গুনা
১.শিরক(বড়,ছোট,কুফরি বাক্য)(নামাজ,যিকির)
তাকাবেন না,জান্নত হারাম,সবচেয়ে ভাল মানুষ,উম্মতনয়
,মুনাফিক,ইমানের শাখা ৭৭টি,কবিরাগুনা,ছগিরাগুনা,হক।
●ওয়াজিব(ওয়াজিব- দারি,বেতের,সালামের জবাব,কুরবানি ও কুরবানির নামাজ)
●বিদয়াত(সুন্নত)
২.মনোযোগ,রাগ,চুপথাকা,লোভ,ঘৃনা,হিংসা,অহংকার,গিবত,অপবাদ,মিথ্যা,গালি,দান করা বা কৃপণতার,ধোকা বা প্রতরনা,কসম,ওয়াদা, অভিশাপ,বান্দার হক,অনুমতি নেয়া,প্রতিশোধ ও ক্ষমা,হালাল রোজগার,যিনা,সাহায্যে,অপচয়(মধ্যপন্থা),অলসতা(মধ্যপন্থা),সাহসিকতা(মধ্যপন্থা)।
৩.নিয়ত,রিয়া,ইখলাস,ধৈর্য,বিশ্বাস,সন্তুষ্টি(ভয়),নিরাশ,তওবা,শুকরিয়া,দু'আ,স্মরণ,ক্ষমা।
●সারাদিনের যিকির:আউযুবিল্লাহি,দুরুদ,ইসতেগফার,ইসমে আজম
●সকাল-সন্ধ্যয় এর যিকির: চারকুল,আয়াতুল কুরসি,সাইয়েদুল ইসতেগফার
●রাত এর যিকির: আয়াতুল কুরসি,সুরা মুলক,কাওসার,ফাতিহা
(চলাফেরা,উঠা-বসায়,কথা-বাতায় এমন ভাবে বলা বা চলা যাতে মানুষের কষ্ট না হয়)
১.কম কথা বলা,উত্তম সহজ-সরল কথা বলা, নতুবা চুপ থাকা (প্রয়োজনে কথা বলা )( সংক্ষিপ্ত,দীর্ঘ নীরবতা, প্রয়োজন অনুসারে কথা বলা বেশিও না বলা কম ও না বলা)
২.কম হাসা,মুচকি হাসি-খুশি দিয়ে কথা বলা,বিশ্বস্ত,ন্যায়পরায়ণতা,নম্র-ভদ্র(নিরহঙ্কার,শালীনতা,অবনত,নরম, কোমল আচরন,শান্তশিষ্ট,ধীর-স্থিরতা,কঠোরতা),মিশুক,দয়ালু হওয়া
৩.ধীরে ধীরে কথা বলা, স্পষ্টভাবে কথা বলা,মিষ্টভাষী,বিশুদ্ধভাষী
৪.কর্কশ ও রূঢ় ভাষায় না বলা,নিচু হয়ে নিচু স্বরে কথা বলা(সামনের জনের আওয়াজ থেকে আমার আওয়াজ কম হওয়া)
৫.অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয় কথা বর্জন করা,বিনা প্রয়োজনে কথা না বলা
●অনর্থক বিষয়ে নাক গলাবেন না,যাতে আমার লাভ নেই সে বিষয়ে
৬.সওয়াবহীন কাজে কখনো সময় ব্যয় না করা
৭.যেই প্রশ্ন করে শুধু সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অতিরিক্ত উত্তর না দেওয়া
৮.মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য, এটুকুই যথেস্ট যে, সে যা শুনে তা বলে বেড়ায় যাচাই-বাছাই না করে।
৯.সন্দেহজনক ধারনা বর্জন করা,যাতে সন্দেহ নেই তা গ্রহণ করা
১০.অপমান বা হেয় না করা,খারাপ কিছু প্রচার না করা
১১.সবসময় ভালোটা ভাবা(যতই খারাপ কাজ হোক) যদি ১% ভালো হওয়ার আশংকা থাকে
১২.তোমরা খারাপ ধারণা করা থেকে বেঁচে থাকো।কেননা খারাপ ধারণা সর্বাপেক্ষা বড় মিথ্যা
১৩.নিজে যেমন অন্য রে ভাবে তেমন না ভাবা
১৪.বেশি জ্বালাইলে বা কেও আসলে বা বেশি কথা বললে বিরক্ত না হওয়া,তিনজন থাকলে দু’জনে কানে কানে কথা না বলা
১৫.অপমান সহ্য করা, অপরের চিন্তা না করা,(আত্মসমালোচনা করা)
১৬.সত্য-মিথ্যা যাই হোক তর্ক - বিতক না করা,ঠাট্টা ও কৌতুক বর্জন করা
১৭.কথা দিয়ে কাওকে কষ্ট না দেয়া ও উস্কানিমূলক কথা না বলা,খোঁটা না দেওয়া
১৮.ধমক না দেয়া,উচ্চস্বরে কথা না বলা, চিৎকার করে কথা না বলা,
১৯.বোকা হওয়া, মানুষকে কম আপন ভাবা, মানুষের সাথে কম চলাফেরা করা,কানে কম শোনা,মুখে কম বলা
২০.Overthinking অতিরিক্ত চিন্তা না করা,অতিরিক্ত কোনো কিছু না করা বা ভাবা
২১. নিজের ও অন্যের পাপ গোপন রাখা
২২.ভুল না ধরা,অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
২৩.নিজের ঘরের ও বাইরের যেকারো ব্যক্তিগত কথা কাওকে না বলা
২৪.কোনো কিছু দিয়ে দুস্তামির উদ্দেশ্য কাওকে ভয় না দেখানো
২৫.হাত,পা,মুখ,চোখ হতে অন্য মানুষদের নিরাপদ রাখা।
২৬.ভুল করলে ভুল স্বীকার করা, ভালো কাজের আহবান করা।
২৭.মানুষের গোপন কথা চুপিসারে না শোনা,গোপন বিষয় জানতে চেষ্টা না করা
২৮.দুঃখ কষ্ট কাওকে না বলা
২৯. কাওকে শয়তান না বলা, উকি-যুকি না দেওয়া
৩০.সবসময় নিচে নামার চেষ্টা করা
৩১.শুধু আল্লাহ এর জন্য একে অন্যকে ভালোবাসা
৩২.নিজে যা করেন না, তা অপরকে করতে বলবেন না। নিজে আদর্শ হয়ে অপরকে উপদেশ দিন
৩৩.নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জাহান্নামী না বলা
৩৪.আল্লাহর রহমত নিয়া কথা বলা, আল্লাহ মাফ করে দিবেন
৩৫.কুরআন হাদিস বললে দলিল সহকারে সাবধানে বলা
৩৬.আমার সকল উম্মত কে মাফ করা হবে তবে গুনা প্রকাশকারী ব্যতীত
৩৭.আমার প্রতি বান্দার ধারণা অনুযায়ী আমি তার সঙ্গে আচরণ করি
৩৮..যে ব্যক্তি জানলো ও বিশ্বাস করলো যে আমি গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা রাখি এবং আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক স্থাপন করলো না তাহলে আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো, এ ক্ষেত্রে আমি কারও পরোয়া করবো না
৩৯.শত্রুর জন্য অধিক মাত্রায় হিদায়াতের দুয়া করা ও রহমত চাওয়া, কেউ গালি দিলে বা কোনো ক্ষতি-অপকার করলে প্রতিশোধের চিন্তা পর্যন্ত না করে শুরুতেই তার জন্য হিদায়াতের দুয়া করা
●●কেন আর কি জাতিয় বেশিরভাগ শব্দ বন্ধ।
কি লাইগা ধরছ কেন ধরছ,কেন করলে এবং কেন করলে না
কি জন্য আসছ,কেন আসছ,আমি যদি না এই করতাম,আমি যদি না থাকতাম
তুমি কি বেশি বুজ,তুমি কি বেশি জান,আমি না থাকলে,আমি না দিলে
●বরদের সাথে কথা বলার আদব :
১.কথা বলার সময় আপনার থেকে বড়কে কথা বলতে দেবেন
২.বড়দের সর্বদা সম্মান করা, যেমন রাস্তায় আগে যেতে দেওয়া, কিছু পরে গেলে উঠিয়ে দেওয়া ইত্যাদি ও কখনোই উঁচু স্বরে কথা না বলা এবং কিছুতে বিরক্ত না হয়ে ভদ্রভাবে আদব রেখে কথা বলা
৩.বড়দের মুখের উপর মুখ দেবেন না। বড়দের সাথে; যেমনঃ আলেম ও শিক্ষকের সাথে, স্বামী ও আব্বা-আম্মার সাথে কথা বললে জোর গলায় বলবেন না।
৪..কারো সাথে কথা বলার সময়, অন্যজন কথা শেষ করার আগেই মাথা (দৃষ্টি) না সরানো, বা নিজ থেকে কথা শেষ না করে দেওয়া, (ফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য) কথা শোনার ক্ষেত্রেও তাই [উল্লেখ্য, একত্রে তিনজন চলার সময় দুজনের একাকী কথা বলাকেও ইসলাম নিষেধ করে
৫.মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনা,কথা শেষ হতে দেওয়া
৬.কেউ কথা বললে, তার কথা কাটবেন না। তার কথা বলা শেষ হলে, তবে আপনি কথা বলবেন।
৭.অন্যকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে ধমিয়ে না রাখা।
৮.কারো কথার মাজখানে অনুমতি না নিয়ে কথা না বলা
৯.কারো কথা বলার মাঝখানে কথা না বলা
১০.জোর না করা,কেও রেগে থাকলে কথা না বলা চুপ থাকা
১১.অন্যের বিপদে শান্তনা দেয়া
১২.কেউ আপনাকে কথা বলার সময় এদিক-ওদিক তাকালে জেনে নেবেন সে কথা আপনাকে দেওয়া একটি আমানত ও ভেদ। অতএব সে আমানতের খেয়ানত এবং সে ভেদ প্রচার করবেন না।
১৩. কর্কশ ভাষায় কাউকে কথা বলবেন না। বরং নরম ও মিষ্টি করে কথা বলবেন। মহিলা বেগানার সাথে (পর্দার আড়ালে অথবা ফোনে) কথা বলার সময় এমন স্বর, সুর ও ভঙ্গিমায় বলবে না, যাতে রোগা মনের মানুষদের হৃদয়ে তার প্রতি আসক্তির অঙ্কুর গজিয়ে ওঠে
১৪. কথা বলার সময় বড় উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, সবচাইতে ঘৃণিত শব্দ হল গাধার শব্দ।
১৫.শিশুদের পছন্দ করা, স্নেহ করা, তাদের সাথে খেলা করা, কখনো রাগ না হওয়া বা সহজে বকা না দেওয়া, বরং খেলার ছলে ভুল সংশোধন করে দেওয়া বা আদব শিক্ষা দেওয়া,মাথায় হাত ভুলানো।
●কিভাবে বিনয়ী হওয়া যায়?
নিম্নে বিনয়ী হওয়ার ২০টি উপায় প্রদান করা হল:
১. অন্তর থেকে অহংকারকে বিদায় জানানো।
২. সত্যকে ও হককে গ্রহণ করা যদিও তা বয়স, জ্ঞান-গরিমা ও পদমর্যাদায় ছোট কোন ব্যক্তির নিকট থেকে পাওয়া যায়।
৩. কাউকে হেয় না করা বা ছোট নজরে না দেখা।
৪. ভুল হলে নি:সঙ্কোচে স্বীকার করা। ভুল স্বীকার করলে মানুষের সম্মান কমে না বরং বৃদ্ধি পায়।
৫. যথাসাধ্য মানুষের উপকার করা এবং এ জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা বা প্রতিদান পাওয়ার আশা না করা।
৬. কেউ উপকার করলে তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।
৭. মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলা।
৮. ধনী-গরিব সবার সাথে মিলমিশ ও উঠবস করা।
৯. নিজের অর্থ-সম্পদ, জ্ঞান-গরিমা, ক্ষমতা, পদমর্যাদা, সৌন্দর্য, পোশাক ইত্যাদির ক্ষেত্রে অন্যের উপর নিজেকে শ্রেষ্ঠ না ভাবা।
১০. কেউ উপকার করলে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং কখনো তা না ভোলা।
১১. কারো উপকার করলে কখনই তা কারো সামনে উচ্চারণ না করা।
১২. অন্যের কষ্ট, শ্রম ও অবদানের স্বীকৃতি দেয়া।
১৩. বিপদগ্রস্তকে নি:স্বার্থ ভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা।
১৪. মানুষের সাথে আচার-আচরণ ও কথা-বার্তা বলার সময় নম্রতা, ভদ্রতা, শালীনতা ও শিষ্টতা বজায় রাখা।
১৫. অন্যের মতামত মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা এবং তা মূল্যায়ন করা।
১৬. কোনো বিষয়ে নিজের মধ্যে দুর্বলতা থাকলে তা স্বীকার করতে সংকোচ না করা।
১৭. কোনো বিষয় না জানলে ’জানি না’ বলতে সঙ্কোচ না করা।
১৮. আইনকে শ্রদ্ধা করা।
১৯. মানুষের ভালো কাজের প্রশংসা করতে বিলম্ব না করা।
২০. লজ্জাবোধ থাকা এবং নিষ্প্রয়োজনীয় কোনো কথা বা কাজ না করা
●হিংসা-বিদ্বেষ:
তোমরা খারাপ ধারণা করা থেকে বেঁচে থাকো।
কেননা, খারাপ ধারণা সর্বাপেক্ষা বড় মিথ্যা।
আলামত:
১.অন্য কারো কল্যাণের ভালো হলে বা আল্লাহ কাওকে বেশি নেয়ামত দিলে আপনার মনে খারাপ বা কষ্ট লাগে কিনা?
যেমন: শত্রু ভাবা বা অসন্তুষ্ট থাকা।
২.অন্য কারো ক্ষতি বা বিপদ হলে বা তার থেকে আল্লাহ নেয়ামত চলে গেলে খুশি বা আনন্দ লাগে কিনা?
