উম্মত নয়

১. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যারা শোকে গণ্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে ও জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।

  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১২৯৮

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস





২.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক আমাদের বিপক্ষে অস্ত্র ধারণ করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। 

  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৮৭৪

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



৩.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজ পিতার পরিবর্তে অন্য কাউকে পিতা বলে, সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি এমন কিছু দাবী করে যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয় এবং সে যেন জাহান্নামে তার আবাসস্থল বানিয়ে নেয়। আর কেউ কাউকে ‘কাফির’ বলে ডাকলে বা ‘আল্লাহর দুশমন’ বলে ডাকল, যদি সে তা না হয় তাহলে এ কুফরী সম্বোধনকারীর প্রতি ফিরে আসবে।

  


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১২০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয় আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দিবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়” (ই.ফা. ১৮৫; ই.সে. ১৯১)

  


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৮৪

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


 


৫.ফুকায়ম লাখমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


উকবা ইব্‌ন আমির (রাঃ)-কে বললেন, এই দুই লক্ষ্যস্থলের মধ্যে বারবার আনাগোনা করা এই বৃদ্ধ বয়সে নিশ্চয়ই আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে থাকবে।  তিনি বললেন, আমি যদি একটি কথা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট থেকে না শুনতাম, তবে এ কষ্ট করতাম না।  রাবী হারিছ বলেন, আমি ইব্‌ন শামাসাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, সে কথাটি কি? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি তীর পরিচালনা শিখলো তারপর তার অভ্যাস ছেড়ে দিল সে আমাদের (উম্মতের দলভুক্ত) নয়।  অথবা তিনি বলেছেন, সে পাপ করলো।

  


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৮৪৩

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



৬.আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


সাহাবায়ে কিরাম-এর একদলের কেউ কেউ বললেনঃ আমি নারীদের বিয়ে করবো না। কেউ বললেনঃ আমি গোশত আহার করবো না। আর কেউ বললেনঃ আমি বিছানায় শয়ন করবো না। আবার কেউ বললেনঃ এমন সিয়াম পালন করব, আর কখনও সিয়াম ভঙ্গ করবো না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা শ্রবণ করে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করে বললেনঃ লোকদের কি হলো – যারা এমন এমন কথা বলে! কিন্তু আমি (রাতের) কিছু অংশে সালাত আদায় করি, আবার নিদ্রা যাই; সিয়াম পালন করি আবার ভঙ্গ করি এবং নারিদের বিয়ে করি। যে আমার সুন্নাত হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।

  


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩২১৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, ঈড়ড


৭.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ ইসলামে জালাব, জানাব ও শিগার নেই। আর যে ব্যক্তি লুন্ঠন করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

  


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৫৯০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



৮.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ ইসলামে জালাব [১]  জানাব [২] এবং শিগার নেই। আর যে ব্যক্তি লুট করে কিছু আত্মসাৎ করে , সে আমাদের দলভুক্ত নয়।



ফুটনোটঃ

[১] যাকাত আদায়কারী কর্তৃক যাকাত দাতাদের স্থানে না গিয়ে নির্ধারিত স্থানে মাল সম্পদ নিয়ে আসতে বাধ্য করাকে জালব বলা হয়।

[২] জনপদের শেষ প্রান্তে যাকাত আদায়কারী কর্তৃক চৌকী স্থাপন করা এবং সেখানে বসে যাকাতদাতাদের কাছে না গিয়ে যাকাত আদায় করা। অথবা যাকাতদাতা কর্তৃক তার মাল সম্পদ দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যাওয়া, যাতে যাকাত আদায়কারী অসুবিধায় পড়েন। 


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৩৩৫

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD



৯.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি মোচ কাটে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

  


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫০৪৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



১০.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যাক্তি মধুর সূরে কুরআন পাঠ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৬৯

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



১১.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি আমানতের উপর শপথ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।  



  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩২৫৩

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



১২.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।

  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৩১

হাদিসের মান: হাসান সহিহ




১৩.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা ক্রীতদাসকে তাঁর মনিবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৭০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


১৪.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি তাদের প্রতিশোধের ভয়ে সাপ (না মেরে) ছেড়ে দিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। যখন হতে এগুলোর সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকে আমরা এগুলোকে নিরাপদে ছেড়ে দেইনি।

  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫২৫০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



১৫.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃবিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী-নাসারাদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহূদীগণ আঙ্গুলের ইশারায় এবং নাসারাগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়।





জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৬৯৫

হাদিসের মান: হাসান হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, ঈড়ড


১৬.সে আমার দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান জানে না।’




রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৩৫৯

হাদিসের মান: হাসান হাদিস



১৭.সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের উপর অস্ত্র তোলে। আর যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়।’’





রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৫৮৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


১৮.যে ব্যক্তিকে তীরন্দাজির বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হল, তারপর সে তা পরিত্যাগ করল, সে আমাদের দলভুক্ত নয় অথবা সে অবাধ্যতা করল।”




রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৩৪২

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস






১৯.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃযে কারো স্ত্রী অথবা কারো ভৃত্যকে প্ররোচনা বা প্রলোভন দ্বারা নষ্ট করবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’





রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৫৯১

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, ঈড়ড



২০.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি জ্ঞাতসারে অন্যকে নিজের বাপ বলে দাবী করে, সে কুফরী করে। যে ব্যক্তি এমন কিছু দাবী করে, যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। আর সে যেন নিজস্ব বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। আর যে ব্যক্তি কাউকে ‘কাফের’ বলে ডাকে বা ‘আল্লাহর দুশমন’ বলে, অথচ বাস্তবে যদি সে তা না হয়, তাহলে তার (বক্তার) উপর তা বর্তায়।’’





রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৮১৪

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


২১.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ বিতর সলাত জরুরী বা অবধারিত । অতএব যে তা আদায় না করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয় (অর্থাৎ আমাদের অনুসারী নয়)। 




বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ৩৭৪

হাদিসের মান: হাসান হাদিস



২২.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃসে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি (কোন বস্তু, ব্যক্তি কর্ম বা কালকে) অশুভ লক্ষণ বলে মানে অথবা যার জন্য অশুভ লক্ষণ দেখা (পরীক্ষা) করা হয়, যে ব্যক্তি (ভাগ্য) গণনা করে অথবা যার জন্য (ভাগ্য) গণনা করা হয়। আর যে ব্যক্তি যাদু করে অথবা যার জন্য (বা আদেশে) যাদু করা হয়।” 


হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ৫০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



২৩.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃসে ব্যক্তি আমার উম্মতের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদের বড়দেরকে সম্মান দেয় না, ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আলেমের অধিকার চেনে না।

  


হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৫৫৫

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



২৪.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি শাসকের আনুগত্য থেকে বের হয়ে এবং জামাআত থেকে পৃথক হয়ে মারা যাবে সে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের মরণ মরবে।

যে ব্যক্তি অন্ধ ফিতনার পতাকাতলে (হক-নাহক না জেনেই) যুদ্ধ করবে, অন্ধ পক্ষপাতিত্ব বা গোঁড়ামির ফলে ক্রুদ্ধ হবে অথবা অন্ধ পক্ষপাতিত্বের প্রতি আহবান করবে অথবা অন্ধ পক্ষপাতিত্বকে সাহায্য করবে, অতঃপর সে খুন হলে তার খুন জাহেলিয়াতের খুন।

আর যে ব্যক্তি আমার উম্মতের বিরুদ্ধে তরবারি বের করে ভালো-মন্দ সকল মানুষকে হত্যা করবে এবং তার মুমিনকেও হত্যা করতে ছাড়বে না, চুক্তিবদ্ধ মানুষের চুক্তিও পূরণ করবে না, সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয় এবং আমিও তার দলভুক্ত নই।” (আহমাদ ৭৯৪৪, মুসলিম ৪৮৯২)

  


হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৬৪০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


২৫.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি এমন জিনিস দাবী করে যা তার নয়, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। আর সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়।

  


হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৮০১

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


২৬.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ “আল্লাহ তোমাকে নির্বোধ (আমীর) দের শাসনকাল থেকে আশ্রয় দিন।” কা’ব বললেন, ‘নির্বোধ (আমীর) দের শাসনকাল কি?’ তিনি বললেন, “আমার পরবর্তীকালে এক শ্রেণীর আমীর হবে; যারা আমার আদর্শে আদর্শবান হবে না এবং আমার তরীকাও অবলম্বন করবে না। সুতরাং যারা (তাদের দ্বারে দ্বারস্থ হয়ে) তাদের মিথ্যাবাদিতা সত্ত্বেও তাদেরকে সত্যবাদী মনে করবে এবং অত্যাচারে (ফতোয়া ইত্যাদি দ্বারা) তাদেরকে সহযোগিতা করবে তারা আমার দলভুক্ত নয় এবং আমিও তাদের দলভুক্ত নই। তারা আমার ‘হওয’ (কাওসারের) পানি পান করার জন্য উপস্থিত হতে পারবে না।

আর যারা তাদের মিথ্যাবাদিতায় তাদেরকে সত্যবাদী জানবে না এবং অত্যাচারে তাদেরকে সহযোগিতা করবে না তারা আমার দলভুক্ত, আমিও তাদের দলভুক্ত এবং আমার ‘হওয’ (কাওসারের) পানি পান করার জন্য উপস্থিত হতে পারবে।

