কুফরি

 ১) আপত্তি করে বলা: এ ব্যক্তি লোকদের সাথে যা কিছুই করুক, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য পূর্ণ (full) স্বাধীনতা রয়েছে। 

২) এইভাবে আপত্তি করে বলা: কখনো আমরা অমুকের সাথে সামান্য কিছু করলে আল্লাহ তৎক্ষনাৎ আমাদের পাকড়াও করে ফেলেন।

৩)আল্লাহ সর্বদা আমার শক্রদের সহায়তা করেছেন।

৪)সর্বদা সবকিছু আল্লাহর সমীপে সমর্পণ করেও দেখেছি, কিছুই হয়না।

৫)আল্লাহ তাআলা আমার ভাগ্যকে এখনো পর্যন্ত সামান্য ভাল করলেন না। 

৬)হয়তো তাঁর ভান্ডারে আমার জন্য কিছুই নেই। আমার পার্থিৰ আশা-আকাঙ্খা কখনো পূর্ণ হলো না। জীবনে আমার কোন দোআ কবুল হলো না। যাকে চেয়েছি সে দূরে চলে গেলো ।আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো । সব ইচ্ছাই অপূর্ণ রয়ে গেলো ।এখন আপনিই বলুন, আমি আল্লাহর উপর কীভাবে ঈমান আনব? 


৭)এক ব্যক্তি আমাদেরকে অত্যাচারে অতিষ্ট করে রেখেছে। মজার কথা হচ্ছে, আল্লাহও এমন লোকদের সহায়তা করে থাকেন।


৮) যে ব্যক্তি বিপদে পড়ে বলে: হে আল্লাহ! তুমি সম্পদ কেড়ে নিয়েছ। অমুক জিনিস কেড়ে নিয়েছ। এখন কি করবে? অথবা, এখন কিকরতে চাও? কিংবা, এখন কি করার বাকী রয়েছে?- তার এ কথা কুফরি


৯) যে বলে: আল্লাহ তাআলা আমার অসুস্থতা ও ছেলের কষ্ট সত্তেও যদি আমাকে শাস্তি দিয়ে থাকেন, তবে তিনি আমার উপর জুলুম করলেন ।- এটা বলা কুফরী ৷(আল-বাহরুর রায়িক, ৫ম খন্ড , ২০৯ পৃষ্ঠা)

১০) আল্লাহ তাআলা সর্বদা দুষ্ট লোকদের সহায়তা করেছেন।

১১)আল্লাহ তাআলা অসহায়দের আরও পেরেশান করেছেন।


১২) যে বলে: হে আল্লাহ! আমাকে রিযিক দাও আর আমার উপর অভাব অনটন চাপিয়ে দিয়ে অত্যাচার করো না।এমন বলা কুফরী । ফেতোওয়ায়ে কাজী খান, ৩য় খভ, ৪৬৭ পৃষ্ঠা)


১৩)অনেক লোক কর্জ | ও ধন সম্পদ অর্জনের জন্য, অভাব- অনটন, কাফিরদের সামিধ্যে চাকুরীর জন্য ভিসা-ফরমে, অথবা কোন ভাবে টাকা ইত্যাদি ! কিংবা যে কোন ধরণের কাফির ও মুরতাদ সম্প্রদায়ের লোক লিখে ?অথবা লিখানো 

হয় তার উপর কুফুরীর বিধান বর্তাবে।


১৪)কারো নিকট আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন কালে বলা বা লিখা: আপনি ? যদি কাজ করে না দেন, তবে আমি কাদিয়ানী বা খ্রীষ্টান হয়ে যাব।এমন উক্তিকারী তৎক্ষনাৎ কাফির হয়ে গেছে। এমনকি কেউ যদি বলে।যে, আমি ১০০ বছর পর কাফির হয়ে যাব।- সে এখন থেকেই কাফির হয়ে গেছে। 


১৫)“কেউ পরামর্শ দিল: তুমি কাফির হয়ে  যাও। এমতাবস্থায়, সে কাফির হোক বা না হোক, পরামর্শদাতার উপর কুফরির বিধান বর্তাবে। এমনকি কেউ কুফুরী বাক্য উচ্চারণ করল, এর প্রতি সন্তুষ্ট  ব্যক্তির উপরও কুফুরীর বিধান বর্তাবে। কেননা কুফরিকে পছন্দ করাও কুফরি। 


১৬)বাস্তবিক পক্ষে যদি আল্লাহ ?থাকত, তবে অভাব্রস্তদের সাহায্য করত, খণপ্রস্তদের সহায় হত।









১৭)আমি জানি না আল্লাহ তাআলা যখন আমাকে দুনিয়াত কিছু দিলেন না, ত তবে আমাকে সৃষ্টিই বা কেন করলেন?- এ উক্তিটি কুফরী । (মিনাহুর রউয, ৫২১ পৃষ্ঠা)

