সকল গুনা
১.নামাজ, যিকির, যিনা, হালাল রোজগার
২.শিরক, বিদয়াত, উম্মত নয়,মুনাফিক,কবিরাগুনা,কুফরি বাক্য
৩.রাগ, ধৈর্য, লোভ, গিবত, অপবাদ, মিথ্যা, গালি, কসম,ওয়াদা, অভিশাপ,বান্দার হক,দান করা, অনুমতি নেয়া।
উত্তম আখলাক
১.মনে দুনিয়ার কারো প্রতি ঘৃনা না রাখা প্রেত্যেকের মধ্যে ভালো ও খারাপ ভালো দিক থাকে ভালো দিক নিয়ে আগানো বুদ্ধিমানের কাজ।
২.হিংসা না করা, অহংকার করে কথা না বলা(কাওকে অপমান না করা)
৩.বোকা হওয়া, মানুষকে কম আপন ভাবা, মানুষের সাথে কম চলাফেরা করা
৪.কম কথা বলা, চুপ থাকা (প্রয়োজনে কথা বলা )
৫.ধীরে ধীরে কথা বলা, স্পষ্টভাবে কথা বলা
৬.সবসময় মাথা নিচু করে চলা ও নরম গলায় মাথা নিচু করে কথা বলা
৭.মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনা।
৮.হাসি-খুশি কথা বলা কাওকে নম্র-ভদ্র, মিশুক, বিনম্বী হওয়া
৯.কথা দিয়ে কাওকে কষ্ট না দেয়া ও উস্কানিমূলক কথা না বলা,খোঁটা না দেওয়া
১০. অপমান সহ্য করা, অপরের চিন্তা না করা (অন্যের দোষ-ত্রুটি,গুনা এইসব চিন্তা না করা)
১১। সত্য-মিথ্যা যাই হোক তর্ক না করা
১২.উচ্চস্বরে কথা না বলা, চিৎকার করে কথা না বলা,
১৩.যেই প্রশ্ন করে শুধু সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অতিরিক্ত উত্তর না দেওয়া
১৪. নিজের ওঅন্যের পাপ গোপ্ন রাখা
১৫.ভুল না ধরা,অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
১৬. কোনো কিছু দিয়ে দুস্তামির উদ্দেশ্য কাওকে ভয় না দেখানো
১৭.হাত, পা, মুখ, চোখা হতে অন্য মানুষদের নিরাপদ রাখা।
১৮. মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য, এটুকুই যথেস্ট যে, সে যা শুনে তা বলে বেড়ায় যাচাই-বাছাই না করে কোনো কিছু কাওকে না বলা ও প্রচার না করা
১৯.ভুল করলে ভুল স্বীকার করা, ভালো কাজের আহবান করা।
২০.কেও সাহায্য চাইলে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষকে সাহায্য করা
২১.প্রতিশোধ না নেওয়া,ক্ষমা করে দেওয়া
২২.মানুষের গোপন কথা চুপিসারে না শোনা,গোপন বিষয় জানতে চেষ্টা না করা
২৩.নিজের ঘরের ও বাইরের যেকারো ব্যক্তিগত কথা কাওকে না বলা
২৪.মন্দ ধারণা না করা, ঠাট্টা ও কৌতুক বর্জন করা। ২৫.দুঃখ কষ্ট কাওকে না বলা
২৬.সন্দেহ জনক ধারনা বর্জন করা,যাতে সন্দেহ নেই তা গ্রহণ করা
২৭. কাওকে শয়তান না বলা, উকি-যুকি না দেওয়া
২৮.শুধু আল্লাহ এর জন্য একে অন্যকে ভালোবাসা
কেয়ামত এর দিন আল্লাহ তাকাবেন না :
(১) যে ব্যক্তি কোন কিছু দান করে খোঁটা দেয়,দান করে যে প্রচার করে বেড়ায়।
(২) যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম করে দোকানদারী করে এবং (৩) যে ব্যক্তি টাখ্নুর নীচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করে।
(৪)যে ব্যক্তি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি মানুষকে দেয় না।
(৫)যে ব্যক্তি আসরের সালাতের পর একজন মুসলমানের মাল-সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কসম করে।
(৬) বৃদ্ধ যেনাকার
(৭) মিথ্যাবাদী শাসক এবং
(৮) অহঙ্কারী দরিদ্র ব্যক্তি’
(৯)ছবি নির্মাতাদের জন্য।
প্রস্রাব থেকে পবিত্র না থাকা
মুসলমান হয়েও জান্নাতে যাবে না:
১. প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ কারী।
২. পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।
৩. আত্তিয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী।
৪. হারাম দিয়ে দেহ গঠনকারী।
৫. উগ্রতা/অশ্লীল ভাষা ব্যবহারকারী।
৬. যে শাসক প্রজাদেরকে ধোকা দেয়।
৭. অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী।
৮. উপকার পর খোঁটা দানকারী।পুরুষদের বেশধারী নারি