৩.কেও এগিয়ে গেলে,কোনো কিছু হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে,কাওকে কিছু না শিখানো বা দিলে সে এগিয়ে যাওয়ার ভয়।
৪.সব সময় এ ব্যাপারে সতর্ক ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে যেন কোনোভাবেই চলে যাওয়া সে নিয়ামত আর ফেরত না আসে।
৫.কারো গোপনীয় বিষয় বা দোষ অনুসন্ধান করবে না,গোয়েন্দাগিরি করো না।
৬.একে অন্যকে ধোঁকা দেবে না,একে অন্যের পিছনে লেগে থেকো না
৭.একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পোষণ করবে না, পরস্পর বিরুদ্ধাচরণ করবে না
৮.শত্রুতা করবে না, একজনের কেনাবেচা করার সময় অন্যজন দাম বাড়িয়ে দেবে না।পরস্পর লোভ-লালসা কর না
৯.তোমরা একে অন্যের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো না
এন্টিডোট: মাশাল্লাহ তাবারাকাল্লাহ
১. যা দিছে তা আল্লাহ নিয়ামত এর শুক্রিয়া আদায় করা,আল্লাহ এর উপর ভরসা করা।হিংসা চলে আসলে ইরসা করা
২.কাউকে আল্লাহ বেশি নিয়ামত দিলে বা এগিয়ে গেলে খুশি হওয়া,খারাপ কিছু হলে দু:খ হওয়া । দোয়া করা ।
৩.জীবনে যাকে আল্লাহ যাই দিক তাতেই সন্তুষ্ট থাকা,যা আমার জন্য উওম তাই আল্লাহ দিবে যা উওম না তাহ আল্লাহ দিবে না।
৪.যার ভাগ্য যা সে তাই পাবে তাই অখুশি না হওয়া।খুশি হওয়া।
অহংকার::
১.নিজেকে বেশি জ্ঞানী মনে করে ,আর অন্যকে মুখ্য মনে করা যেমন : আমি তো এটা জানি তুমি ত কিছুই জানো না
২.নিজেকে বেশি নামাজি বা শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারি মনে করেআর বাকি মানুষ কে বেনামাজি বা কম ইবাদত কারি মনে করা।
৩.মালদোউলত থাকলে অন্যকে তুচ্ছ করা
৪.মাল দোলত,বংশ,ক্ষমতা,সোন্দযঁ নিয়ে অহংকার করা
৫.নিজেকে নিয়ে গব করা,সম্মান -মযাদা পাওয়ার আশা করা
৬..সব কাজে সফলতা আসলে নিজেকে স্পেশাল মনে করা
তুমি কোনো কাজের না তুমি কোনোদিন কিছু করতে পারবে নাহ,আমাকে দোখো আমি কিভাবে সফল হচ্ছি,নিজেকে বড় করে দেখানো
৭.সালাম ও পাওয়ার আশা করা,সালামের অপেক্ষা করা,,সালাম না দেয়া
৮.অন্যর ভাল suggestions বা উপদেশ নিতে চায় না,নিজের যা যানে তাই সঠিক ভুল হলেও।
৯..কোন মজলিসে গেলে যদি কেউ না দাঁড়ায় সেই আশা করে সে আমার জন্য দারালো না, আমার দিকে ফিরে তাকালো না,নিজেকে সম্মানি মনে করে এজন্য সে দারাবে আশা না করা
কাওকে অপমান না করা
১০.কারো সাথে ওঠা-বসা, খাওয়া-দাওয়া, চলা-ফেরা, কথা-বার্তা বলাকে নিজের মর্যাদাহানি মনে করে। যখন মানুষের সামনে যায় বা মেশে; তখন এমনটি কামনা করে যে, মানুষ তাকে সম্মান করুক; মর্যাদা দেওয়া হোক
১১.কারো সাথে কথা বললে পুরো শরীর ঘুরিয়ে কথা বলা।
গব্-অহংকার করে কথা না বলা,
১২.আল্লাহর হুকুম বিনা প্রতিবাদে মানতে মনে চায় না।
১৩.ধম বিরোধী কাজ করতে অন্তরে ভয় না হওয়া।
১৪. রাসূলদের অনুসরণ করতে মনে না চাওয়া।
১৫. হক ফতোয়া মানতে অন্তরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া।
১৬. মুসলমানদের দেয়া হাদিয়া কবুল না করাও অহংকারের আলামত হিসেবে গণ্য।
১৭.ক্ষুদ্র কাজ করতে লজ্জাবোধ করা
১৮.অন্যর কল্যান কামনা না করা
১৯.ক্ষমা না চাওয়া
২০.দোয়া না চাওয়া
২১.ভালো হালাল কাজ করতে লজ্জাবোধ করা
তাকাব্বুর বা অহংকার এর অর্থ হলঃ প্রশংসনীয় গুণাবলীর মধ্য নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করা এবং অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা, হক ও সত্যকে অস্বীকার করা। বলা বাহুল্য যে, যখন মানুষ নিজের ব্যাপারে এরূপ ধারণা পোষণ করে এবং আল্লাহর দেয়া গুণসমূহকে নিজের কৃতিত্ব মনে করে তখন তার নফস ফুলে উঠে, অতঃপর কাজকর্মে এর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেতে থাকে, উদাহরণস্বরূপ: রাস্তায় চলার সময় সাথীদের আগে আগে চলা, মজলিসে সদরের মাকামে বা সম্মানিত স্থানে বসা। অন্যদেরকে তাচ্ছিল্যের সাথে দেখা বা আচরণ করা অথবা কেউ আগে সালাম না দিলে তার উপর গোস্বা হওয়া, কেউ সম্মান না করলে তার উপর অসন্তুষ্ট হওয়া, কেউ সঠিক উপদেশ দিলেও নিজের মর্জির খেলাফ হওয়ায় সেটাকে অবজ্ঞা করা। হক কথা জানা সত্ত্বেও সেটাকে না মানা। সাধারণ মানুষকে এমন দৃষ্টিতে দেখা যেমন গাধাকে দেখা হয় ইত্যাদি
অন্তরে যেন নিজের বড়ত্বের চিন্তা না থাকে। বরং ভাবুন, আমার যা কিছু আছে সব আল্লাহর দান। যখন ইচ্ছা করেন তিনি তা ছিনিয়েও নিতে পারেন। আমার নিজস্ব কোনো গুণ নেই। আল্লাহ তাআলা অন্যদেরকে অনেক গুণ ও বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। তাই তাদের অনেক কামাল ও যোগ্যতা রয়েছে। এভাবে নিজেকে বড় মনে না করার নামই তাওয়াযূ বা বিনয়।
যখন কারো অন্তরে তাওয়াযূ থাকবে এবং সে বিশ্বাস করবে যে, আমি ছোট, অন্য সবাই বড় তাহলে সে কি কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারবে? পারবে না। বড়র সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করে না।
মানুষ খারাপ আচরণ করে তখনই যখন সে নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্যকে ছোট ও তুচ্ছ মনে করে। সে চিন্তা করে যে, আমি তো বড়, সবার কর্তব্য আমার সম্মান করা ও অনুগত থাকা। কিন্তু ঐ লোকটা আমার যথাযথ সম্মান করেনি। সুতরাং সে অন্যায় করেছে। সে আমার ভালো আচরণ পাওয়ার যোগ্য নয়। তো তাকাববুর ও অহংকারই হচ্ছে সকল মন্দ আচরণের মূল।
অহংকার :
সবই আল্লাহর দয়া
অহংকার হলো নিজেকে বড় মনে করা, নিজের ভালো গুণে প্রীত হওয়া, অন্য মানুষকে নীচ ও ছোট মনে করা, মানুষকে হেয় করা,যাদের প্রতি বিনয়ী হওয়া দরকার তাদের চেয়ে নিজকে উঁচু মনে করাই অহংকার।
১. সে কিছুই জানে না এমনভাবে চলাফেরা করলেও মনে মনে ভাবে- সে বেশি বা অনেক জানে।
২. যে কোনো বিষয়ে নিজেকে অভিজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞ জানা।
৩. অন্যকে তুচ্ছ বা চুনোপুঁটি ভাবা।
৪. কাউকে ছোট লোক বা ছোট লোকের বাচ্চা মনে করা।
৫. এখানকার সবার কাছে পরিচিত বলে ভাব নেওয়া।
৬. আমিত্ব ভাব প্রকাশ করা যেমন- আমি না হলে...; আমি না থাকলে...।
৭.এমন বলে ভাব নেওয়া- যা করেছি তা শুধু তোদের জন্য....।
৮. অন্যকে বোকা বা মূর্খ আখ্যায়িত করে বলা- আরে, তার কথা বলেন না! আমি না থাকলে ওর কোনো কিছুই হতো না বা ভাতও জুটতো না... ইত্যাদি।
৯. যখন শয়তান তাকে কৌশলে গ্রাস করে ফেলে। তখন তার নিজের কথা, কাজ ও কৌশলকে নিখুঁত, নির্ভেজাল ও সর্বোত্তম ভাবতে শুরু করে। অন্যের বিশ্বাস, কথা ও কাজকে সন্দেহ করতে থাকে এবং অন্যের ভুলকে বড় করে ধরে নিজের গৌরবকে ফুটিয়ে তোলে।
১০. নিজের বোকামি থাকলে অন্যকেও বোকা মনে করে; যা প্রকান্তরে অহংকার।
১১. নিজের বড় বড় ত্রুটি ঢাকতে অন্যের ত্রুটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
১২. আল্লাহর ভয় কম থাকলে বা না থাকলে অহংকার ঢুকে যায়।
১৩. নিজের আশ-পাশে চাটুকার ও অযোগ্য লোক থাকলেও লোকেরা অহংকারী হয়ে যায়।
১৪. নিজে যা পাবার যোগ্য তার চেয়ে বেশি পেয়ে গেলেও মানুষে অহংকারী হয়ে যায়।
১৫. নিজের প্রশংসা অন্যের মুখে বেশী করে শুনতে থাকলেও মানুষ অহংকারী হয়ে যায়।
১৬.নিজের আত্মসমালোচনা যত কম হয়, অহংকার ততবেশি পেয়ে যায়।
১৭. অন্যের মুখে নিজের সমালোচনা শোনার ধৈর্য্য কমে গেলেও আস্তে আস্তে মনে অহংকার ঢুকে পড়ে।
১৮. কথা-কাজ-আচরণে বিনয় কমে গেলে অহংকার জায়গা করে নিতে থাকে।
১৯.অন্যর গুনা নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য না করা।কত গুনা করে গুনা ছাড়া কি তাদের আর কোন কাজ নাই, কত গুনা করব আর
২০.কাওকে কিছু বুজানোর পর যদি না বুজে তাহলে আমার কিছু দোষ আমার দায়িত্বএ কোনো সমস্যা আছে
২১.সবসময় নিজেকে সঠিক মনে করা ভুল হওয়া সত্তেও
২২.নেয়ামত কে নিজের হক মনে করাও অহংকার
২৩.নেয়ামত নিজের যোগ্যতার জন্য পেয়েছি
২৪.আত্মতুষ্টি বা নিজেকে নিজে সঠিক মনে করা মূলত অহংকারেরই ভূমিকা বা প্রাথমিক রূপ। পার্থক্য শুধু এতোটুকু, অহংকারের ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় নিজের নফসকে বড় মনে করা হয় আর আত্মতুষ্টির মধ্যে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা ছাড়াই স্বীয় নফসকে নিজ খেয়ালে পূর্ণাঙ্গ মনে করা হয়। আল্লাহপ্রদত্ত নেয়ামতসমূহকে নিজের হক মনে করা হয়। অর্থাৎ এটাকে আল্লাহর দান ও অনুগ্রহ মনে করা হয় না। সেটা যেকোনো মুহূর্তে ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে, সে ব্যাপারে শঙ্কাহীন হয়ে পড়া। এটাকেই তাসাউফের পরিভাষায় ‘উজুব’ বা ‘খোদপসন্দি’ বলে। এর চিকিৎসা করা না হলে এটাই কিছুদিন পরে অহংকারে পরিণত হয়ে বান্দাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।
২৫.নিজের গুণে গর্বিত না হয়ে নিজের গুণগুলি আল্লাহর দান মনে করা।
সবই আল্লাহর দয়া
আল্লাহর দান
আমি রাজা বাদশা নই
অহংকারের আলামত:
১.শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করা : সবার কাছে নিজেকে শ্রেষ্ঠ করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা, অন্যকে তুচ্ছ ভাবা ধ্বংসের কারণ।
২.হাঁটাচলায় বড়ত্ব প্রকাশ করা অহংকারীদের কাজ। বর্তমান সমাজে দেখা যায়—পেছনে দলবল নিয়ে কিছু মানুষ এমনভাবে চলেন যেন আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ।
৩.অধীনস্তদের প্রতি দুর্ব্যবহার করা ও তাদেরকে নিকৃষ্টভাবে খাটানো।
৪.লোকদের কাছে বড়ত্ব যাহির করা ও নিজের ত্রুটি বা দোয ঢেকে রাখা।
৫.অন্যকে নিজের তুলনায় ছোট মনে করা।
৬.মানুষের সামনে মুখ ঘুরিয়ে বা অন্যদিকে কথা বলা অহংকারের আলামত---আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নেবে না। আর জমিনে দম্ভভরে চলাফেরা করবে না।
৭.নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবা : দুনিয়ার প্রত্যেক মানুষ আল্লাহর দয়ায় চলে। কাউকেই আল্লাহ স্বয়ংসম্পূর্ণ করেননি। তাই যারা নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ ভেবে অন্যকে অবজ্ঞা করে তাদের ব্যাপারে রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি। মানুষ অবশ্যই সীমা লঙ্ঘন করে। কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।
৮.কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা : দরিদ্র মানুষ ও অধীনস্থদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, অর্থ-সম্পদ, সৌন্দর্যের কারণে অন্যের প্রতি অন্তরে কোনো তুচ্ছভাব উদ্রেক হওয়াটা অহংকারের লক্ষণ।
৯.অন্যের আনুগত্য ও সেবা করাকে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করা : এই প্রকৃতির লোকেরা সাধারণতঃ উদ্ধৃত হয়ে থাকে। এরা মনে করে সবাই আমার আনুগত্য ও সেবা করবে, আমি কারু আনুগত্য করব না
১০.প্রভাব খাটিয়ে অন্যের হক নষ্ট করা : এটি অহংকারের একটি বড় নিদর্শন। এর শাস্তি অত্যন্ত লাঞ্ছনাকর। অন্যায়ভাবে কারো সম্মানহানি করলে কিয়ামতের দিন অহংকারী ব্যক্তিকে পিঁপড়াসদৃশ করে লাঞ্ছনাকর অবস্থায় হাঁটানো হবে
১১.অহেতুক জেদ করা : অনেকেই আছে নিজের ভুল কখনো স্বীকার করে না। নিজের ভুলগুলো অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়।
১২.সত্যকে অস্বীকার করা।অহংকার হলো সত্যকে দম্ভের সঙ্গে পরিত্যাগ করা এবং মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা।
১৩.মিথ্যা বা ভুলের উপর যিদ করা : এটি অহংকারের অন্যতম নিদর্শন।
কুফরি বাক্য:
১) আপত্তি করে বলা: এ ব্যক্তি লোকদের সাথে যা কিছুই করুক, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য পূর্ণ (full) স্বাধীনতা রয়েছে।
২) এইভাবে আপত্তি করে বলা: কখনো আমরা অমুকের সাথে সামান্য কিছু করলে আল্লাহ তৎক্ষনাৎ আমাদের পাকড়াও করে ফেলেন।
৩)আল্লাহ সর্বদা আমার শক্রদের সহায়তা করেছেন।
৪)সর্বদা সবকিছু আল্লাহর সমীপে সমর্পণ করেও দেখেছি, কিছুই হয়না।
৫)আল্লাহ তাআলা আমার ভাগ্যকে এখনো পর্যন্ত সামান্য ভাল করলেন না।
৬)হয়তো তাঁর ভান্ডারে আমার জন্য কিছুই নেই। আমার পার্থিৰ আশা-আকাঙ্খা কখনো পূর্ণ হলো না। জীবনে আমার কোন দোআ কবুল হলো না। যাকে চেয়েছি সে দূরে চলে গেলো ।আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো । সব ইচ্ছাই অপূর্ণ রয়ে গেলো ।এখন আপনিই বলুন, আমি আল্লাহর উপর কীভাবে ঈমান আনব?
