদাহরণ যেন কমলালেবু, এর স্বাদ ও ঘ্রাণ উভয়ই উত্তম, আর যে মু’মিন কুরআন পড়ে না, তার উদাহরণ যেন খুরমা, যার স্বাদ উত্তম, কিন্তু কোনও ঘ্রাণ নেই। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে, সে যেন রায়হানা ফুল, যার ঘ্রাণ তো উত্তম, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না সে যেন হানযালা ফল, এর স্বাদ তিক্ত আবার ঘ্রাণও নেই।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫০৩৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃতোমরা মুনাফিক মানুষকে নেতা হিসাবে গ্রহণ কর না। যদি নেতা মুনাফিক হয়, তাহলে তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করলে। অন্য বর্ণনায় আছে যখন কোন ব্যক্তি মিথ্যুক মুনাফিক ব্যক্তিকে বলে, হে আমার নেতা! তখন সে তার প্রতিপালককে রাগান্বিত করল’ (আবুদাঊদ হা/৪৯৭৭; আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৪১৭৫)।
ঊপদেশ, হাদিস নং ৪৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
১। গান-বাজনায় মগ্ন থাকা :(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯২৭)
২। ধোঁকা দেওয়া : (সুরা বাকারা, আয়াত : ৮-১০)
৩। মিথ্যা বলা : (সুরা মুনাফিকুন, আয়াত : ১)
৪। দ্বিমুখী আচরণ : (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৬১)
৫। বাচাল হওয়া : (তিরমিজি, হাদিস : ২০২৭)
৬। অশ্লীলতা পছন্দ করা : (সুরা তাওবা, আয়াত : ৬৭)
৭। ওয়াদা ভঙ্গ করা : (বুখারি, হাদিস : ৬০৯৫)
৯। নামাজে অলসতা : (সুরা নিসা,আয়াত : ১৪২)
১০। জামাতে অংশগ্রহণ না করা : (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৪)
১১। ফাসাদ সৃষ্টিকারী ঃ [২:১২] আল বাকারা
১২। মুমিনদের নির্বোধ মনে করেঃ[২:১৩] আল বাকারা
১৩।উপহাসকারি[২:১৫] আল বাকারা
২। প্রতারক ও ধোঁকাবাজ : (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৯)
৩। তাদের অন্তর অসুস্থ : (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ১০)
৪। নিজেদের শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী মনে করে : (সুরা : বাকারা, আয়াত :
১২)
৮। অবাধ্যতার বিভ্রান্তিতে ঘুরে বেড়ায় : (সুরা বাকারা-১৬)
৯। ভ্রষ্টতা ক্রয় করে : (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৬)
১০। তারা আলোর কাছে আসে না: (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭)
১১। তারা বধির, মূক ও অন্ধ : (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮)
১২। তারা সন্দেহপ্রবণ, দ্বিধাগ্রস্ত ও সুবিধাবাদী : (সুরা : বাকারা,
আয়াত : ১৯)
১৩। সুসময়ের সঙ্গী : (সুরা : মুনাফিকুন, আয়াত : ১)
১৫। আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টিকারী : (সুরা : মুনাফিকুন, আয়াত : ২)
১৬। অহংকারী : (সুরা : মুনাফিকুন, আয়াত : ৬)
১৭। প্রতারক : (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৩-১৪৪)
কি কি কারণে রহমতের ফেরেশতা আসে না
Comments
Post a Comment