৯. চোকলখোর যে অন্যের দোষ বলে বেড়ায়।
১০. যে নিজের পিতা-মাতাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পিতা-মাতা হিসেবে গ্রহণ করে।
১১. দাস্তিকতা বা অহংকার কারী।
১২. যে রাসূল সাঃ কথাকে সবকিছুর উপর প্রাধান্য দেন না বা দিতে চায় না।
১৩. যে মহিলা কথায় কথায় অকারণে স্বামীর কাছে তালাক চায়।
১৪. যে আলেম দুনিয়ার অর্থ বা সম্মানের লাভের জন্য জ্ঞান শিখেছে।
১৫. কালো কলপ ব্যবহার কারী।
১৬. লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে আমল কারী
১৭. যে ওয়ারিশকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে।
১৮.যাদুর প্রতি বিশ্বাসকারী
১৯.সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী
২০.বেপদা নারী যারা কাপর পরেও নগ্ন থাকে
১.তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।
২.নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।
৩.তোমাদের মধ্যে ভালো লোক সে, ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো যে।
৪.তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।
৫.তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের কাছে শ্রেষ্ঠ।
৬.মানুষ কে খাদ্য দান করে ও মানুষ কে সালাম দেয় ও সালামের জবাব দেয়
৭.নামাজের ভিতর কাধ বিনয়ি হয়ে ধারায় নরম থাকে
৮.সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ ও কর্ম ভালো হয়।
৯. সর্বোত্তম মানুষ সে, যে মানুষের জন্য অধিক কল্যাণকর ও উপকারী।
১০.আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।
১১.শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, ‘যে অন্তর স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ।
সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ:
১.মানুষের মধ্যে দুই রূপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যে এ দলের নিকট আসে এক রূপ নিয়ে এবং অন্য দলের নিকট আসে অন্য আরেক রূপ নিয়ে।
২. আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে।
৩.আর নিকৃষ্ট পাপাচারী ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, কিন্তু পাপের কাজে কোনো পরোয়া করে না।
৪.যে ব্যক্তি অপরের পার্থিব স্বার্থে আখিরাতকে বিনষ্ট করেছে, কিয়ামতের দিন সে হবে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি।
৫.যে নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং যার সাথে তার স্ত্রী মিলিত হয়, অতঃপর সে এর গোপনীয়তা প্রকাশ করে বেড়ায়।
উম্মত নয়: ১.যারা শোকে গণ্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে ও জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়,বিপদে চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে, আঁচল ছিঁড়ে বিলাপ করে কাঁদে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
২.যে আমার সুন্নাত হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।
৩.যে ব্যক্তি শাসকদের মিথ্যাচারে সমথর্ন করেন ও অন্যায় কাজে সমথর্ন ও সহযোগিতা করেন
৪.যে ব্যক্তি লুট করে কিছু আত্মসাৎ ও প্রতারণা করে,সে আমাদের দলভুক্ত নয়
৫.যে ব্যক্তি কোন গণক নিকট গেল
৬.যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।
৭.যে ব্যাক্তি মধুর সূরে কুরআন পাঠ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
৯.নবিজি সা: শিখানো পদ্ধতি বাদ দিয়ে অন্য পদ্ধতিতে শাসন করে
১০. যে ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা ক্রীতদাসকে তাঁর মনিবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়