৭)এক ব্যক্তি আমাদেরকে অত্যাচারে অতিষ্ট করে রেখেছে। মজার কথা হচ্ছে, আল্লাহও এমন লোকদের সহায়তা করে থাকেন।
৮) যে ব্যক্তি বিপদে পড়ে বলে: হে আল্লাহ! তুমি সম্পদ কেড়ে নিয়েছ। অমুক জিনিস কেড়ে নিয়েছ। এখন কি করবে? অথবা, এখন কিকরতে চাও? কিংবা, এখন কি করার বাকী রয়েছে?- তার এ কথা কুফরি
৯) যে বলে: আল্লাহ তাআলা আমার অসুস্থতা ও ছেলের কষ্ট সত্তেও যদি আমাকে শাস্তি দিয়ে থাকেন, তবে তিনি আমার উপর জুলুম করলেন ।- এটা বলা কুফরী।
১০) আল্লাহ তাআলা সর্বদা দুষ্ট লোকদের সহায়তা করেছেন।
১১)আল্লাহ তাআলা অসহায়দের আরও পেরেশান করেছেন।
১২) যে বলে: হে আল্লাহ! আমাকে রিযিক দাও আর আমার উপর অভাব অনটন চাপিয়ে দিয়ে অত্যাচার করো না।এমন বলা কুফরী
১৩)অনেক লোক কর্জ ও ধন সম্পদ অর্জনের জন্য, অভাব- অনটন, কাফিরদের সান্নিধ্যে চাকুরীর জন্য ভিসা-ফরমে, অথবা কোন ভাবে টাকা ইত্যাদি মওকুফের জন্য দরখাস্তে যদি নিজেকে খ্রীষ্টান, ইহুদী, কাদিয়ানী কিংবা যে কোন ধরণের কাফির ও মুরতাদ সম্প্রদায়ের পরিচয় দেয় অথবা লিখানো হয় তার উপর কুফুরীর বিধান বর্তাবে।
১৪)কারো নিকট আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন কালে বলা বা লিখা: আপনি ? যদি কাজ করে না দেন, তবে আমি কাদিয়ানী বা খ্রীষ্টান হয়ে যাব।এমন উক্তিকারী তৎক্ষনাৎ কাফির হয়ে গেছে। এমনকি কেউ যদি বলে।যে, আমি ১০০ বছর পর কাফির হয়ে যাব।- সে এখন থেকেই কাফির হয়ে গেছে।
১৫)“কেউ পরামর্শ দিল: তুমি কাফির হয়ে যাও। এমতাবস্থায়, সে কাফির হোক বা না হোক, পরামর্শদাতার উপর কুফরির বিধান বর্তাবে। এমনকি কেউ কুফুরী বাক্য উচ্চারণ করল, এর প্রতি সন্তুষ্ট ব্যক্তির উপরও কুফুরীর বিধান বর্তাবে। কেননা কুফরিকে পছন্দ করাও কুফরি।
১৬)বাস্তবিক পক্ষে যদি আল্লাহ ?থাকত, তবে অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করত, খণপ্রস্তদের সহায় হত।
১৭)আমি জানি না আল্লাহ তাআলা যখন আমাকে দুনিয়াত কিছু দিলেন না, ত তবে আমাকে সৃষ্টিই বা কেন করলেন?- এ উক্তিটি কুফরী ।
১৮)কোন অভাবগ্রস্ত লোক নিজের অভাব-অনটন দেখে বলল: হে আল্লাহ! অমুকও তোমার বান্দা, তুমি তাকে কত নিয়ামতই দিয়ে রেখেছ এবং আমিও তোমার আরেক বান্দা, আমাকে কত দুঃখ-কষ্ট দিচ্ছ। এটা কি ন্যায় বিচার?
১৯)কথিত আছে: আল্লাহ তাআলা ধৈর্য্যশীলদেরসাথে আছেন, আমি বলছি এসব প্রলাপ মাত্র।
২০)যেসব লোককে আমি ভালবাসি তারা পেরেশানীতে থাকে, আর যারা আমার শত্রু,আল্লাহ তাআলা তাদেরকে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য রাখেন
২১)কাফির ও অম্পদশালীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য আর গরীবও অভাবগ্রস্তদের জন্য দুরদশা।আল্লাহর ঘরের তো সমস্ত রীতিই উল্টো
২২)যদি কেউ অসুস্থতা, রোজগারহীনতা, অভাব-অনটন অথবা কোন বিপদ আপদের কারণে আল্লাহ তাআলার বিরুদ্ধে আপত্তি করে বলে: হে আমার রব! তুমি কেন আমার উপর অত্যাচার করছ? অথচ আমি তো কোন গুনাহ করিনি- তবে সে ব্যক্তি কাফির।
২৩)কারো মৃত্যু হল, একে কেন্দ্র করে অন্যজন বলল: |আল্লাহ তাআলার এমনটি করা উচিত হয়নি।
২৪)কারো পুত্রের মৃত্যুহল, সে বলল: আল্লাহ তাআলার কাছে এর প্রয়োজন ছিল।- এই উক্তিটি কুফরী । কারণ উক্তিকারী আল্লাহ তাআলাকে মুখাপেক্ষী সাব্যস্ত |করেছে।
২৫) কারো মৃত্যুতে সাধারণত বলে থাকে: না জানি আল্লাহ তাআলার কাছে তার ?কী প্রয়োজন হয়ে গেল যে, এত তাড়াতাড়ি আহবান করলেন? অথবা ? বলে থাকে: আল্লাহ তাআলার নিকটও নেক্কার লোকদের প্রয়োজন হয়, একারণে শীঘ্রই উঠিয়ে নেন। (এমন উক্তি শুনে মর্ম বুঝা সত্তে | সাধারণত লোকেরা হ্যা-র সাথে হ্যা! মিলিয়ে থাকে, অথবা এর সমর্থনে মাথা নেড়ে থাকে এদের সবার উপর কুফরের বিধান আরোপিত হবে।
২৬)কারো মৃত্যুতে বলল: হে আল্লাহ! তার ছোট ছোট সন্তানদের প্রতিও কি তোমার করুণা হল না!
২৭) কোন যুবকের মৃত্যুতে বলল: হে আল্লাহ এর ভরা যৌবনের প্রতি হলেও করুণা করতে নিতেই যদি হতো, তবে অমুক বৃদ্ধ কিংবা অমুক বৃদ্ধাকে নিয়ে যেতে
২৮)হে আল্লাহ: তোমার কাছে তার এমন কি প্রয়োজন পড়ে গেল যে, এ মুহুর্তেই (এত আগে ভাগেই) তাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলে।
২৯)অকাল অসময়ে মৃত্যু
১. আল্লাহর সাথে হিল্লাও লাগে।
২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। ( ফুল চন্দন হিন্দুদের পুজা করার সামগ্রী)
৩. কস্ট করলে কেস্ট মেলে ( কেস্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জণ্য কস্ট করছেন?)
৪. মহভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?( মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)
৫। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ( এটি ইসলামের নামে কটূক্তি করা)
৬। লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে, লক্ষী স্ত্রী বলা। ( হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি হারাম)
৭। কোন ঔষধকে জীবন রক্ষকারী বলা। ( জন্ম- মৃত্য একমাত্র আল্লাহর হাতে)
৮। দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা। ( এর অর্থ রাজাদের রাজাধীরাজ)
৯। নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলশি পাতা বলা। ( এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা হারাম)
১০। ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাঊস, ইয়া কুতুব ইত্যাদি বলা।( এটি শির্ক, ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ)
১১। ইয়া আলি, ইয়া রাসুল (সাঃ) বলে ডাকা এবং সাহায্য প্রার্থনা করা (আল্লাহ ছাড়া পৃথীবির কাউকে ডাকা শির্ক)
১২। বিসমিল্লায় গলদ বলা। ( এটি সরাসরি কুফরি)
১৩। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া বলা। ( কুফরি বাক্য, সাবধান। )
১৪। মধ্যযুগি বর্বরতা বলা। ( মধ্যযুগ ইসলামের সর্ণযুগ)
১৫। মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না। ( ইসলাম ধংসকারী মতবাদ)
১৬। নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা।
১৭| ইসলান নিয়ে ফাইজলামি,রসিকতা,ঠাটটা-মজা,বিদ্রুপ,উস্কানিমূলক কথা বলা
যে ঘরে রহমতের ফেরেস্তা আসে না:
●নাপাক ব্যক্তি, মদ্যপ ও হারাম (রংযুক্ত সুগন্ধি) দ্বারা রং গ্রহণকারী,ছবি, মূর্তি থাকে এবং কুকুর
●পেসাব পায়খানা,জুনুর এর আওয়াজ
●কেয়ামত এর দিন আল্লাহ তাকাবেন না :
(১) যে ব্যক্তি কোন কিছু দান করে খোঁটা দেয়,দান করে যে প্রচার করে বেড়ায়।
(২) যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম করে দোকানদারী করে
(৩) যে ব্যক্তি টাখ্নুর নীচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করে।
(৪)যে ব্যক্তি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি মানুষকে দেয় না।
(৫)যে ব্যক্তি আসরের সালাতের পর একজন মুসলমানের মাল-সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কসম করে।
(৬) বৃদ্ধ যেনাকার
(৭) মিথ্যাবাদী শাসক এবং
(৮) অহঙ্কারী দরিদ্র ব্যক্তি’
(৯)ছবি নির্মাতাদের জন্য।
(১০)যে পার্থিব লাভের আশায় কোন মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে বায়আত (অঙ্গীকার) করে।
প্রস্রাব থেকে পবিত্র না থাকা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(১১)কিয়ামতের দিবসে আমি নিজে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব। ১. যে আমার নামে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করল।
২.কোন আযাদ মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল।
৩. যে কোন মজুর নিয়োগ করে তার হতে পুরো কাজ আদায় করে এবং তার পারিশ্রমিক দেয় না।
●মুসলমান হয়েও জান্নাতে যাবে না:
১. প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ কারী।
২. পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।
৩. আত্তিয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী।
৪. হারাম দিয়ে দেহ গঠনকারী।
৫. উগ্রতা/অশ্লীল ভাষা ব্যবহারকারী।অশ্লীলভাষী,উগ্র মেজাজি, কটূভাষী
৬. যে শাসক প্রজাদেরকে ধোকা দেয়।
৭. অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎকারী
৮. উপকার পর খোঁটা দানকারী।
৯. চোকলখোর যে অন্যের দোষ বলে বেড়ায়।
১০. যে নিজের পিতা-মাতাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পিতা-মাতা হিসেবে গ্রহণ করে।
১১. দাস্তিকতা বা অহংকার কারী।
১২. যে রাসূল সাঃ কথাকে সবকিছুর উপর প্রাধান্য দেন না বা দিতে চায় না।
১৩. যে মহিলা কথায় কথায় অকারণে স্বামীর কাছে তালাক চায়।
১৪. যে আলেম দুনিয়ার অর্থ বা সম্মানের লাভের জন্য জ্ঞান শিখেছে।দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে যারা ইলম শিখে
১৫. কালো কলপ ব্যবহার কারী।
১৬. লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে আমল কারী
১৭. যে ওয়ারিশকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে।
১৮.যাদুর প্রতি বিশ্বাসকারী,গণক তথা জ্যোতিশ ব্যক্তির কথা বিশ্বাসকারী
১৯.সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী
২০.বেপদা নারী যারা কাপর পরেও নগ্ন থাকে,উলঙ্গ-অর্ধ উলঙ্গ নারী
২১.আত্মহত্যাকারী
২২.তাকদির (ভাগ্য) অস্বীকারকারী
২৩.ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি
২৪. পুরুষ বেশধারী নারী,নারি বেশধারী পুরুষ
২৫. দাইয়ুস(যে তার স্ত্রী'কে ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে অশ্লীল কাজ ও ব্যভিচারের সুযোগ দেয়)
২৬.আল্লাহর রাসুলের নাফরমান
২৭.ওয়ারিশকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিতকারী
২৮.চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যাকারী
২৯.বিশ্বাসঘাতক শাসক
সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি:
১.তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।জিহাদ
২.নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।
৩.তোমাদের মধ্যে ভালো লোক সে, ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো যে।
৪.তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।
৫.তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের ও বউ এর কাছে ভালো শ্রেষ্ঠ।
৬.মানুষ কে খাদ্য দান করে ও মানুষ কে সালাম দেয় ও সালামের জবাব দেয়
৭.যারা নামাজের মধ্যে নিজেদের কাঁধ বেশি নরম করে দেয়।
৮.সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ ও কর্ম ভালো হয়।
৯. সর্বোত্তম মানুষ সে, যে মানুষের জন্য অধিক কল্যাণকর ও উপকারী।
১০.আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।
১১.কোন ব্যক্তি মুসলিমদের মধ্যে সবচাইতে উত্তম? তিনি বললেনঃ যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে
১২.শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, ‘যে অন্তর স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ।
সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ:
১.মানুষের মধ্যে দুই রূপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যে এ দলের নিকট আসে এক রূপ নিয়ে এবং অন্য দলের নিকট আসে অন্য আরেক রূপ নিয়ে।
২. আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে।
৩.আর নিকৃষ্ট পাপাচারী ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, কিন্তু পাপের কাজে কোনো পরোয়া করে না।
৪.যে ব্যক্তি অপরের পার্থিব স্বার্থে আখিরাতকে বিনষ্ট করেছে, কিয়ামতের দিন সে হবে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি।
৫.যে নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং যার সাথে তার স্ত্রী মিলিত হয়, অতঃপর সে এর গোপনীয়তা প্রকাশ করে বেড়ায়।
উম্মত নয়:
১.যারা শোকে গালে আঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে ও জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়,বিপদে চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে, আঁচল ছিঁড়ে বিলাপ করে কাঁদে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
২.যে আমার সুন্নাত হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।
৩.যে ব্যক্তি শাসকদের মিথ্যাচারে সমথর্ন করেন ও অন্যায় কাজে সমথর্ন ও সহযোগিতা করেন
৪.যে ব্যক্তি লুট করে কিছু আত্মসাৎ ও প্রতারণা করে,সে আমাদের দলভুক্ত নয়
৫.যে ব্যক্তি কোন গণক নিকট গেল
৬.যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।
৭.যে ব্যাক্তি মধুর সূরে কুরআন পাঠ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
৯.নবিজি সা: শিখানো পদ্ধতি বাদ দিয়ে অন্য পদ্ধতিতে শাসন করে
১০. যে ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা ক্রীতদাসকে তাঁর মনিবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়
১১.যে ব্যক্তি মোচ কাটে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
১২.যেসব নারী পুরুষের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যেসব পুরুষ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
১৩.সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের উপর অস্ত্র তোলে। আর যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়