১৮)কোন অভাবগ্রস্ত লোক নিজের অভাব-অনটন দেখে বলল: হে আল্লাহ! অমুকও তোমার বান্দা, তুমি তাকে কত নিয়ামতই দিয়ে রেখেছ এবং আমিও তোমার আরেক বান্দা, আমাকে কত দুঃখ-কষ্ট দিচ্ছ। এটা কি ন্যায় বিচার?(আলমগিরী, ২৬২ পৃষ্ঠা)


১৯)কথিত আছে: আল্লাহ তাআলা ধৈর্য্যশীলদেরসাথে আছেন, আমি বলছি এসব প্রলাপ মাত্র।

২০)যেসব লোককে আমি ভালবাসি তারা পেরেশানীতে থাকে, আর যারা আমার শত্রু,

আল্লাহ তাআলা তাদেরকে খুবই স্াচ্ছনদ্ রাখেন


২১)কাফির ও অম্পদশালীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য আর গরীবও অভাবগ্রস্তদের জন্য দশা বস! আল্লাহর ঘরের তো সমস্ত রীতিই উল্টো


২২)যদি কেউ অসুস্থতা, রোজগারহীনতা, অভাব-অনটন অথবা কোন বিপদ আপদের কারণে আল্লাহ তাআলার বিরুদ্ধে আপত্তি করে বলে: হে আমার রব! তুমি কেন আমার উপর অত্যাচার করছ? অথচ আমি তো কোন গুনাহ করিনি- তবে সে ব্যক্তি  কাফির।



২৩)কারো মৃত্যু হল, একে কেন্দ্র করে অন্যজন বলল: |আল্লাহ তাআলার এমনটি করা উচিত হয়নি। 

২৪)কারো পুত্রের মৃত্যুহল, সে বলল: আল্লাহ তাআলার কাছে এর প্রয়োজন ছিল।- এই উক্তিটি কুফরী । কারণ উক্তিকারী আল্লাহ তাআলাকে মুখাপেক্ষী সাব্যস্ত |করেছে। (ফেতোওয়ায় বাষাথয়া সম্বলিত আলমণিরী, ৬ষ্ খত, ৩৪৯ পৃষ্ঠা)



২৫) কারো মৃত্যুতে সাধারণত বলে থাকে: না জানি আল্লাহ তাআলার কাছে তার ?কী প্রয়োজন হয়ে গেল যে, এত তাড়াতাড়ি আহবান করলেন? অথবা ? বলে থাকে: আল্লাহ তাআলার নিকটও নেক্কার লোকদের প্রয়োজন হয়, একারণে শীঘ্রই উঠিয়ে নেন। (এমন উক্তি শুনে মর্ম বুঝা সত্তে | সাধারণত লোকেরা হ্যা-র সাথে হ্যা! মিলিয়ে থাকে, অথবা এর সমর্থনে মাথা নেড়ে থাকে । এদের সবার উপর কুফরের বিধান আরোপিত হবে। 

২৬)কারো মৃত্যুতে বলল: হে আল্লাহ! তার ছোট |ছোট সন্তানদের প্রতিও কি তোমার করুণা হল না! 

২৭) কোন বকের মৃত্যুতে বলল: হে আল্লাহ এর ভরা যৌবনের প্রতি হলেও | করুণা করতে নিতেই যদি হতো, তবে অমুক বৃদ্ধ কিংবা অমুক |

বৃদ্ধাকে নিয়ে যেতে 

২৮)হে আল্লাহ: তোমার কাছে তার এমন কি প্রয়োজন পড়ে গেল যে, এ মুহুর্তেই (এত আগে ভাগেই) তাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলে।

২৯)অকাল মৃত্যু 

১. আল্লাহর সাথে হিল্লাও লাগে।


২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক।


( ফুল চন্দন হিন্দুদের পুজা করার সামগ্রী)


৩. কস্ট করলে কেস্ট মেলে


( কেস্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জণ্য কস্ট করছেন?)


৪. মহভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?


( মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)


৫। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।


( এটি ইসলামের নামে কটূক্তি করা)


৬। লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে, লক্ষী স্ত্রী বলা।


( হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি হারাম)


৭। কোন ঔষধকে জীবন রক্ষকারী বলা।


( জন্ম- মৃত্য একমাত্র আল্লাহর হাতে)


৮। দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা।


( এর অর্থ রাজাদের রাজাধীকার)


৯। নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলশি পাতা বলা।


( এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা হারাম)


১০। ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাঊস, ইয়া কুতুব ইত্যাদি বলা।


( এটি শির্ক, ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ)


১১। ইয়া আলি, ইয়া রাসুল (সাঃ) বলে ডাকা এবং সাহায্য প্রার্থনা করা (আল্লাহ ছাড়া পৃথীবির কাউকে ডাকা শির্ক)


১২। বিসমিল্লায় গলদ বলা।


( এটি সরাসরি কুফরি)


১৩। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া বলা।


( কুফরি বাক্য, সাবধান। )


১৪। মধ্যযুগি বর্বরতা বলা।


( মধ্যযুগ ইসলামের সর্ণযুগ)


১৫। মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না।


( ইসলাম ধংসকারী মতবাদ)


১৬। নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা।





Comments

Popular posts from this blog

আসমাউল হুসনা

গুনা

আকিদা