১১.যে ব্যক্তি মোচ কাটে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
১২.যেসব নারী পুরুষের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যেসব পুরুষ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
১৩.সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের উপর অস্ত্র তোলে। আর যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়
১৪.যে ব্যক্তি তাদের প্রতিশোধের ভয়ে সাপ (না মেরে) ছেড়ে দিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।
১৫.যে ব্যক্তি মুসলিম শাসকের আনুগত্য থেকে বের হয়ে যায়।
১৬.যে ব্যক্তি আমাদের বড়দেরকে সম্মান দেয় না, ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আলেমের অধিকার চেনে না।
১৭.যে ব্যক্তি এমন জিনিস দাবী করে যা তার নয়, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়
১৮.যে ব্যক্তিকে তীরন্দাজির বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হল, তারপর সে তা পরিত্যাগ করল, সে আমাদের দলভুক্ত নয় অথবা সে অবাধ্যতা করল।
১৯.যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজ পিতার পরিবর্তে অন্য কাউকে পিতা বলে, সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি এমন কিছু দাবী করে যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
২০.যে ব্যক্তি আমানতের উপর শপথ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
২১.বিতর সলাত জরুরী বা অবধারিত । অতএব যে তা আদায় না করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয় (অর্থাৎ আমাদের অনুসারী নয়)।
হিংসা:
তোমরা খারাপ ধারণা করা থেকে বেঁচে থাকো।
কেননা, খারাপ ধারণা সর্বাপেক্ষা বড় মিথ্যা।
সন্দেহ জনক জিনিস বজন করা,যাতে সন্দেহ নেই তা গ্রহন করা
১.কারো দোষ অনুসন্ধান করবে না,
২. কারো গোপনীয় বিষয় বা দোষ অন্বেষণ করবে না,
৩. একে অন্যকে ধোঁকা দেবে না, পরস্পর হিংসা করবে না,
একে অন্যের পিছনে লেগে থেকো না
৪. একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পোষণ করবে না, পরস্পর বিরুদ্ধাচরণ করবে না,
৫.শত্রুতা করবে না, একজনের কেনাবেচা করার সময় অন্যজন দাম বাড়িয়ে দেবে না।
২. নিজের ওপর অন্য কেউ সম্মানিত হয়ে যাওয়া
৩. অহংকার
৪. অস্বাভাবিকভাবে কেউ এগিয়ে যাওয়া
৫. নিজের পদ বা মর্যাদা হারিয়ে যাওয়ার ভয় করা
৬. নেতৃত্ব ও সম্মানের লোভ
৭. নিচু বা খারাপ মানসিকতা। (ফিকহি বিশ্বকোষ, কুয়েত)।
হিংসুকের আলামত :
১. অন্যের ভালো অবস্থার কারণে তাকে শত্রু ভাবা
২. তার প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া
৩. অন্যের কল্যাণের কারণে সব সময় অন্তরে এক ধরনের কষ্ট ও ব্যথা অনুুভব করা
৪. যার প্রতি হিংসা করে তার কাছ থেকে নিয়ামত চলে গেলে আনন্দিত হওয়া। যদিও এতে তার কোনো লাভ কিংবা ক্ষতি না থাকে
৫. সব সময় এ ব্যাপারে সতর্ক ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে যেন কোনোভাবেই চলে যাওয়া সে নিয়ামত আর ফেরত না আসে
৬.কেও বেশি নেয়ামত পেলে মনে কস্ত অনুভব হওয়া হিংসা হওয়া।
৭.এরা পেছনে গিবত করে
কাউকে আল্লাহ বেশি নিয়ামত দিলে খুশি হওয়া,খারাপ কিছু হলে দু:ক্ষ হয়া দোয়া করা
অহংকার :
সত্যকে অস্বীকার করা; মানুষকে হেয় করা।’ নিজেকে অন্যের তুলনায় বড় জানা এবং অন্যকে তুচ্ছ-নিকৃষ্ট মনে করাই অহংকার।
অহংকার হলো নিজেকে বড় মনে করা, নিজের ভালো গুণে প্রীত হওয়া, অন্য মানুষকে নীচ ও ছোট মনে করা, যাদের প্রতি বিনয়ী হওয়া দরকার তাদের চেয়ে নিজকে উঁচু মনে করাই অহংকার।
কাওকে অপমান না করা
গব্-অহংকার করে কথা না বলা,