১৪.যে ব্যক্তি তাদের প্রতিশোধের ভয়ে সাপ (না মেরে) ছেড়ে দিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।
১৫.যে ব্যক্তি মুসলিম শাসকের আনুগত্য থেকে বের হয়ে যায়।
১৬.যে ব্যক্তি আমাদের বড়দেরকে সম্মান দেয় না, ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আলেমের অধিকার চেনে না।
১৭.যে ব্যক্তি এমন জিনিস দাবী করে যা তার নয়, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়
১৮.যে ব্যক্তিকে তীরন্দাজির বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হল, তারপর সে তা পরিত্যাগ করল, সে আমাদের দলভুক্ত নয় অথবা সে অবাধ্যতা করল।
১৯.যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজ পিতার পরিবর্তে অন্য কাউকে পিতা বলে, সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি এমন কিছু দাবী করে যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
২০.যে ব্যক্তি আমানতের উপর শপথ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
২১.বিতর সলাত জরুরী বা অবধারিত । অতএব যে তা আদায় না করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয় (অর্থাৎ আমাদের অনুসারী নয়)
মুনাফিক :
●.মু'মিনই আমার সাথে মহব্বত রাখবে, আর মুনাফিকই আমার প্রতি শক্ৰতা পোষণ করবে।
●যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার উদাহরণ যেন কমলালেবু, এর স্বাদ ও ঘ্রাণ উভয়ই উত্তম, আর যে মু’মিন কুরআন পড়ে না, তার উদাহরণ যেন খুরমা, যার স্বাদ উত্তম, কিন্তু কোনও ঘ্রাণ নেই। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে, সে যেন রায়হানা ফুল, যার ঘ্রাণ তো উত্তম, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না সে যেন হানযালা ফল, এর স্বাদ তিক্ত আবার ঘ্রাণও নেই।
●গান-বাজনায় মগ্ন থাকা,বাচাল হওয়া,অশ্লীলতা পছন্দ করা
●দ্বিমুখী আচরণ অন্তরে ইমান নেই। ইমান তিনটি জিনিসের সমন্বয়ের নাম ১.অন্তরে ২.মুখে ৩.কাজে
●উপহাসকারি মুমিনদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা
● প্রতারক ও ধোঁকাবাজ,অহংকারী
● তাদের অন্তর অসুস্থ,তারা আলোর কাছে আসে না
●নিজেদের শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী মনে করে
● অবাধ্যতার বিভ্রান্তিতে ঘুরে বেড়ায়,ভ্রষ্টতা ক্রয় করে দুনিয়ার লালসায় হেদায়েতের বিনিময়ে তারা ভ্রষ্টতাকে গ্রহণ করে
●তারা বধির, মূক ও অন্ধ : মুনাফিকরা সত্য শোনার ব্যাপারে বধির। সত্য কথা বলার ব্যাপারে মূক ও বোবা। সত্য কথা তাদের মুখে আসে না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তারা বধির, বোবা ও অন্ধ। তারা (হকের দিকে) আদৌ ফিরে আসবে না
● তারা সন্দেহপ্রবণ, দ্বিধাগ্রস্ত ও সুবিধাবাদী,সুসময়ের সঙ্গী
● আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টিকারী
●পবিত্র কোরআন নিয়ে সন্দেহপোষণ করা
●আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হুকুম-আহকাম ও বিধি-বিধান অপছন্দ করা
●.ইসলামের বিজয় এবং মুসলিমদের সাহায্য করাকে অপছন্দ করা এবং মুসলিমদের অপমান-লাঞ্ছনায় খুশি হওয়া
●মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ ও ফেৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা এবং মুসলিমদের মধ্যে অনৈক্য তৈরী করা এবং এটা করতে পছন্দ করা।
●ইসলামের দুশমন ও কাফের নেতৃবৃন্দকে ভালোবাসা, তাদের প্রশংসা করা এবং তাদের ইসলাম বিরোধী মতাদর্শ প্রচার-প্রসার করা।
●মুমিনদের নিয়ে টিপ্পনী কাটা, উপহাস করা এবং তাদের দোষ খুঁজে বেড়ানো
●ঘৃণা ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে মুমিনদের ডাকে সাড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
●আল্লাহর দিকে ডাকলে দাম্ভিকতার সঙ্গে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া
●আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেওয়া এবং যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান এনেছে এমন মুমিনদের কষ্ট দেওয়া।
●আল্লাহর পথে দান করতে নিষেধ করে
◾জমিনে (অযথা) ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে,
◾মু’মিনদেরকে নির্বোধ বলে অপবাদ/গালি দেয়,
◾আল্লাহ, রাসূল ও দীনের বিষয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে,
◾কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখা,
◾মু’মিনদের ক্ষতির প্রতীক্ষা করে বা ক্ষতি করে,
◾অসৎ কাজের নির্দেশ; সৎ কাজে বাধা প্রদান করে,
◾তাগুতের কাছে বিচার ফায়সালা চাই,
◾আল্লাহ ও রাসূলের পথ হতে মুখ ফিরিয়ে রাখে,
🔴 অভ্যাসগতঃ
(০১) কথা বললে মিথ্যা বলে; তাদের কথা ও কাজে মিল থাকে না
(০২) যখন ওয়াদা করলে, তা ভঙ্গ করে
(০৩) আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে
(০৪) যখন ঝগড়া করে অশ্লীল গালাগালি করে
(০৫) আনসার সাহাবীদের ভালোবাসে না
(০৬) নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আনন্দিত হয় এবং
(০৭) যা করেনি তার জন্যও প্রশংসিত হতে চাই
🔴 ইবাদতগতঃ
(০৮) জামা'আতে নামাজ আদায় করা ছেড়ে দিবে
(০৯) জামায়াতে নামাজ আদায় না করে একাকী নামাজ আদায় করবে
(১০) ফজর ও এশার নামায অপেক্ষা অধিক ভারী (কষ্টকর) নামায আর নেই (আদায় করতে চাইনা)
(১১) যখন তারা নামাযে দাঁড়ায় তখন অলসতার সাথে নিছক লোক-দেখানোর জন্য দাঁড়াবে-সালাতকে ভারী মনে করা ও নামাজে অলসতা
(১২) আল্লাহকে তারা অল্পই স্মরণ করে থাকে
(১৩) আসরের সালাত দেরিতে আদায় করে (অর্থাৎ, সূর্য যখন হলুদ রং হয় এবং শয়তানের দু’ শিংয়ের মাঝখানে এসে যায় তখন মুনাফিকরা সালাত পড়ে যেন তাড়াহুড়োয় ৪ বার ঠোকর মারে)
(১৪) আযান হয়ে যাওয়ার পরে একমাত্র মুনাফিক ব্যতীত আর কেউ মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় না। তবে যে লোকের কোনো প্রয়োজন থাকে এবং জামায়াতের আগেই আবার মসজিদে ফিরে আসার নিয়ত রাখে, তাহলে তার কথা ভিন্ন এবং এছাড়া, কোন কারণ ছাড়াই পরপর তিনটি শুক্রবার জুমুয়াহ নামাজ ত্যাগ করাও নিফাকি।
🔴 স্বভাবগতঃ
(১৫) যারা মুখে বলে ঈমানের কথা কিন্তু অন্তরে আছে কুফরী, কপটতা
(১৬) ঐ লোক যে খুঁজে খুঁজে (দোষ) বা গুজব বের করে এসব জমা করে বা রটায়
(১৭) দুনিয়াতে যে ব্যক্তি দু'মুখ বিশিষ্ট (মুনাফিক, অর্থাৎ, এদিকে এক কথা, ওদিকে গিয়ে আরেক কথা) কিয়ামতের দিন তার আগুনের দু'টি মুখ হবে
(১৮) যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ কোন যুদ্ধ করল না, এমনকি যুদ্ধ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করল না
(১৯) দ্বীনের জন্য যুদ্ধে বের হতে বললে, তারা পিছনে গা ঢাকা দিয়ে থাকবে এবং রসূলুল্লাহ ﷺ এর বিরুদ্ধে অবস্থান করাতেই (তার নির্দেশনার বিপক্ষে) তারা উচ্ছাস (আত্নতুষ্ট) থাকে বা, প্রকাশ করে
🔴 বিবিধঃ
(২০) মু'মিন এক পেটে খায় আর কাফির অথবা মুনাফিক সাত পেটে খায় (অর্থাৎ, পেট পুরো
(২১) যে মহিলারা স্বীয় স্বামীর সাথে মনোমালিন্য করে এবং খুলা করে (স্বামী কাছে টাকা পাওনা থাকলে তা মাফ করে তার বিনিময়ে তালাক খুজাঁ) অথবা, খোলা তালাক প্রার্থিনী ও বিবাহ বন্ধন ছিন্নকারিণীরা মুনাফিক মেয়ে
(২২) একজন মুনাফিকদের পক্ষ নিয়ে মুমিনের বিরুদ্ধে ঝগড়ায় লিপ্ত হবে বেশিরভাগ সময়
[০১] তাফসীরে ইবনে কাসির, ফাতহুল মাজিদ (63)
[০২] বুখারী, ২৯৫১
[০৩] বুখারী, ৩৫০৯
[০৪] বুখারী, ৪২০৮
[০৫] মুসলিম, ১৩৬১, রিয়াদুস সালেহিন, ১০৭৬
[০৬] আবু দাউদ, ৭৯১
[০৭] রিয়াদুস সালেহিন, ১০৮০
[০৮] সূরা নিসা, ১৪২, রিয়াদুস সালেহিন, ১৬২৪
[০৯] মুসলিম, ১২৯৯, ১২৮৮
[১০] সুনান দারেমি, ৪৬০
[১১] তাফসিরে ফাতহুল মাজিদ, ৬৩/৩
[১২] মুসলিম ৬৭৬৫, তিরমিজি, ৩১৮০
[১৩] আবু দাউদ, ৪৭৯৭
[১৪] আবু দাউদ, ২৪৯৪
[১৫] মুসলিম, ৬৭৭৬
[১৬] আল লুলু ওয়াল মারজান, ১৩৩৪
[১৭] তিরমিজি, ৩৪৬৫
[১৮] নাসাঈ, ৩৪৬১
[১৯] বুখারী, ২৪৮৫
ইমানের শাখা ৭৭টি:
● অন্তরের সাথে সংশ্লিষ্ট ইমানের শাখা ৩০টি:
(১) আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। অর্থাৎ আল্লাহ সর্বশক্তিমান,সবকিছুর স্রষ্টা,অনাদি অনন্ত তাঁর সত্তা, চিরকাল আছেন ও চিরকাল থাকবেন।তাঁর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। তিনি সকলেরই সৃষ্টিকর্তা, স্বয়ং সম্পূর্ণ
(২) আল্লাহ ছাড়া অন্য সব কিছু তাঁরই সৃষ্টি—এই বিশ্বাস।সৃষ্টিকূলের ক্ষণস্থায়ীত্বে বিশ্বাস করা যে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সব জিনিসের কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না। এক আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং অস্তিত্ব দান করেছেন
(৩) ফেরেশতাদের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস।
(৪) আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস।১০৪টি
(৫) সব নবী-রাসুলের প্রতি বিশ্বাস।
(৬) ভালো-মন্দ তাকদিরের ওপর বিশ্বাস। জগতে যা কিছু হয়েছে, হচ্ছে বা হবে সবই আল্লাহ তায়ালা আদিকাল হতেই জানেন এবং সে হিসেবে নির্ধারিত। তাঁর জানার বা ইচ্ছার বিপরীত কোন কিছুই হয় না
(৭) কিয়ামত ও বিচার দিবসের পুনুরুথান এর প্রতি বিশ্বাস। পুনরায় সকলকে জীবিত হয়ে সমস্ত জীবনের পাপ পুণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব দিতে হবে
(৮) জান্নাত বা বেহেশতের নেকের পুরস্কার প্রতি বিশ্বাস।
(৯) জাহান্নাম বা দোজখের পাপের শাস্তি প্রতি বিশ্বাস।
(১০) মহানবী (সা.)-কে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা।
(১১) সব কাজে রাসুল (সা.)-এর সুন্নতের অনুসরণ করা।
(১২)আল্লাহর প্রতি ভক্তি ও মহব্বত।
(১৩) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অন্যদের প্রতি ভালোবাসা। ঘৃনা না করা
(১৪)তাওয়াক্কুল করা- প্রত্যেক কাজের ফলাফল যে আল্লাহ তায়ালার হাতে তা বিশ্বাস করে তার ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভরসা করা
(১৫) ইখলাস-যেকোনো কাজ ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা।
(১৬) ধৈর্য্য ধারণ করা-আল্লাহ তায়ালার তরফ হতে কোন বালা-মুছিবত,রোগ-শোক আসলে ধৈর্য্য ধারণ করা।
(১৭)সন্তুষ্ট থাকা- আল্লাহ তাআলা যখন যে অবস্থায় রাখেন,আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা।
(১৮)তওবা-কখনো কোনো গুনাহর কাজ হয়ে গেলে অন্তরে কস্ত অনুভব হওয়া সঙ্গে সঙ্গেই তওবা করা।
(১৯) আল্লাহর ভয় রাখা। (সর্বক্ষণ অন্তরে আল্লাহর আযাবের ভয় থাকা)
(২০) আল্লাহর রহমতের আশা রাখা।আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া কুফরীর শামিল।
(২১) শুকরিয়া আদায়-সদা সর্বদা কথায় ও কাজে আল্লাহ তাআলার নিয়ামতসমূহের কৃতজ্ঞতা আদায় করতে থাকা।
(২২) রিয়া (আত্মপ্রদর্শন) ও মুনাফেকি পরিত্যাগ করা।
(২৩) বৈধ ওয়াদা পালন করা।
(২৪) কাম রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করা।
(২৫) বিনয়ী হওয়া। নিজেকে অপর হতে ছোট মনে করা
(২৬) বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করা। সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করা
(২৭) গর্ব ও অহংকার পরিত্যাগ করা।কারো খারাপ না চাওয়া
(২৮) হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করা। অমঙ্গল অকল্যাণ কামনা না করা
(২৯) রাগ-ক্রোধ দমন করা, কারো সঙ্গে মনোমালিন্য না রাখা।
(৩০ দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা পরিত্যাগ করা (ধন-সম্পদের) মহব্বত না রাখা।
(৩১) লজ্জা করা- আল্লাহ ও রাসূলের নীতির বিরূদ্ধ কাজে সংকোচবোধ করে তা পরিত্যাগ করা।
● ● জবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঈমানের ৭টি বিষয়
(১) আল্লাহর একত্ব মুখে স্বীকার করা।অন্তরে,মুখে,কাজে
(২) কোরআন মাজিদ তিলাওয়াত করা।
(৩) দ্বিনি ইলম শিক্ষা করা।
(৪) দ্বিনি ইলম শিক্ষা দেওয়া ও দিনের প্রচার করা।
(৫) দোয়া করা (নিজের ও অন্যের কল্যাণ কামনা করা)।
(৬) জিকির করা (আল্লাহর গুণাবলি আলোচনা করা)। স্থান, কাল, পাত্র ও বিষয় নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট মাসনুন (হাদিসে বর্ণিত) দোয়াসমূহ অন্যতম জিকির।
(৭) অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা ও শোনা থেকে বিরত থাকা।
● ● ● ব্যক্তিসত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ইমানের শাখা: ১৬টি
(১)পাক পবিত্রতা অর্জন করা-ওযু করা,ফরয গোসল করা, কাপড় পাকছাফ রাখা ইত্যাদি।
(২) নামাযের পরা
(৩)যাকাত ও দান ছদকাআদায় করা।
(৪)রমযানের রোযা রাখা।
(৫)হজ্ব পালন করা(ওমরা হজ্বেরই অন্তর্গত)
(৬) রমযানের শেষ দশদিন এতেকাফ করা(শবে কদর তালাশ করা এতেকাফের অন্তর্গত)
(৭)হিজরত করা-যে পরিবেশ বা যে দেশ থেকে ঈমান রক্ষা করা ও দ্বীন ইসলাম পালন করা সম্ভব হয় না, সে পরিবেশ এবং সে ত্যাগ করে উপযুক্ত স্থানে চলে যাওয়া
(৮) আল্লাহ তায়ালার নামে মান্নত করলে তা পূরণ করা।
(৯) আল্লাহর নাম নিয়ে কোন জায়েয কাজে কসম করলে তা যদি গুণাহের কাজ না হয় তবে তা পূরণ করা
(১০)আল্লাহ তায়ালার নামে কসম করে ভংগ করলে তার কাফফারা আদায় করা।
(১১)ছতর ঢাকা-পুরুষের ছতর নাভী হতে হাঁটু পর্যন্ত এবং স্ত্রীলোকের ছতর মাথা হতে পা পর্যন্ত অথচ ঈমানদার দাবী করে আমাদের নারীগণ কিভাবে পেট,পিঠ,মাথা এমনকি হাটু পর্যন্ত খোলা রেখে চলতে পারে?