হে কা’ব বিন উজরাহ! সিয়াম হল ঢাল স্বরূপ, সদকাহ (দান-খয়রাত) পাপ মোচন করে এবং নামায হল (আল্লাহর) নৈকট্যদাতা অথবা তোমার  (ঈমানের) দলীল।

হে কা’ব বিন উজরাহ! সে মাংস  (দেহ) বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না; যা হারাম খাদ্যে প্রতিপালিত হয়েছে। তার জন্য  তো দোযখই উপযুক্ত।

হে কা’ব বিন উজরাহ! মানুষের প্রাত্যহিক কর্মপ্রচেষ্টা দুই ধরনের হয়ে থাকে; কিছু মানুষ তো নিজেদেরকে (সৎকর্মের মাধ্যমে) ক্রয় করে (দোযখ থেকে) মুক্ত করে নেয়। আর কিছু মানুষ (অসৎকর্মের মাধ্যমে) নিজেদেরকে বিক্রয় করে ধ্বংস করে দেয়।” (আহমাদ ১৪৪৪১, বাযযার ১৬০৯ নং , ত্বাবারানী, ইবনে হিব্বান, সহীহ তিরমিযী ৫০১ নং)

  


হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৮২০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



২৭.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃআমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের আদেশ করছি; যা আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন। রাষ্ট্রনেতার কথা শুনবে, তার আনুগত্য করবে, জিহাদ করবে, হিজরত করবে এবং (একই রাষ্ট্রনেতার নেতৃত্বে) জামাআতবদ্ধভাবে বসবাস করবে। যেহেতু যে ব্যক্তি বিঘত পরিমাণ জামাআত থেকে দূরে সরে যায়, সে আসলে ফিরে না আসা পর্যন্ত ইসলামের রশিকে নিজ গলা থেকে খুলে ফেলে দেয়। আর যে ব্যক্তি জাহেলী যুগের ডাক ডাকে, সে আসলে জাহান্নামীদের দলভুক্ত।” লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! যদিও সে নামায পড়ে ও সিয়াম রাখে?’ তিনি বললেন, “যদিও সে নামায পড়ে ও সিয়াম রাখে। সুতরাং হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা আল্লাহর (নামে) ডাকে ডাকো, যিনি তোমাদের নাম দিয়েছেন ‘মুসলিম, মু’মিন’।

  


হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৮৪২

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস





২৮.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিপদে চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে, আঁচল ছিঁড়ে ফেলে এবং সজোরে ক্রন্দন করতে থাকে।

  


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৮৬১

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



২৯.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ “আমার উম্মতের সবাই জান্নাতে যাবে; কিন্তু সে নয় যে অস্বীকার করবে।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! (জান্নাতে যেতে আবার) কে অস্বীকার করবে?’ তিনি বললেন, “যে আমার অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে এবং যে আমার অবাধ্যতা করবে, সেই জান্নাত যেতে স্বীকার করবে।

  


হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৪৮৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস





৩০.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃযে মহিলা মাথা মুড়িয়ে বিলাপ করে কাঁদে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।



  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩১৩০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




৩১.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব নারী পুরুষের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যেসব পুরুষ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৫৮০)





৩২.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ ‘যে কোন গণক বা জ্যোতির্বিদদের নিকট আসল এবং তার বলা কথার প্রতি বিশ্বাস করল সে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর যা (কুরআন মাজীদ) অবতীর্ণ হয়েছে তাকে অস্বীকার করল’ (আহমাদ ২/৪২৯পৃঃ)।

অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হাতের রাশি দেখে ভাগ্যের ভবিষ্যৎ প্রকাশ করা, হাত চালিয়ে হারিয়ে যাওয়া বস্তুর সংবাদ দেয়া, টিয়া পাখির মাধ্যমে ভাগ্যের ভবিষ্যৎ প্রকাশ করা গণকের নিকট হারিয়ে যাওয়া বস্তু জানতে চাওয়া এগুলো সবই শিরক।

  


ঊপদেশ, হাদিস নং ১৪৬

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


৩৩.রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, তারা কারা, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)? তিনি বললেনঃ যারা ক্ষতস্থানে লোহা পুড়ে লাগায় না এবং (জাহিলী যুগের ন্যায়) ঝাড়ফুঁক বা মন্ত্রের দ্বারা চিকিৎসা কামনা করে না বরং তারা আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে। এ সময় ‘উক্কাশাহ্‌ (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর নাবী! আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, তিনি আমাকেও যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। উত্তরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘উক্কাশাহ্ তোমার আগেই সে দলভুক্ত হয়ে গেছে।

  


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪১২

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


Comments

Popular posts from this blog

আসমাউল হুসনা

গুনা

আকিদা