কারো সাথে কথা বললে পুরো শরীর ঘুরিয়ে কথা বলা।
১. সে কিছুই জানে না এমনভাবে চলাফেরা করলেও মনে মনে ভাবে- সে বেশি বা অনেক জানে।
২. যে কোনো বিষয়ে নিজেকে অভিজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞ জানা।
৩. অন্যকে তুচ্ছ বা চুনোপুঁটি ভাবা।
৪. কাউকে ছোট লোক বা ছোট লোকের বাচ্চা মনে করা।
৫. এখানকার সবার কাছে পরিচিত বলে ভাব নেওয়া।
৬. আমিত্ব ভাব প্রকাশ করা যেমন- আমি না হলে...; আমি না থাকলে...।
৭. এমন বলে ভাব নেওয়া- যা করেছি তা শুধু তোদের জন্য....।
৮. অন্যকে বোকা বা মূর্খ আখ্যায়িত করে বলা- আরে, তার কথা বলেন না! আমি না থাকলে ওর কোনো কিছুই হতো না বা ভাতও জুটতো না... ইত্যাদি।
৯. যখন শয়তান তাকে কৌশলে গ্রাস করে ফেলে। তখন তার নিজের কথা, কাজ ও কৌশলকে নিখুঁত, নির্ভেজাল ও সর্বোত্তম ভাবতে শুরু করে। অন্যের বিশ্বাস, কথা ও কাজকে সন্দেহ করতে থাকে এবং অন্যের ভুলকে বড় করে ধরে নিজের গৌরবকে ফুটিয়ে তোলে।
১০. নিজের বোকামি থাকলে অন্যকেও বোকা মনে করে; যা প্রকান্তরে অহংকার।
১১. নিজের বড় বড় ত্রুটি ঢাকতে অন্যের ত্রুটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
১২. আল্লাহর ভয় কম থাকলে বা না থাকলে অহংকার ঢুকে যায়।
১৩. নিজের আশ-পাশে চাটুকার ও অযোগ্য লোক থাকলেও লোকেরা অহংকারী হয়ে যায়।
১৪. নিজে যা পাবার যোগ্য তার চেয়ে বেশি পেয়ে গেলেও মানুষে অহংকারী হয়ে যায়।
১৫. নিজের প্রশংসা অন্যের মুখে বেশী করে শুনতে থাকলেও মানুষ অহংকারী হয়ে যায়।
১৬.নিজের আত্মসমালোচনা যত কম হয়, অহংকার ততবেশি পেয়ে যায়।
১৭. অন্যের মুখে নিজের সমালোচনা শোনার ধৈর্য্য কমে গেলেও আস্তে আস্তে মনে অহংকার ঢুকে পড়ে।
১৮. কথা-কাজ-আচরণে বিনয় কমে গেলে অহংকার জায়গা করে নিতে থাকে।
।অন্যর গুনা নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য না করা।কত গুনা করে গুনা ছাড়া কি তাদের আর কোন কাজ নাই, কত গুনা করব আর
কাওকে কিছু বুজানোর পর যদি না বুজে তাহলে আমার কিছু দোষ আমার দায়িত্বএ কোনো সমস্যা আছে
নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করা; বেশি জ্ঞানী ,বেশি ইবাদত কারি মনে করা।
মাল দোলত,বংশ,ক্ষমতা নিয়ে অহংকারি করা
সব কাজে সফলতা আসলে নিজেকে স্পেশাল মনে করা।কারো সাথে ওঠা-বসা, খাওয়া-দাওয়া, চলা-ফেরা, কথা-বার্তা বলাকে নিজের মর্যাদাহানি মনে করে। যখন মানুষের সামনে যায় বা মেশে; তখন এমনটি কামনা করে যে, মানুষ তাকে সম্মান করুক; মর্যাদা দেওয়া হোক।
অনেকে অন্তরে অহংকার বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও নিজেকে অহংকারমুক্ত মনে করে থাকেন। তিনি উপলব্ধিই করতে পারছেন না যে, তার মনে অহংকার বাসা বেঁধেছে।
অহংকারের আলামত:
অন্যর কল্যান কামনা না করা
ক্ষমা না চাওয়া
১.শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করা : সবার কাছে নিজেকে শ্রেষ্ঠ করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা, অন্যকে তুচ্ছ ভাবা ধ্বংসের কারণ।
২.হাঁটাচলায় বড়ত্ব প্রকাশ করা অহংকারীদের কাজ। বর্তমান সমাজে দেখা যায়—পেছনে দলবল নিয়ে কিছু মানুষ এমনভাবে চলেন যেন আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ।
৩.অধীনস্তদের প্রতি দুর্ব্যবহার করা ও তাদেরকে নিকৃষ্টভাবে খাটানো।
৪.লোকদের কাছে বড়ত্ব যাহির করা ও নিজের ত্রুটি ঢেকে রাখা।
৫.অন্যকে নিজের তুলনায় ছোট মনে করা।
৬.মানুষের সামনে মুখ ঘুরিয়ে বা অন্যদিকে কথা বলা অহংকারের আলামত---আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নেবে না। আর জমিনে দম্ভভরে চলাফেরা করবে না;