(১২)ঈদুল আযহার কুরবানী করা।
(১৩) মৃত ব্যক্তির কাফন দাফন করা।
(১৪)ঋণ পরিশোধ করা
(১৫)ব্যবসা- বাণিজ্যে,কাজকারবারের ধোকা না দেয়া,শরীয়তের খেলাপ কাজ হতে বেচেঁ থাকা- যেমন দিবার সময় মাপে কম দেয়া ও নিবার সময় বেশি নেওয়া, ভেজাল দেওয়া,সুদ,ঘুষ খাওয়া ইত্যাদি।
(১৬)সত্য সাক্ষ্য গোপন না করা।সত্য সাক্ষ্য দেয়া
● ● ● ● পরিবার পরিজনের সাথে সংশ্লিষ্ট ইমানের শাখা ৬টি:
(১) কাম রিপু প্রবল হলে বিয়ে করা।
(২)পরিবার-পরিজন হক আদায় করা
(৩) মাতা – পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা,কোমল আচরণ করা।
(৪) সন্তানের লালন পালন করা(ইসলামী জ্ঞান,আদব-কায়দা,হালাল গ্রহণ ও হারাম বর্জন ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া)
(৫)আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা(ফুফু,খালা,বোন,ভাগ্নেয়,শ্বশুর শাশুড়ীর ইত্যাদিও সাথে সদাচার করা)
(৬)মনিবের আনুগত্যে করা(চাকর- নওকর হলে)
● ● ● ● ● সাধারণ মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট ইমানের শাখা : ১৮টি
(১)ন্যায় বিচার করা।
(২)আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসরণ করা।
(৩) মুসলিম বাদশা বা নেতার আদেশের (যতক্ষণ তা শরীয়ত বিরোধ না হয়) আনুগত্য করা।
(৪)ঝগড়া বিবাধের মীমাংসা করে দেওয়া।
(৫) নেক বা সৎ কাজে সহায়তা করা।
(৬)সাধ্যমত সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান করা।
(৭)ইসলামী হুকুমত কায়েম করে ”হদ”অর্থাৎ শরীয়ত অনুযায়ী শাস্তির বিধান যারী করা-যেমন অপবাদ দিলে ও মদ পান করলে আশি কোড়া ,চুরি করলে হাত কেটে দেয়া,ডাকাতি করলে হাত পা কেটে দেওয়া, খুনের বদলে খুন -কেসাস,মিথ্যা সাক্ষ্য,সুদ- ঘুষ বন্ধ করা,যিনা করলে একশ কোড়া মারা অথবা ছাঙ্গেছার করা। -
(৮)জিহাদ করা(আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার জন্য এবং ইসলামের দুশমনদের প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান)।
(৯)আমানত যথাযথভাবে আদায় করা।
(১০) অভাবী বা ঋণগ্রস্তকে ঋণ দেওয়া(সচ্ছল ব্যক্তির জন্য)। -
(১১)প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করা,বিপদে সাহায্যে ও সমবেদনা প্রকাশ করা।
(১২) হালাল উপায়ে রুজি অর্জন করা। সথ ভাবে লেনদেন করা
(১৩)শরীয়তের বিধান অনুযায়ী খরচ করা।হালাল উপায়ে আয় করে ও হারাম স্থানে ব্যয় করলে ঈমানের এ শাখাটির সর্বনাশ করা হয়।
(১৪)সালামের উত্তর শুনায়ে দেয়া (মুসলমান ভাইকে দেখলে চেনা হোক বা অচেনা হোক আস্সালামু আলাইকুম বলে সালাম দেওয়া,কোন মুসলমান সালাম দিলে ওয়াআলাইকুমুস সালাম বলে তার উত্তর দেয়া)
(১৫)কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে ইয়ার হামুকাল্লাহ বলে উত্তর দেওয়া।
(১৬) অনর্থক কাউকে কষ্ট না দেয়া বা কারও ক্ষতি না করা। -
(১৭) অবৈধ খেলা ধূলা,রং তামাশা, তাস,কেরাম বোর্ড, পাশা, হকি, সিনেমা, নাটক, থিয়েটার, ভিসিআর, ব্লুফিল্ম, ফুটবল, দাবা ইত্যাদি হতে বেঁচে থাকা।
(১৮) রাস্তা হতে কোন কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা(ইট,পাটকেল,পাথর,নাপাক বস্তু,কলার ছোলা,তরমুজের খোসা ইত্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত)।
কবিরাগুনা:
ক) অন্তরের কাবীরা গুনাহ :
●কুফর[3]
●শির্ক[4]
●অহংকার[5]
●মুনাফিক্বী[6]
●রিয়া বা লোক দেখানো ‘আমল[7]
●বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
●যাদু করা[8] যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা।যাদু শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেয়া।
● তকদীর অস্বীকার করা
● অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
● গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
●আল্লাহর উপর ভরসা না করে তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদির উপর ভরসা করা
●আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা
●অশুভ লক্ষণ বিশ্বাস করা[9]
(খ) জ্ঞান ও জিহাদ সংক্রান্ত কাবীরা গুনাহ :
●আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশে জ্ঞান অর্জন করা[10]
● কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা[11]
●আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর উপর মিথ্যা আরোপ করা[12]
●জ্ঞান অনুযায়ী ‘আমল না করা[13]
●আল্লাহর পথে দা‘ওয়াত দানে বিরত থাকা বা দা‘ওয়াতী কাজ ছেড়ে দেয়া[14]
●সৎ কাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে নিষেধ করা হতে বিরত থাকা বা তা ছেড়ে দেয়া[15]
●আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা হতে বিরত থাকা বা তা ছেড়ে দেয়া,ময়দান থেকে পলায়ন[16][৯:৩৮] আত তাওবাহ্
● ভ্রান্তদলের পক্ষে যুদ্ধ করা[17]
●যুদ্ধে মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা ও তাদেরকে সাহায্য করা[18]
(গ) ‘ইবাদাতের ক্ষেত্রে কাবীরা গুনাহ
●. বিনা ওজরে জামায়াত ত্যাগ করা এবং একাকি নামাজ পড়া।
●. ওজর ছাড়া জুমা এবং জামায়াত ত্যাগ করার ওপর অটল থাকা।
● পেশাব হতে বেঁচে/সতর্ক না থাকা (যথাযথভাবে পরিচ্ছন্ন না থাকা)[19]
●সলাত পরিত্যাগ করা[20]
●সলাতে ইমামের পূর্বে কোন কাজ করা[21]
●সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা[22]
●যাকাত দানে বাধা দেয়া বা যাকাত না দেয়া[23]
●সিয়াম পরিত্যাগ করা[24]
●হাজ্জ পরিত্যাগ করা[25]
●আল্লাহকে স্মরণ না করা[26]
●আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া।
●পেঁয়াজ-রসুন কিংবা দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু খেয়ে মসজিদে গমন
(ঘ) শাসন-প্রশাসন ও লেনদেনের ক্ষেত্রে কাবীরা গুনাহ
●আল্লাহর অবতীর্ণ আইন বিধান ছাড়া শাসন/বিচার করা[27]
●দুর্ণীতি পরায়ণ বিচারক
●শাসক কর্তৃক জনগণের ওপর জুলুম।.
● রাষ্ট্রীয় সম্পদ (গানীমাতের মাল) আত্মসাৎ করা
● ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
●বিচারকার্যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া
●জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করা।
● মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
●শরীয়তের যে কোন দন্ডবিধি প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করা
●কোন বিধান অমান্য করার জন্য যে কোন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন কর
●গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা
● শাসক কর্তৃক নাগরিকদের ধোঁকাদান বা নাগরিকদের সাথে প্রতারণা করা[28]
●অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করা[29]
●সুদ দেয়া-নেয়া,লিখা-সাক্ষী থাকা[30]
●ঘুষ লেন-দেন করা,লিখা-সাক্ষী থাকা
●ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎ ও অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করা[31]
●জুয়া খেলা[32]
●মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া[33]
●শরীয়তের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা[34]
● গোলাম কে স্বাধীন করে সেই ব্যক্তিকে বিক্রয় করে মূল্য গ্রহণ করা[35]
● অন্যায়ভাবে মালিকানা দাবি করা[36]
●মানুষের সাথে প্রতারণা করা[37]
●মিথ্যা ক্বসম করে পণ্য বিক্রয় করা[38]
●ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা,ভেজাল দেয়া,ওজনে কম দেয়া
● অন্যায় উদ্দেশে পণ্য মজুদ করা[39]
● মিথ্যা শপথ করা[40]
● দোষ গোপন ও মিথ্যা কথা বলে পণ্য বিক্রয় করা[41]
● হারাম ব্যবসা করা[42]
● যুলুম করে (অন্যায়ভাবে) জরিমানা বা কোন কিছু আদায় করা, চাঁদাবাজি বা অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক কিছু আদায় করা।[43]
●সাক্ষ্য গোপন করা[44]
●দাস-দাসী দুর্বল শ্রেণির মানুষ এবং জীবজন্তুর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা।
●জমিনের সীমানা/খুঁটি অন্যায়ভাবে পরিবর্তন করা,জমি জবর দখল করা[45]
(ঙ) পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ক কাবীরা গুনাহ
●অধীনদের ওপর অত্যাচার করা[46]
●পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া[47]
●আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা[48]
● কারো বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা বা কটাক্ষ করা[49]
●বিনা কারণে মুসলিমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা[50]
●মন্দ নামে ডাকা ও দেহ নিয়ে খোটা [51]
● প্রতিবেশীর সাথে দুর্ব্যবহার করা ও কষ্ট দেয়া [52]
●আল্লাহর বান্দাদের কষ্ট দেয়া[53]
●এমন কথা বলা যা বললে আল্লাহ তা‘আলা রাগান্বিত হন[54]
● মুসলিমকে কাফির বলা[55]
●বিনা প্রয়োজনে ভিক্ষাবৃত্তি করা[56]
● হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা
● যার জন্যে হিলা করা হয়
●মুহরিম ছাড়া মহিলাদের সফর
●মহিলাদের সুগন্ধি লাগিয়ে বাহিরে বের হওয়া।
●ঋতুকালীন স্ত্রী সহবাস করা
●দাইয়ূস-নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রশ্রয়দান
স্বামীর অবাধ্য হওয়া[57]
● বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
●শরীয়ত অনুযায়ী পর্দা মেনে না চলা।
●মহিলাদের পাতলা কাপড় পরিধান করা।
●স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
● যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
● স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
● স্বামী-স্ত্রীরকর্তৃক মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
● স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
● স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করা[58]
●স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয়া[59]
●মুত্‘আহ্ (সাময়িক চুক্তিভিত্তিক)বিবাহ করা[60]
● গায়রে মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ বৈধ) মহিলার সাথে বিবাহহীন
অবস্থায় নির্জনে অবস্থান করা[61]
●সন্তানদের মাঝে সমতা বিধান না করা[62]
●মৃত ব্যক্তির শরীয়ত সম্মত ওছিয়াত পালন না করা।
●উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরীয়ত বিরোধী ওসিয়ত করা।
●বিনা অনুমতিতে বাড়ির ভেতরে বা ঘরের ভেতরে প্রবেশ
করা বা গোপেনে তাকানো,উকি যুকি দেয়া
●শ্রমিকের পাওনা বা মজুরী পরিশোধ না করা। মজুরী কম দেয়া।
●দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করা[63]
(চ) চারিত্রিক কাবীরা গুনাহ
●অনুমতি নাহ নেয়া
● মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
●কারো প্রতি জুলুম-অত্যাচার করা বা জুলুমে সহায়তা করা।
●মিথ্যা বলা[64]
●সতী-সাধ্বী নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া[65]
●গীবত ও চোগলখোরী করা[66]
● আমানতের খিয়ানত করা[67]
● অভিশাপ দেয়া[68]
●সাহাবীদেরকে গালি দেয়া[69]
● অসমীচীন ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা[70]
● সীমালঙ্ঘন করা[71]●স্বেচ্ছাচারিতা করা[85]
●অত্যাচার ও শত্রুতা করা[72]
● মারাত্মক ঝগড়া বিবাদ করা[73]
● মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
● মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
● অশ্রাব্য গালিগালাজ করা[74]
● হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা[75]
●গর্ব ও অহংকার করা[76]
●কৃপণতা করা[77]
●ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
●পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
●বাড়াবাড়ি করা[78]
● বিশ্বাসঘাতকতা করা[79]
●অপকৌশল ও ঠকবাজি করা[80]
●অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করা[81]
●আত্মহত্যা করা[82]
'●অপচয় করা[83],● অপব্যয় করা[84]
●কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
●কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
● পরীক্ষায় নকল করা
● পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
● মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
● মৃতের,বিপদে উচ্চঃস্বরে বিলাপ বা ক্রন্দন করা
●মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দাগিরি করা এবং তাদের গোপনীয় বিষয় অন্যদের কাছে প্রকাশ করা[86]