৭.নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবা : দুনিয়ার প্রত্যেক মানুষ আল্লাহর দয়ায় চলে। কাউকেই আল্লাহ স্বয়ংসম্পূর্ণ করেননি। তাই যারা নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ ভেবে অন্যকে অবজ্ঞা করে তাদের ব্যাপারে রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি। মানুষ অবশ্যই সীমা লঙ্ঘন করে। কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।
৮.কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা : অধীনদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, অর্থ-সম্পদ, সৌন্দর্যের কারণে অন্যের প্রতি অন্তরে কোনো তুচ্ছভাব উদ্রেক হওয়াটা অহংকারের লক্ষণ।
৯.অন্যের আনুগত্য ও সেবা করাকে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করা : এই প্রকৃতির লোকেরা সাধারণতঃ উদ্ধৃত হয়ে থাকে। এরা মনে করে সবাই আমার আনুগত্য ও সেবা করবে, আমি কারু আনুগত্য করব না
১০.প্রভাব খাটিয়ে অন্যের হক নষ্ট করা : এটি অহংকারের একটি বড় নিদর্শন। এর শাস্তি অত্যন্ত লাঞ্ছনাকর। অন্যায়ভাবে কারো সম্মানহানি করলে কিয়ামতের দিন অহংকারী ব্যক্তিকে পিঁপড়াসদৃশ করে লাঞ্ছনাকর অবস্থায় হাঁটানো হবে
১১.অহেতুক জেদ করা : অনেকেই আছে নিজের ভুল কখনো স্বীকার করে না। নিজের ভুলগুলো অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়।
১২.সত্যকে অস্বীকার করা।অহংকার হলো সত্যকে দম্ভের সঙ্গে পরিত্যাগ করা এবং মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা।
১৩.মিথ্যা বা ভুলের উপর যিদ করা : এটি অহংকারের অন্যতম নিদর্শন।
মুনাফিক: ১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে;
২. কথা বললে মিথ্যা বলে;
৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং
৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে।
৫.মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ‘ইশার সালাত অপেক্ষা অধিক ভারী সালাত আর নেই।
৬.আনসারদের প্রতি ভালবাসা ঈমানেরই নিদর্শন এবং তাঁদের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ রাখা মুনাফিকীর নিদর্শন।
৭.মু'মিনই আমার সাথে মহব্বত রাখবে, আর মুনাফিকই আমার প্রতি শক্ৰতা পোষণ করবে।
৮.যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার উদাহরণ যেন কমলালেবু, এর স্বাদ ও ঘ্রাণ উভয়ই উত্তম, আর যে মু’মিন কুরআন পড়ে না, তার উদাহরণ যেন খুরমা, যার স্বাদ উত্তম, কিন্তু কোনও ঘ্রাণ নেই। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে, সে যেন রায়হানা ফুল, যার ঘ্রাণ তো উত্তম, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না সে যেন হানযালা ফল, এর স্বাদ তিক্ত আবার ঘ্রাণও নেই।
১। গান-বাজনায় মগ্ন থাকা
২। ধোঁকা দেওয়া
৩। মিথ্যা বলা
৪। দ্বিমুখী আচরণ
৫। বাচাল হওয়া
৬। অশ্লীলতা পছন্দ করা
৭। ওয়াদা ভঙ্গ করা
৯। নামাজে অলসতা
১০। জামাতে অংশগ্রহণ না করা
১১। ফাসাদ সৃষ্টিকারী
১২। মুমিনদের নির্বোধ মনে করে
১৩।উপহাসকারি
১৪। প্রতারক ও ধোঁকাবাজ
১৫। তাদের অন্তর অসুস্থ
১৬। নিজেদের শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী মনে করে
১৭। অবাধ্যতার বিভ্রান্তিতে ঘুরে বেড়ায়
১৮। ভ্রষ্টতা ক্রয় করে
১৯। তারা আলোর কাছে আসে না
২০।তারা বধির, মূক ও অন্ধ
২১। তারা সন্দেহপ্রবণ, দ্বিধাগ্রস্ত ও সুবিধাবাদী
২২। সুসময়ের সঙ্গী
২৩। আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টিকারী
১৪। অহংকারী
১৫।প্রতারক
কবিরাগুনা:
1.নাম রে ভেংগানো দেহ নিয়ে খোটা দেয়া।
1.খারাপ আন্দাজ বা অনুমান করা। positive mind..
1. আল্লাহর সাথে শিরক করা
2. নামায পরিত্যাগ কর
3 রোযা না রাখা
4.. যাকাত আদায় না করা
5. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
6. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
7. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
8.. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
9. যাদু-টোনা করা
7. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
8. জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন
9. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নর-নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ
13. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
15. অহংকার করা
16. চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো)
17. আত্মহত্যা করা
18. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
19. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা হারাম উপাজ্জন
20. উপকার করে খোটা দান করা
21. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
22. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
23. জুয়া খেলা
24. তকদীর অস্বীকার করা
25. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
26. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
27. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
28. রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
29. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
30. মিথ্যা কথা বলা
31. মিথ্যা কসম খাওয়া
32. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা
33. জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
34. সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
35. মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
36. হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা।
37. যার জন্যে হিলা করা হয়
38. মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
39. মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
40. মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
41.মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
42. খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো
43. কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা।
44. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা।
45. ওজনে কম দেয়া
46. ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা
47. ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
48. জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা
49. গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা
50. দাঁত চিকন করা
51. সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
52. অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
53. পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
54. নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
55. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
56. কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
57. পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
58. পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা
59. মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
60. ডাকাতি করা
61. চুরি করা
62. সুদ লেন-দেন করা, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
63. ঘুষ লেন-দেন করা
64. গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা
65. স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
66. জুলুম-অত্যাচার করা
67. অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা
68. প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
69. রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
70. স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা
71. পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা
72. সাহাবীদের গালি দেয়া
73. নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন কর
74. মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
75. ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
76. পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
77. কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
78. আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা
79. বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
80. যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
81. স্বামীর অবাধ্য হওয়া
82. স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
83. স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
84. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
85. বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
86. বিশ্বাস ঘাতকতা করা
87. অঙ্গীকার পূরণ না করা
88. আমানতের খিয়ানত করা
89. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
90. ঋণ পরিশোধ না করা
91. বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
92. তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
93. পরীক্ষায় নকল করা
94. ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
95. ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
96. আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা
97. দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
98. কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা
99. নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
100. আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া
101.প্রস্রাব থেকে পবিত্র না থাকা
102.অনুমতি নাহ নেয়া।।
103. শাসক কর্তৃক জনগণের ওপর জুলুম।.
104. রাষ্ট্রীয় সম্পদ (গানীমাতের মাল) আত্মসাৎ করা
105. জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করা।
106. বিচারকার্যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া।
107. নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রশ্রয়দান
108. প্রাণীর প্রতিকৃতি আঁকা।
109.বিপদে উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা।
110. দাস-দাসী দুর্বল শ্রেণির মানুষ এবং জীবজন্তুর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা।
111. আল্লাহর বান্দাদের কষ্ট দেয়া
112. আল্লাহর আজাব ও গজব সম্পর্কে উদাসীন হওয়া।
113. আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া।
114. বিনা ওজরে জামায়াত ত্যাগ করা এবং একাকি নামাজ পড়া।
115. ওজর ছাড়া জুমা এবং জামায়াত ত্যাগ করার ওপর অটল থাকা।
116. উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরীয়ত বিরোধী ওসিয়ত করা।
117. মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দাগিরি করা এবং তাদের গোপনীয় বিষয় অন্যদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া।
118.তাড়াতাড়ি বিপদে অধৈর্য হওয়া
119. অন্যায় জরিমানা আদায় করা
120. দুর্ণীতি পরায়ণ বিচারক
121. দাইয়ূস
122. বিদ্রোহ ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা
123. সত্যের বিরোধিতা করা অকারণে বিতর্ক ও ঝগড়া করা
124. ওয়াসীয়্যাত দ্বারা অনিষ্ট করা
কুফরি বাক্য:
১) আপত্তি করে বলা: এ ব্যক্তি লোকদের সাথে যা কিছুই করুক, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য পূর্ণ (full) স্বাধীনতা রয়েছে।
২) এইভাবে আপত্তি করে বলা: কখনো আমরা অমুকের সাথে সামান্য কিছু করলে আল্লাহ তৎক্ষনাৎ আমাদের পাকড়াও করে ফেলেন।
৩)আল্লাহ সর্বদা আমার শক্রদের সহায়তা করেছেন।
৪)সর্বদা সবকিছু আল্লাহর সমীপে সমর্পণ করেও দেখেছি, কিছুই হয়না।
৫)আল্লাহ তাআলা আমার ভাগ্যকে এখনো পর্যন্ত সামান্য ভাল করলেন না।
৬)হয়তো তাঁর ভান্ডারে আমার জন্য কিছুই নেই। আমার পার্থিৰ আশা-আকাঙ্খা কখনো পূর্ণ হলো না। জীবনে আমার কোন দোআ কবুল হলো না। যাকে চেয়েছি সে দূরে চলে গেলো ।আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো । সব ইচ্ছাই অপূর্ণ রয়ে গেলো ।এখন আপনিই বলুন, আমি আল্লাহর উপর কীভাবে ঈমান আনব?