●অন্যায়ভাবে রাগান্বিত হওয়া[87]
●সত্যের বিরোধিতা করা অকারণে বিতর্ক ও ঝগড়া করা
●বিদ্রোহ ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা
●ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা[88]
●আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা
●আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিরাপদ মনে করা,আজাব ও গজব সম্পর্কে উদাসীন[89]
●তাড়াতাড়ি বিপদে অধৈর্য হওয়া
●আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া[90]
●অপরের প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা[91]
● উপকার বা দান করে খোঁটা দেয়া[92]
●আল্লাহর ওয়ালীদের সাথে শত্রুতা করা[93]
●আল্লাহর শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব করা[94]
●হারামের মধ্যে ডুবে থাকা, হারাম উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা[95]
● ওয়াদা ভঙ্গ করা[96]
●মদ ও নেশা করা ও মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ[97]
●যিনা বা ব্যভিচার করা[98]
●বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
● সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া[99]
●ঋণ পরিশোধ না করা
●অন্যের মাল বা সম্পদ চুরি করা[100]
●ডাকাতি করা[101]
●চেহারায় দাগ কাটা ও চিহ্ন দেয়া[102]
●সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করা[103]
●পুরুষের রেশম বা স্বর্ণের পোশাক পরিধান,স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবহার করা[104]
●অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইশারা করা[105]
● নিজের পিতা জানা সত্ত্বেও অন্যকে পিতা দাবী করা[106]
●বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ ও বাজনা শোনা[107]
●কবরের উপর বসা[108],●কবরে বা মাজারে সিজদা করা
●কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
●টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়া[109]
● পুরুষদের মহিলার বেশ এবং মহিলাদের পুরুষদের বেশ ধারণ করা[110]
●দাঁত চিকন করা,● অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
● সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
●ছায়ায় ও রাস্তায় প্রসাব-পায়খানা করা[111]
●মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কোন জন্তুকে আটকে রাখা[112](সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩১৮)
●কোন জন্তুকে তীর বা গুলি লাগানোর ট্রেনিং-এর লক্ষ্য বস্তু বানানো[113]●জীবকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে হত্যা
●শরীরে উল্কি অঙ্কন করা বা ট্যাটু করা●প্রাণীর প্রতিকৃতি আঁকা।
●ঘরের দেয়ালে অথবা কাপড়ে বা ক্যালেন্ডারে জীব-জন্তুর ছবি রাখা
●কোন জীবিত পশুর এক বা একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে তাকে বিশ্রী বা বিকৃত করা
● বিনা কারণে কুকুর পোষা[114],● মৃত জন্তু ও রক্ত খাওয়া[115]
●কোনো ছোট পাপকে হালকা মনে করাও একটি কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ।
[1]. জন্ম : ৬৭৩ হি. - মৃত্যু : ৭৪৮ হি.।
[2]. এই তালিকাটি রাজশাহীর মাকতাবাতুস সুন্নাহ্ থেকে বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে।
[3]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৬১-১৬২; সূরা আন্ নাহ্ল ১৬ : ১০৬; সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৩৬; সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৫০-১৫১।
[4]. সূরা আল বায়্যিনাহ্ ৯৮ : ৬; সূরা আন্ নিসা ৪ : ৪৮; সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৭২; সহীহুল বুখারী : ৬৮৫৭, সহীহ মুসলিম : ২৭২, সুনান বায়হাক্বী : ১৭১২৮; সহীহুল বুখারী : ২৬৫৪, সহীহ মুসলিম : ২৬৯, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ১৯০১,৩০১৯।
[5]. সূরা আল মু’মিন ৪০ : ৬০; সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৭২-১৭৩; সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ৩৪; সহীহুল বুখারী : ৬০৭১, সহীহ মুসলিম : ৭৩৬৬, সুনান আবূ দাঊদ : ৪৫৯৫, সুনান ইবনু মাজাহ : ২৬৪৯।
[6]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৪৫; সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৬৮; সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৭।
[7]. সূরা আল কাহ্ফ ১৮ : ১১০; সহীহ মুসলিম : ৭৬৬৬, সুনান ইবনু মাজাহ : ৪২০২, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ : ৯৩৮; সহীহ মুসলিম : ৫০৩২, সুনান আন্ নাসায়ী : ৩১৩৭, মুসতাদরাক হাকিম : ২৫২৪।
[8]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১০২; সহীহুল বুখারী : ৬৮৫৭, সহীহ মুসলিম : ২৭২, সুনান বায়হাক্বী : ১৭১২৮।
[9]. সূরা ইয়াসীন ৩৬ : ১৮-১৯; সুনান আবূ দাঊদ : ৩৯১০, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ১৬১৪।
[10]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৪২; সহীহ মুসলিম : ৫০৩২, সুনান আন্ নাসায়ী : ৩১৩৭, মুসতাদরাক হাকীম : ২৫২৪, ৩৬৪, মুসনাদ আহমাদ : ২৮৭৭।
[11]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৫৯-১৬০; সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৭৪-১৭৫; সুনান আবূ দাঊদ : ৩৬৫৮, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ২৬৪৯, সুনান ইবনু মাজাহ : ২৬৪, হাদীসটি হাসান, সহীহ।
[12]. সূরা আল আন্‘আম ৬ : ১৪৪; সূরা আন্ নাহ্ল ১৬ : ১১৬-১১৭; সহীহুল বুখারী : ১১০, সহীহ মুসলিম : ৪, সুনান ইবনু মাজাহ : ৩০, সুনান আবূ দাঊদ : ৩৬৫১।
[13]. সূরা আস্ সফ্ ৬১ : ২-৩, সহীহুল বুখারী : ৩২৬৭, সহীহ মুসলিম : ৭৬৭৪।
[14]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১০৪-১০৫; সূরা মুহাম্মাদ ৪৭ : ৩৮।
[15]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৭৮-৭৯; সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৮০; সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১০৪-১০৫।
[16]. সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৩৮-৩৯; সহীহ মুসলিম : ৫০৪০, সুনান আবূ দাঊদ : ২৫০২, সুনান আন্ নাসায়ী : ৩০৯৭; সহীহুল বুখারী : ২৭৬৬, সহীহ মুসলিম : ২৭২।
[17]. সহীহ মুসলিম : ৪৮৯২, সুনান আন্ নাসায়ী : ৪১১৪, সহীহ ইবনু হিববান : ৪৫৮০।
[18]. সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ২৩; সহীহ মুসলিম : ৪৮০৩, সুনান আন্ নাসায়ী (কুবরা) : ১১৫৩৬।
[19]. সহীহুল বুখারী : ২১৬, সহীহ মুসলিম : ৭০৩, সুনান আন্ নাসায়ী : ২০৬৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ : ৫৫।
[20]. সূরা মারইয়াম ১৯ : ৫৯; সহীহ মুসলিম : ২৫৬, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ৬৪৯৫।
[21]. সহীহুল বুখারী : ৬৯১, সহীহ মুসলিম : ৯৯২।
[22]. সহীহুল বুখারী : ৫১০, সহীহ মুসলিম : ১১৬০, মুয়াত্ত্বা মালিক : ১৬২, ৫২৬, সুনান আন্ নাসায়ী : ৭০১।
[23]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১৮০; সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৩৪; সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৩৫; সহীহুল বুখারী : ১৪৬০, সহীহ মুসলিম : ২৩৪৭, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ১৫৫৯; সহীহ মুসলিম : ২৩৩৯, সুনান আবূ দাঊদ : ১৬৫৮, সুনান আন্ নাসায়ী : ২৪৪২।
[24]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৮৩; সহীহুল বুখারী : ৮, সহীহ মুসলিম : ১২২, ১২৩।
[25]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ৯৭; সহীহুল বুখারী : ৮, সহীহ মুসলিম : ১২২।
[26]. সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ২০৫; মুসনাদ আহমাদ : ৯৫৮০, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩৩৮০।
[27]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৪৪; সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৪৫; সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৪৭; সহীহুল বুখারী : ৭১৫১, সহীহ মুসলিম : ৩৮৩, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ১৭৯০১।
[28]. সূরা আশ্ শূরা ৪২ : ৪২; সূরা সোয়াদ ৩৮ : ২৬; সহীহুল বুখারী : ৭১৫০, সহীহ মুসলিম : ৪৮৩৪।
[29]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৮৮; সূরা আন্ নিসা ৪ : ২৯।
[30]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ২৭৮-২৭৯; সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১৩০-১৩১; সহীহ মুসলিম : ৪১৭৭।
[31]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ১০; সহীহুল বুখারী : ৬৮৫৭, সহীহ মুসলিম : ২৭২, সুনান আবূ দাঊদ : ২৮৭৪।
[32]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৯০-৯১।
[33]. সূরা আল হাজ্জ ২২ : ৩০ সহীহুল বুখারী : ২৬৫৪, সহীহ মুসলিম : ২৬৯।
[34]. সহীহুল বুখারী : ২৪২৪, সহীহ মুসলিম : ৪১৩৬।
[35]. সহীহুল বুখারী : ২২২৭, সুনান ইবনু মাজাহ : ২৪৪২, মুসনাদ আহমাদ : ৮৬৭৭।
[36]. সহীহুল বুখারী : ৩৫০৮, সহীহ মুসলিম : ২২৬, সহীহ ইবনু হিববান : ১৫৩৩৫।
[37]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ২৯; সহীহ মুসলিম : ২৯৫, সহীহ ইবনু হিববান : ৪৯০৫, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ২১২০।
[38]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ৭৭; সহীহুল বুখারী : ২৩৬৯, সহীহ মুসলিম : ৩১০; সহীহুল বুখারী : ২০৮৭, সহীহ মুসলিম :৪২০৯; সহীহ মুসলিম : ৩০৬।
[39]. সহীহ মুসলিম : ৪২০৭, সুনান আবূ দাঊদ : ৩৪৪৭।
[40]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ৭৭; সহীহুল বুখারী : ২৩৫৬, সহীহ মুসলিম : ৩৭২, সুনান আন্ নাসায়ী : ৫৯৭৬, সুনান আবূ দাঊদ : ৩২৪২; সহীহ মুসলিম : ৩৭০, সুনান দারিমী : ২৬৪৫, মুয়াত্ত্বা মালিক : ১১।
[41]. সহীহুল বুখারী : ২০৮২, সহীহ মুসলিম : ৩৯৩৭; সহীহুল বুখারী : ৬৮৭৪, সহীহ মুসলিম : ২৯৪, সুনান ইবনু মাজাহ : ২৫৭৫, সুনান আন্ নাসায়ী : ৪১০০।
[42]. সূরা লুক্বমান ৩১ : ৬; সহীহুল বুখারী : ২২২৩, সহীহ মুসলিম : ৪১৩২, সুনান ইবনু মাজাহ : ২১৬৭, সুনান আবূ দাঊদ : ৩৪৮৬; সুনান আবূ দাঊদ : ৩৬৭৪, সুনান ইবনু মাজাহ : ৩৩৮০, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ১০৭৭৮।
[43]. সূরা আল ফুরক্বান ২৫ : ১৯; সহীহুল বুখারী : ২৪৫২, সহীহ মুসলিম :৪২২০; সহীহুল বুখারী : ২৪৫৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ২১৬৬।
[44]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ২৮৩; সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ২২৮।
[45]. সহীহ মুসলিম : ৫২৩৯, সুনান আন্ নাসায়ী : ৪৪৪২, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ১৭০১৭।
[46]. সহীহ মুসলিম : ৪৮২৬, সুনান আন্ নাসায়ী : ৮৮২২, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ২০৪৬৬; সহীহ মুসলিম : ৩৮৩, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ১৭৯০১।
[47]. সূরা বানী ইসরাঈল ১৭ : ২৩-২৪; সহীহুল বুখারী : ২৬৫৪, সহীহ মুসলিম : ২৬৯, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ১৯০১, ৩০১৯; সহীহুল বুখারী : ৫৯৭৩, সহীহ মুসলিম : ২৭৩, সুনান আবূ দাঊদ : ৫১৪১।
[48]. সূরা মুহাম্মাদ ৪৭ : ২২-২৩; সহীহুল বুখারী : ৫৯৮৯, সহীহ মুসলিম : ৬৬৮৩, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ৩৪৩৪, ৩৪৩৬; সহীহুল বুখারী : ৫৯৮৪, সহীহ মুসলিম : ৬৬৮৫, সুনান আবূ দাঊদ : ১৬৯৬।
[49]. সূরা আল হুজুরাত ৪৯ : ১১; সহীহ মুসলিম : ২২০৩, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ১০০১, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ১৫৩৫।
[50]. সহীহুল বুখারী : ৬০৭৭, সহীহ মুসলিম : ৬৬৯৭, সুনান আবূ দাঊদ : ৪৯১১, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ১৯৩২; সহীহ মুসলিম : ৬৭০৯, মুসনাদ আহমাদ : ৯১৯৯; সুনান আবূ দাঊদ : ৪৯১৫, মুসনাদ আহমাদ : ১৭৯৩৫, মুসতাদ্রাক হাকীম : ৭২৯২।
[51]. সূরা আল হুজুরাত ৪৯ : ১১; সহীহুল বুখারী : ৬০৪৪, সহীহ মুসলিম : ২৩০, সুনান ইবনু মাজাহ : ৬৯, সুনান আন্ নাসায়ী : ৪১০৫; সহীহুল বুখারী : ৩০, সহীহ মুসলিম : ৪৪০৫।