৭)এক ব্যক্তি আমাদেরকে অত্যাচারে অতিষ্ট করে রেখেছে। মজার কথা হচ্ছে, আল্লাহও এমন লোকদের সহায়তা করে থাকেন।
৮) যে ব্যক্তি বিপদে পড়ে বলে: হে আল্লাহ! তুমি সম্পদ কেড়ে নিয়েছ। অমুক জিনিস কেড়ে নিয়েছ। এখন কি করবে? অথবা, এখন কিকরতে চাও? কিংবা, এখন কি করার বাকী রয়েছে?- তার এ কথা কুফরি
৯) যে বলে: আল্লাহ তাআলা আমার অসুস্থতা ও ছেলের কষ্ট সত্তেও যদি আমাকে শাস্তি দিয়ে থাকেন, তবে তিনি আমার উপর জুলুম করলেন ।- এটা বলা কুফরী।
১০) আল্লাহ তাআলা সর্বদা দুষ্ট লোকদের সহায়তা করেছেন।
১১)আল্লাহ তাআলা অসহায়দের আরও পেরেশান করেছেন।
১২) যে বলে: হে আল্লাহ! আমাকে রিযিক দাও আর আমার উপর অভাব অনটন চাপিয়ে দিয়ে অত্যাচার করো না।এমন বলা কুফরী ।
১৩)অনেক লোক কর্জ | ও ধন সম্পদ অর্জনের জন্য, অভাব- অনটন, কাফিরদের সামিধ্যে চাকুরীর জন্য ভিসা-ফরমে, অথবা কোন ভাবে টাকা ইত্যাদি ! কিংবা যে কোন ধরণের কাফির ও মুরতাদ সম্প্রদায়ের লোক লিখে ?অথবা লিখানো হয় তার উপর কুফুরীর বিধান বর্তাবে।
১৪)কারো নিকট আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন কালে বলা বা লিখা: আপনি ? যদি কাজ করে না দেন, তবে আমি কাদিয়ানী বা খ্রীষ্টান হয়ে যাব।এমন উক্তিকারী তৎক্ষনাৎ কাফির হয়ে গেছে। এমনকি কেউ যদি বলে।যে, আমি ১০০ বছর পর কাফির হয়ে যাব।- সে এখন থেকেই কাফির হয়ে গেছে।
১৫)“কেউ পরামর্শ দিল: তুমি কাফির হয়ে যাও। এমতাবস্থায়, সে কাফির হোক বা না হোক, পরামর্শদাতার উপর কুফরির বিধান বর্তাবে। এমনকি কেউ কুফুরী বাক্য উচ্চারণ করল, এর প্রতি সন্তুষ্ট ব্যক্তির উপরও কুফুরীর বিধান বর্তাবে। কেননা কুফরিকে পছন্দ করাও কুফরি।
১৬)বাস্তবিক পক্ষে যদি আল্লাহ ?থাকত, তবে অভাব্রস্তদের সাহায্য করত, খণপ্রস্তদের সহায় হত।
১৭)আমি জানি না আল্লাহ তাআলা যখন আমাকে দুনিয়াত কিছু দিলেন না, ত তবে আমাকে সৃষ্টিই বা কেন করলেন?- এ উক্তিটি কুফরী ।
১৮)কোন অভাবগ্রস্ত লোক নিজের অভাব-অনটন দেখে বলল: হে আল্লাহ! অমুকও তোমার বান্দা, তুমি তাকে কত নিয়ামতই দিয়ে রেখেছ এবং আমিও তোমার আরেক বান্দা, আমাকে কত দুঃখ-কষ্ট দিচ্ছ। এটা কি ন্যায় বিচার?