[52]. সহীহুল বুখারী : ৬০১৬, মুসনাদ আহমাদ : ৮৪১১, ৮৪১২, ৮৪১৩; সহীহ মুসলিম : ১৮১, মুসনাদ আহমাদ : ৮৮৫৫, সহীহ ইবনু হিববান : ৫১০।
[53]. সূরা আল বুরূজ ৮৫ : ১০; সূরা আল আহযাব ৩৩ : ৫৮; সহীহ মুসলিম : ৬৮২৩, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ১৬৬৬৫, সহীহ ইবনু হিববান : ২৮৭।
[54]. সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৬৫-৬৬; সহীহুল বুখারী : ৬৪৭৮, সহীহ মুসলিম : ৭৬৭২।
[55]. সূরা আল আহযাব ৩৩ : ৫৮; সহীহুল বুখারী : ৬০৪৫, সহীহ মুসলিম : ৬১, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ৭৮৭১।
[56]. সহীহুল বুখারী : ১৪৭৪, সহীহ মুসলিম : ২৪৪৫-২৪৪৬; সুনান ইবনু মাজাহ : ১৮৩৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ৭৮৭১।
[57]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ৩৪; সহীহুল বুখারী : ৩২৩৭, সহীহ মুসলিম : ৩৬১১, মুসনাদ আহমাদ : ৭৪৬৫; সহীহুল বুখারী : ৩০৪, সহীহ মুসলিম : ২৫০, সুনান ইবনু মাজাহ : ৪০০৩।
[58]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ১২৯; সহীহ মুসলিম : ৩৭২১, মুসনাদ আহমাদ : ৮৩৬৩, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ১৪৭২৭; সহীহুল বুখারী : ৫১৮৬, সহীহ মুসলিম : ৩৭২০, সুনানুল কুবরা নাসায়ী : ৯০৯৫; সুনান আবূ দাঊদ : ২১৩৩, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ১১৪১, সুনান আদ্ দারিমী : ২২৫২।
[59]. সহীহুল বুখারী : ৫১৯৪, সহীহ মুসলিম : ৩৬১১, সুনান আদ্ দারিমী : ২২৭৪; সহীহ মুসলিম : ৩৬১৩; সহীহুল বুখারী : ৩২৩৭; সুনান আবূ দাঊদ : ২১৪১।
[60]. সহীহ মুসলিম : ৩৪৯৬, সুনানুল কুবরা নাসায়ী : ৫৫১৯।
[61]. সহীহুল বুখারী : ৫২৩২, সহীহ মুসলিম : ৫৮০৩, সুনান আদ্ দারিমী : ২৬৮৪; সহীহুল বুখারী : ৩০০০৬; সহীহ মুসলিম : ৩৩৩৬; সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী : ১০১৩৪।
[62]. সহীহুল বুখারী : ২৫৮৭, সহীহ মুসলিম : ৪২৬৯; সুনান আন্ নাসায়ী : ৩৬৮১; সহীহ ইবনু হিববান : ৫১০৩।
[63]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ১০৮; সহীহুল বুখারী : ৬০৫৮; সহীহ মুসলিম : ৬৭৯৮; মুসনাদ আহমাদ : ১০৪২৭।
[64]. সূরা আল ‘আন্কাবূত ২৯ : ৬৮; সহীহুল বুখারী : ৬০৯৪, সহীহ মুসলিম : ৬৮০৩, সুনান আদ্ দারিমী : ২৭৫৭; সহীহুল বুখারী : ৩৩, সহীহ মুসলিম : ২২০; সুনান আবূ দাঊদ : ৪৬৮৮; জামি‘ আত্ তিরমিযী : ২৬৩২।
[65]. সূরা আন্ নূর ২৪ : ২৩; সূরা আন্ নূর ২৪ : ৪; সহীহুল বুখারী : ২৭৬৬, সহীহ মুসলিম : ২৭২।
[66]. সূরা আল হুজুরাত ৪৯ : ১২; সূরা আল ক্বলাম ৮৬ : ১০-১৩; সহীহ মুসলিম : ৬৭৫৮, সুনান আবূ দাঊদ : ৪৮৭৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ৩৫৬১; সহীহুল বুখারী : ৬০৫৬; সহীহ মুসলিম : ৩০৩।
[67]. সূরা আল আনফাল ৮ : ২৭; সহীহুল বুখারী : ৩৪; সহীহ মুসলিম : ২১৯।
[68]. সহীহুল বুখারী : ৬০৪৭, সহীহ মুসলিম : ২১১০; সহীহ মুসলিম : ৬৭৭৭; সুনান আবূ দাঊদ : ৪৯০৭।
[69]. সহীহুল বুখারী : ৩৬৭৩, সহীহ মুসলিম : ৬৬৫১, সুনান ইবনু মাজাহ : ১৬১, সুনান আবূ দাঊদ : ৪৬৫৮; সহীহুল বুখারী : ৩৭৮৩; সহীহ মুসলিম : ২৪৬; জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩৯০০।
[70]. সূরা আল হুজুরাত ৪৯ : ১১; সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৬৫; সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৬৬।
[71]. সূরা আশ্ শূরা ৪২ : ৪২; সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ৩৩; সুনান আবূ দাঊদ : ৪৯০২, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ২৫১১; সুনান ইবনু মাজাহ : ৪২১১।
[72]. সূরা আল কাহ্ফ ১৮ : ২৯; সূরা কফ ৫০ : ২৪-২৬; সূরা হূদ ১১ : ১০২; সহীহুল বুখারী : ৪৬৮৬, সহীহ মুসলিম : ৬৭৪৬, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩১১০; সহীহুল বুখারী : ২৪৪২, সহীহ মুসলিম : ৬৭৪৩, সুনান আবূ দাঊদ : ৪৮৯৩।
[73]. সূরা আল হাজ্জ ২২ : ৩; সূরা আন্ নিসা ৪ : ১১৫; সহীহুল বুখারী : ২৪৫৭; সহীহ মুসলিম : ৬৯৫১।
[74]. সূরা আল আহযাব ৩৩ : ৫৮; সহীহুল বুখারী : ৪৮; সহীহ মুসলিম : ২৩০।
[75]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১০৯; সহীহুল বুখারী : ৬০৬৪; সহীহ মুসলিম : ৬৭০১।
[76]. সূরা গাফির/আল মু’মিন ৪০ : ৬০; সূরা লুক্বমান ৩১ : ১৮; সহীহ মুসলিম : ২৭৫; সুনান ইবনু মাজাহ : ৫৯; সহীহুল বুখারী : ৪৯১৮; সহীহ মুসলিম : ৭৩৬৬।
[77]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১৮০; সুনান আবূ দাঊদ : ১৬৯৮; শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ৪১৬১।
[78]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৭৭; মুসনাদ আহমাদ : ১৮৫১; সুনান আন্ নাসায়ী : ৩০৫৭; সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১৬১; সহীহ মুসলিম : ৩২৩; সুনান আদ্ দারিমী : ২৫৩২।
[79]. সহীহুল বুখারী : ৩১৮৮; সহীহ মুসলিম : ৪৬২৭; সহীহ মুসলিম : ৪৬৩৬; বায়হাক্বী : ১৬৬৩৫।
[80]. সূরা আল ফা-ত্বির ৩৫ : ১০; সূরা আল ফা-ত্বির ৩৫ : ৪৩; সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৪২; সহীহ মুসলিম : ৭৩৮৬, মুসনাদ আহমাদ : ১৭৪৮৪।
[81]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ৯৩; সূরা আল ফুরক্বান ২৫ : ৬৮-৭০; সহীহুল বুখারী : ২৭৬৬, সহীহ মুসলিম : ২৭২।
[82]. সূরা আন্ নিসা ৪ : ২৯; সূরা আন্ নিসা ৪ : ৩০; সহীহুল বুখারী : ৩৪৬৩; সহীহ মুসলিম : ১১৩।
[83]. সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ৩১; সূরা আল মু’মিন ৪০ : ৪৩।
[84]. সূরা বানী ইসরাঈল ১৭ : ২৬; সূরা বানী ইসরাঈল ১৭ : ২৭; সুনান আবূ দাঊদ : ২৮৭২; সুনান আন্ নাসায়ী : ৩৬৬৮; সুনান ইবনু মাজাহ : ২৭১৮।
[85]. সূরা সোয়াদ ৩৮ : ৫৫-৫৬; সূরা আন্ না-যি‘আ-ত ৭৯ : ৩৭-৩৯; সূরা আন্ নাবা ৭৮ : ২১-২২।
[86]. সূরা আল হুজুরাত ৪৯ : ১২; সহীহুল বুখারী : ৬০৬৪, সহীহ মুসলিম : ৬৭০১; সুনান ইবনু মাজাহ : ৩৮৪৯, সুনান আবূ দাঊদ : ৪৯১০; সহীহুল বুখারী : ৭০৪২; বায়হাক্বী : ১৪৫৭২।
[87]. সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ২০০; সহীহুল বুখারী : ৬১১৬, মুসনাদ আহমাদ : ১০০১১; সহীহুল বুখারী : ৩৩৮২, সহীহ মুসলিম : ৬৮১২।
[88]. সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ৩৩; সূরা আন্ নাহল ১৬ : ৯০; সহীহুল বুখারী : ৬০৩২; সহীহ মুসলিম : ৬৭৬১।
[89]. সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ৯৯; সূরা আন্ নাহল ১৬ : ৪৫-৪৭।
[90]. সূরা ইউসুফ ১২ : ৮৭; সূরা বানী ইসরাঈল ১৭ : ৮৩; সূরা আয্ যুমার ৩৯ : ৫৩; সূরা আল হিজর ১৫ : ৫৫-৫৬; সূরা ফুসসিলাত ৪১ : ৪৯।
[91]. সূরা আল ফাত্হ ৪৮ : ৬; সূরা ফুসসিলাত ৪১ : ২২-২৩; সহীহুল বুখারী : ৬০৬৬, সহীহ মুসলিম : ৬৭০১।
[92]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ২৬৪; সহীহ মুসলিম : ৩০৬, সুনান ইবনু মাজাহ : ২২০৮; সুনান আবূ দাঊদ : ৩৪৭৪।
[93]. সূরা আল বুরূজ ৮৫ : ১০; সহীহুল বুখারী : ৬৫০২; শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ১২৪৭।
[94]. সূরা আল মুজাদালাহ্ ৫৮ : ২২; সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৫১।
[95]. সূরা আল হাজ্জ ২২ : ২৫; সহীহুল বুখারী : ৬৮৮২; বায়হাক্বী : ১৫৯০২।
[96]. সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ২৭; সূরা আর্ রা‘দ ১৩ : ২৫; সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ১৩; সহীহ মুসলিম : ৪৮৯২, সুনান আন্ নাসায়ী : ৪১১৪।
[97]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৯০-৯১; সহীহ মুসলিম : ৫৩৩৫, মুসনাদ আহমাদ : ১৪৮৮০; সহীহুল বুখারী : ৫৫৭৫, সহীহ মুসলিম : ৫৩৪১।
[98]. সূরা বানী ইসরাঈল ১৭ : ৩২; সূরা আন্ নূর ২৪ : ২-৩।
[99]. সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ৮০-৮৪; সুনান আবূ দাঊদ : ৪৪৬২, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ১৪৫৬।
[100]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৩৮; সহীহুল বুখারী : ২৪৭৫, সহীহ মুসলিম : ২১১; সহীহুল বুখারী : ৬৭৬৩; সহীহ মুসলিম : ৪৫০৩।
[101]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৩৩।
[102]. সহীহ মুসলিম : ৫৬৭২; সহীহ মুসলিম : ৫৬৭৪।
[103]. সহীহুল বুখারী : ৫৪২৬, সহীহ মুসলিম : ৫৫২১; সহীহ মুসলিম : ৫৫০৯।
[104]. সহীহুল বুখারী : ৫৮৩৪; সহীহ মুসলিম : ৫৫৩১; সহীহ মুসলিম : ৫৫৯৩।
[105]. সহীহ মুসলিম : ৬৮৩২।
[106]. সহীহুল বুখারী : ৬৭৬৬; সহীহ মুসলিম : ২২৯।
[107]. সূরা লুক্বমান ৩১ : ৬; সহীহুল বুখারী : ৫৫৯০; সহীহ মুসলিম : ৪০৩৯।
[108]. সহীহ মুসলিম : ২২৯২।
[109]. সহীহ মুসলিম : ৩০৬, সুনান ইবনু মাজাহ : ২২০৮; সুনান আবূ দাঊদ : ৩৪৭৬; সহীহুল বুখারী : ৫৭৮৭।
[110]. সহীহুল বুখারী : ৫৮৮৫; সুনান ইবনু মাজাহ : ১৯০৪; শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ৩২০৭; ৩২০৮; সহীহুল বুখারী : ৫৮৮৬; সুনান আবূ দাঊদ : ৪৯৩২; মুসনাদ আহমাদ : ২১২৩।
[111]. সহীহ মুসলিম : ৬৪১, সুনান আবূ দাঊদ : ২৫; সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ : ৬৭; শারহুস্ সুন্নাহ্ বাগাভী : ১৯১।
[112]. সহীহুল বুখারী : ৩৩১৮; সহীহ মুসলিম : ৫৯৮৯।
[113]. সহীহুল বুখারী : ৫৫১৫; সহীহ মুসলিম : ৫১৭৪।
[114]. সহীহুল বুখারী : ৫৪৮১; সহীহ মুসলিম : ৪১০৬।
[115]. সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৩।
ছগিরাগুনা:
নামাজ সম্পকিত ছগিরাগুনা:
●মাকরূহ ওয়াক্তে নামায পড়া
●নামাযে যে সাজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হয় সেটাকে বিলম্বিত করা বা ছেড়ে দেয়া।
●ডানে কিংবা বায়ে ফটো রেখে নামায পড়া বা ফটোর উপর সাজদা করা।
●জানাজার নামায মসজিদের ভিতরে পড়া।
●নামাযে পাঠ করার জন্য কোন বিশেষ সূরা নির্ধারিত করা।
●নামাযে লম্বা চাদর এমনভাবে শরীরে জড়ানো যাতে হাত বের করা মুশকিল হয়।
●নামাযে অযথা শরীর নিয়ে খেলা করা অর্থাৎ, বিনা প্রয়োজনে ●কোন অঙ্গ নাড়াচাড়া করা বা কাপড ওলট-পালট করা।
●নামাযীর সামনে তার দিকে তাকিয়ে বসা বা দাঁড়ানো।
●নামাযে ডানে বামে অথবা উপরের দিকে তাকানো।
●জবর দখলকৃত জমিতে প্রবেশ করা, এমনকি নামাযের জন্য হলোেও।
●নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে দাঁড়ানো।
●নামাযে সাদল করা অর্থাৎ, অস্বাভাবিক ভাবে কাপড় ঝুলিয়ে রাখা।
●জুমুআর (প্রথম) আযান হওয়ার পর ক্রয়-বিক্রয় করা এবং অন্যান্য দুনিয়াবী কাজ করা। অবশ্য জুমুআর দিকে চলন্ত।অবস্থায় বেচা-কেনা করলে তাতে পাপ হবে না, কারণ।অনুরূপ ক্রয়-বিক্রয় জুমুআর নামাযের জন্য ব্যাঘাত ঘটায় না।
●ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাযে হাসা বা কোন বিপদের কারণে নামাযের মধ্যে ক্রন্দন করা।
মসজিদ সম্পকিত ছগিরাগুনা:
●মসজিদের ছাদে নাপাকী ফেলা।
●খুতবার সময় কথা বলা
●মসজিদে মানুষের ঘাড়ের উপর দিয়ে সামনে যাওয়া।
●আযান শোনার পর ওজর বা জরুরী কাজ ব্যতীত ঘরে বসে বসে একামতের অপেক্ষা করতে থাকা।
●গোসল ফরয- এরূপ অবস্থায় আযান দেয়া।
●গোসল ফরয- এরূপ অবস্থায় বিনা ওজরে মসজিদে প্রবেশ
করা।
●গোসল ফরয- এরূপ অবস্থায় মসজিদে বসা।
●মসজিদে দুনিয়াবী কথা-বার্তা বলা।
●ইবাদত নয় এরূপ কোন কাজ মসজিদে করা।
●কোন মসজিদে নাপাক প্রবেশ করানো।
●মসজিদে পাগল বা এমন ছোট শিশুকে নিয়ে যাওয়া, যার দ্বারা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে।
বাথরুম ছগিরাগুনা :
●দাঁড়িয়ে পেশাব করা।
●গোসল খানায় কিংবা পানির ঘাটে পেশাব করা।
●উলঙ্গ হয়ে গোসল করা, যদিও আটকা স্থানে এবং লোকদের
অগোচরে গোসল করা হোক।
●পেশাব পায়খানার সময় কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ করে
বসা।
সিয়াম যাকাত হজ্জ সম্পকিত ছগিরাগুনা:
●রোযা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে নিরাভরণ হয়ে জড়াজড়ি করা।
●রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেয়া। (যদি আরও আগে বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে)।
●সওমে বেসাল করা অর্থাৎ, এমনভাবে কয়েক দিন রোযা রাখা যে, মধ্যে ইফতরীও করবে না।