১৯)কথিত আছে: আল্লাহ তাআলা ধৈর্য্যশীলদেরসাথে আছেন, আমি বলছি এসব প্রলাপ মাত্র।
২০)যেসব লোককে আমি ভালবাসি তারা পেরেশানীতে থাকে, আর যারা আমার শত্রু,আল্লাহ তাআলা তাদেরকে খুবই স্াচ্ছনদ্ রাখেন
২১)কাফির ও অম্পদশালীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য আর গরীবও অভাবগ্রস্তদের জন্য দুরদশা।আল্লাহর ঘরের তো সমস্ত রীতিই উল্টো
২২)যদি কেউ অসুস্থতা, রোজগারহীনতা, অভাব-অনটন অথবা কোন বিপদ আপদের কারণে আল্লাহ তাআলার বিরুদ্ধে আপত্তি করে বলে: হে আমার রব! তুমি কেন আমার উপর অত্যাচার করছ? অথচ আমি তো কোন গুনাহ করিনি- তবে সে ব্যক্তি কাফির।
২৩)কারো মৃত্যু হল, একে কেন্দ্র করে অন্যজন বলল: |আল্লাহ তাআলার এমনটি করা উচিত হয়নি।
২৪)কারো পুত্রের মৃত্যুহল, সে বলল: আল্লাহ তাআলার কাছে এর প্রয়োজন ছিল।- এই উক্তিটি কুফরী । কারণ উক্তিকারী আল্লাহ তাআলাকে মুখাপেক্ষী সাব্যস্ত |করেছে।
২৫) কারো মৃত্যুতে সাধারণত বলে থাকে: না জানি আল্লাহ তাআলার কাছে তার ?কী প্রয়োজন হয়ে গেল যে, এত তাড়াতাড়ি আহবান করলেন? অথবা ? বলে থাকে: আল্লাহ তাআলার নিকটও নেক্কার লোকদের প্রয়োজন হয়, একারণে শীঘ্রই উঠিয়ে নেন। (এমন উক্তি শুনে মর্ম বুঝা সত্তে | সাধারণত লোকেরা হ্যা-র সাথে হ্যা! মিলিয়ে থাকে, অথবা এর সমর্থনে মাথা নেড়ে থাকে এদের সবার উপর কুফরের বিধান আরোপিত হবে।
২৬)কারো মৃত্যুতে বলল: হে আল্লাহ! তার ছোট |ছোট সন্তানদের প্রতিও কি তোমার করুণা হল না!
২৭) কোন বকের মৃত্যুতে বলল: হে আল্লাহ এর ভরা যৌবনের প্রতি হলেও | করুণা করতে নিতেই যদি হতো, তবে অমুক বৃদ্ধ কিংবা অমুক |
বৃদ্ধাকে নিয়ে যেতে
২৮)হে আল্লাহ: তোমার কাছে তার এমন কি প্রয়োজন পড়ে গেল যে, এ মুহুর্তেই (এত আগে ভাগেই) তাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলে।
২৯)অকাল অসময়ে মৃত্যু
১. আল্লাহর সাথে হিল্লাও লাগে।
২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। ( ফুল চন্দন হিন্দুদের পুজা করার সামগ্রী)
৩. কস্ট করলে কেস্ট মেলে ( কেস্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জণ্য কস্ট করছেন?)
৪. মহভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?( মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)
৫। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ( এটি ইসলামের নামে কটূক্তি করা)
৬। লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে, লক্ষী স্ত্রী বলা। ( হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি হারাম)
৭। কোন ঔষধকে জীবন রক্ষকারী বলা। ( জন্ম- মৃত্য একমাত্র আল্লাহর হাতে)
৮। দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা। ( এর অর্থ রাজাদের রাজাধীকার)
৯। নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলশি পাতা বলা। ( এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা হারাম)
১০। ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাঊস, ইয়া কুতুব ইত্যাদি বলা।( এটি শির্ক, ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ)
১১। ইয়া আলি, ইয়া রাসুল (সাঃ) বলে ডাকা এবং সাহায্য প্রার্থনা করা (আল্লাহ ছাড়া পৃথীবির কাউকে ডাকা শির্ক)
১২। বিসমিল্লায় গলদ বলা। ( এটি সরাসরি কুফরি)
১৩। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া বলা। ( কুফরি বাক্য, সাবধান। )
১৪। মধ্যযুগি বর্বরতা বলা। ( মধ্যযুগ ইসলামের সর্ণযুগ)
১৫। মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না। ( ইসলাম ধংসকারী মতবাদ)
১৬। নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা।
Comments
Post a Comment