●বিনা ওজরে হজ্জ বা যাকাত আদায়ে বিলম্ব করা। কেউ এটাকে কবীরা গোনাহের তালিকাভুক্ত করেছেন।
●নিকৃষ্ট মাল দ্বারা যাকাত আদায় করা।
স্ত্রীর সম্পকিত ছগিরাগুনা:
●কোন স্ত্রীর সাথে যিহার ক্রলে কাফফারা আদায় করার পূর্বে তার সাথে সহবাস করা। স্বামী যদি স্ত্রীকে বলেতুমি আমার উপর আমার মাতার পৃষ্ঠ দেশের মত (অর্থাৎ, মাতার পিঠের মত হারাম) এরূপ বলাকে “যিহার” বলা হয়। ইসলামপূর্ব কালে স্ত্রীকে নিজের উপর হরাম করার এটি বিশেষ পদ্ধতি ছিল। এরূপ বললে কাফফারা আদায় করার পূর্বে স্ত্রী হালাল হবে না।
●মাহ্কাম পুরুষ ব্যতীত নারীর জন্য সফর করা।
●বালেগা বোধ সম্পন্ন নারীর পক্ষে ওলীর এজাযত ব্যতীত বিবাহ বসা (যদি ওলী অহেতুক বিবাহে বাধা দেয়ার না হয়)।
●.নেকাহে শেগার” করা। অর্থাৎ এমন বিবাহ যাতে।মহরের টাকা পয়সার পরিবর্তে নিজের মেয়েকে বিবাহ দেয়া হয়।
●স্ত্রীকে একের অধিক তালাক দেয়া।
●স্ত্রীকে বিনা প্রয়োজনে বায়েন তালাক দেয়া এবং (বরং রেজয়ী।তালাক দেয়া উচিত।)
● হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়া। (খোলা তালাক দেয়া যায়। অর্থের বিনিময়ে স্ত্রীকে স্বামী তালাক দিলে তাকে খোলা তালাক বলে।)
●যে তুহরে সহবাস হয়েছে তাতে তালাক দেয়া।
● তালাকে রেজয়ী প্রদত্ত স্ত্রীকে সহবাস ইত্যাদিদ্বারা রুজু করা। (বরং প্রথমে মৌখিক ভাবে রুজু হওয়া চাই।)
● স্ত্রীকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে ঈলা করা। ‘ঈলা’
বলা হয় কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা ছাড়া অথবা চার মাস কিংবা তারও বেশী সময়ের জন্য স্ত্রী গমন না করার শপথ করাকে। এরূপ শপথ করার পর চার মাসের মধ্যে।শপথ ভঙ্গ করলে অর্থাৎ, স্ত্রী গমন করলে শপথ ভঙ্গকরার কাফ্ফারা দিতে হবে এবং
স্ত্রী বহাল থাকবে- তালাক হবে না। আর চার মাসের মধ্যে উক্ত স্ত্রীকে ব্যবহার না করলে চার মাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে উক্ত স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।
●সন্তানদেরকে কোন মাল ইত্যাদি দেয়ার ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা না করা।
●স্ত্রীর সাথে এমন কারও।সামনে সংগম করা যে বোঝে।এবং হুশ রাখে, যদিও সে।ঘুমিয়ে থাকে। (খুব ছোট।শিশুর বেলায় ভিন্ন কথা)
●নিজের সাত বৎসরের চেয়ে অধিক বয়স্ক ছেলের সঙ্গে এক
বিছানায় শয়ন করা।
শাসক কতৃক সম্পকিত ছগিরাগুনা:
●বিনা প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক দ্রব্যমূল্য নির্দ্ধারণ করে দেয়া।
●বিচারক কর্তৃক বাদীবিবাদী উভয় পক্ষের শুনানী
ও তাদের প্রতি মনোযোগ।প্রদানে সমতা রক্ষা না করা।
কোন যিম্মি কাফেরকে কাফের বলে সম্বোধন করা। (যদি সে এরূপ সম্বোধনে কষ্টবোধ করে।)
●কোন মুরতাদ বা অমুসলিম রাষ্ট্রের কাফেরকে তিন দিন
পর্যন্ত তওবা করতঃ মুসলমান হওয়ার দাওয়াত প্রদান করার পূর্বে হত্যা করে দেয়া।
●ইসলাম বিরোধী কোন সম্প্রদায়ের নিকট অস্ত্র।বিক্রয় করা।
●কোন আমীর বা শাসকের অভ্যর্থনায় বের হওয়া।
●বিনা প্রয়োজনে একাধিক মুরদারকে এক কবরে দাফন করা।
সাধারন সম্পকিত ছগিরাগুনা:
●কোন মানুষ বা প্রাণীকে লা’নত (অভিশাপ) দেয়া।
●না জেনে কোন পক্ষে ঝগড়া করা কিংবা জানার পর অন্যায় পক্ষে ঝগড়া করা।
●ফাসেক লোকদের সাথে উঠাবসা করা।
●কেউ ক্রয়ের জন্য কথা-বার্তা বলছে বা বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে এখও উত্তর মেলেনি এরই মধ্যে অন্য কারও দর বলা বা প্রস্তাব দেয়া।
● বাইরে থেকে শহরে যে মাল আসছে সেটা শহরের বাইরে
গিয়ে ক্রয় করা। (এভাবে মধ্যস্বত্ব ভোগীর কারণে শহরে এসে মালের দাম বৃদ্ধি পায়)।
● শখ করে কুকুর লালন-পালন করা। মালামাল ও ফসল সংরক্ষণের জন্য কিংবা শিকারের উদ্দেশ্যে কুকুর পালন করা জায়েয।
●অতি নগন্য বস্তু চুরি করা।
●গলার পশ্চাদ্দিক থেকে প্রাণী জবেহ করা।
●পঁচা মাছ অথবা মরে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া।
●যার হালাল সম্পদের পরিমাণ কম-হারামের পরিমাণ বেশী, বিনা ওজরে।তাহকীক-তদন্ত ছাড়া তার দাওয়াত ও হাদিয়া গ্রহণ করা।
●কোন প্রাণীর নাক কান প্রভৃতি কেটে দেয়া।
●সর্ণের তার দিয়ে দাঁত বাঁধাই করা
●বালেগদের জন্য নিষিদ্ধ- এমন কোন পোশাক শিশুদেরকে পরিধান করানো।
● পেট ভরার পরও অতিরিক্ত খাওয়া। (রোযা বা মেহমানের কারণে কিছু বেশী খাওয়া হলোে তা ব্যতিক্রম।)
●ক্ষুধা লাগা ছাড়াও খাওয়া। (রোগের অবস্থা ব্যতিক্রম)
●রাস্তায় এমন স্থানে।দাঁড়ানো বা বসা, যাতে অন্যদের চলতে অসুবিধা হয়
●মানুষের চলার পথে নাপাকী ফেলা
● অহেতুক কাজে ও কথায় সময় নষ্ট করা।
●কারও প্রশংসায় অতিরঞ্জন করা।
●কথা বলতে গিয়ে ছন্দ মিলানোর কসরৎ করা।
●হাসি-ফুর্তিতে সীমালংঘন করা।
● কারও গুপ্ত কথা ফাঁস করা।
●সাথী-সঙ্গী ও বন্ধু-বান্ধবদের হক আদায়ে ত্রুটি করা।
●ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আপনজন ও বন্ধু-বান্ধবকে জুলুম থেকে বিরত না রাখা।
●পিতা-মাতা হক:
১)পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল,সদআচরন করা। উফ,আহ বা বিরক্তি প্রকাশ না করা,রাগ না করা(কর্কশ ও রূঢ় ভাষায় না বলা,নিচু হয়ে নিচু স্বরে কথা বলা(সামনের জনের আওয়াজ থেকে আমার আওয়াজ কম হওয়া)ধমক দিও না
২) মনে-প্রাণে ভালোবাসা।
৩) সর্বদা তাদেরকে মেনে চলা।হালাল হলে।
৪) তাদের খেদমত বা সেবা করা।
৫) তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করা।
৬) তাদেরকে সবসময় সুখে শান্তিতে রাখার চেষ্টা করা।
৭) নিয়মিত তাদের সাথে সাক্ষাত ও দেখাশোনা করা।
৮) ময়লা কাপর না ঝারা,তাদের আগে আগে না চলা
৯)নিজে বসে না থাকা,অন্যকে বসতে দেয়া
১০)পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা(হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়কে অনুগ্রহ কর, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশবে প্রতিপালন করেছেন)
(১১)আমি কি জিহাদে যাব? তিনি বললেনঃতোমার কি পিতা-মাতা আছে? সে বললোঃ হাঁ। তিনি বললেনঃতা হলে তাদের (সেবা করার মাধ্যমে) জিহাদ কর।
●আত্মীয়স্বজন এর হক:
১.ভালো আচরণ করা
২.যোগাযোগ রক্ষা করা & খোঁজখবর নেওয়া
৩.অভাবি বা গরিব হলে সাধ্য অনুযায়ী তাদের প্রয়োজন পুরন করা,দান করা বা হাদিয়া দেওয়া
৩.মেহমানদারি করা
৫.অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া & সেবা করা
৬.আত্মীয়স্বজন জন্য দোয়া করা
●প্রতিবেশি এর হক:
ভালো আচরণ করা ও কষ্ট না দেওয়া
বারবার তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা
প্রতিবেশীকে হাদিয়া দেওয়া
প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে নিজে ভুরিভোজ না করা
তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।
প্রতিবেশীর বৈধ দাওয়াত কবুল করা
প্রতিবেশীর সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখা
১| সে ঋণ চাইলে ঋণ দিবে।
২। বিপদাপদে সাহায্য চাইলে সাহায্য করবে
৩।অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া,প্রয়োজনীয় সেবা করা,সুখে দুঃখে খোঁজ খবর নেওয়া
৪।ক্ষতিকর কিছু ঘটলে যথাসাধ্য সাহায্য করা ও সান্তনা জানানো।
৫। সে অভাবী হলে দান করে অভাব দূর করবে
৬। সে মারা গেলে তার দাফন কার্যে সাহায্য করবে।জানাযায় যাওয়া
৭। তার কোনো কল্যাণ হলে খুশির ভাব প্রকাশ করবে।তার সুখে সুখী হবে
৮। তার কোনো অকল্যাণ বা দুঃখ হলে তাকে সান্ত্বনা দেবে।তার দুঃখে দুঃখী হবে
৯। তোমার পাত্রের খাবার তাকে না দিলে উচ্ছিষ্ট দেখিয়ে অহেতুক কষ্ট দিবে না।
১০। তার অনুমতি না নিয়ে বাড়ি এমন উঁচু করবে না যাতে বাতাস বন্ধ হয়ে যায়।
১১। যদি কোন ফল ক্রয় করো তবে তাকে কিছু হাদিয়ে দাও। নতুবা গোপনে ঘরে নিয়ে যাও এবং তোমার সন্তানরা যেন তার কোন অংশ নিয়ে বের না হয় যাতে প্রতিবেশীর সন্তানরা কষ্ট পায়।
প্রতিবেশীর মৃত্যু হ’লে তার পরিবারের জন্য খাদ্য সরবরাহ করা
প্রতিবেশীদের মাঝে ন্যায়বিচার করা
মন্দ প্রতিবেশী থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া
প্রতিবেশীর জন্য দোয়া করা
১.দেখা হলে হাসি মুখে কথা বলা
২. সে কষ্ট দিলে যথাসম্ভব ধৈর্য ধারণ করা
৩. তার প্রতি দয়া ও বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করা & সম্মান করা
৩.তার সাথে ভালবাসা পূর্ণ সম্পর্ক রাখা
৪.তার বাচ্চাদেরকে মুহাব্বত করা।
৫. তার সাথে বিরক্তিকর দীর্ঘ কথাবার্তা না বলা।
৬. তার ভুলভ্রান্তিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা।
৭. তার অনুপস্থিতে তার ঘরের খোঁজখবর রাখা।
৮.তার মাঝে শরিয়া বিরোধী কিছু দেখলে আন্তরিকভাবে নসিহত করা।
৯. দীনী বিষয়ে না জানলে জ্ঞানদান করা।
১০. কা*ফি*র হলে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া।
১১. তার মধ্যে হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখলে তা লোক সম্মুখে প্রকাশ না
১২তার সাথে যথাসম্ভব বিবাদে লিপ্ত না হওয়া
১৩. কেউ তার ক্ষতি করতে চাইলে যথাসম্ভব প্রতিহত করা
১৪. তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার গিবত পরনিন্দা না শোনা।
১৫. দীনি ও দুনিয়াবি বিষয়ে তাকে পথপ্রদর্শন করা।
১৬. তার অধীনস্তদেরকে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে না তোলা।
১৭. নিজের বাড়ি থেকে তার বাড়িতে উঁকি না দেওয়া।
১৮. নিজের ড্রেন তার বাড়ির দিকে না রাখা।
১৯. ময়লা-আবর্জনা তার বাড়ির সামনে না ফেলা।
২০. তার বাড়ির রাস্তা সংকীর্ণ না করা।
২১. তার ঘরে যা কিছু নিয়ে যায় গভীর দৃষ্টিতে তা না দেখা।
২২. তার দুর্বলতাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা।
●মুসলমান এর হক :
১) দেখা হলে সালাম বিনিময় করা। মুসাফা করা
(২) দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা।দাওয়াত দেয়া
(৩) উপদেশ চাইলে উপদেশ দেওয়া।
(৪) হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ্ বললে, উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ্ বলা।
(৫) কেউ অসুস্থ হলে তার খোজ খবর নেওয়া,সান্ত্বনা দেওয়া
(৬) জানাযায় উপস্থিত হওয়া।
(৭)মুসলমান দের জন্য দোয়া করা
●কুরআন এর হক:
=>দুরুদ পরা
=>আউযুবিল্লাহ & বিসমিল্লাহ পরা
=>কুরআন পড়ুন ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে
=>খুব মিষ্টি ও মধুর সুরে বিনয়-নম্রতার সাথে কুরআন পাঠ করুন।
১.কুরআন এর প্রতি ইমান আনা
২.মুখস্থ করা,শুদ্ধ সহকারে পরা & নিয়মিত তিলাওয়াত করা ও শ্রবণ করা
৩..কুরআন বাংলা অথসহ বুজে তেলাওয়াত করা
৪. কুরআন ওপর আমল করা,পরিবার ও সমাজে বাস্তবায়ন করা& আদেশ মেনে - নিসেধ বজন করা
৫.কুর’আন প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা,অপরকে শিক্ষা দেয়া
৬.যথাযথভাবে কুরআন কে ভালবাসা সম্মান ও মর্যাদা দেয়া
৭.কুরআন এর আয়াত ভুলে না যাওয়া
৯.কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা
রাস্তার হক:
১. দৃষ্টিকে অবনত রাখা।
২. কাউকে কষ্ট না দেওয়া।মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। অর্থাৎ তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেসব কথা-কাজে কোন কল্যাণ নেই সেগুলো থেকে বিরত থাকা। অনুরূপভাবে পথচারীদের কষ্ট দেয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা। যেমন তাদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, তাদের গীবত করা অথবা অনুরূপ কষ্টদায়ক কথা ও কাজ পরিহার করা। তাছাড়া পথচারীদের চলাচলে কষ্ট হয় এমনভাবে রাস্তা সংকীর্ণ করে না বসা, কারো বাড়ীতে যাতায়াতের পথে না বসা, কারো বাড়ীর পার্শ্ববর্তী রাস্তায় এমনভাবে না বসা যাতে বাড়ীর লোকজনের ইয্যত-আব্রু রক্ষায় সমস্যা হয়।
৩. সালাম দেওয়া & উত্তর দেওয়া
৪. সৎ কাজের আদেশ করা এবং অসৎ কাজ হতে বিরত রাখা।
৫. পথহারাকে পথ দেখিয়ে দেওয়া।
৬. অসহায় মযলুম ও বিপদগ্রস্তের সাহায্য করা।
৭. বোঝা বহনকারীকে (বোঝা উঠানো বা নামানোর ক্ষেত্রে) সহযোগিতা করা।
৮. ভালো কথা বলা।
৯. হাঁচির জবাব দেয়া।
১০. দম্ভভরে না চলা (নম্রভাবে চলাচল করা)
১১.রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরানো,রাস্তায় ময়লা না ফেলা
১২.মহিলাদের রাস্তার পার্শ্ব দিয়ে চলা
১৩.বাহন দ্রুত চালনা না করা
১৪.পথে পেশাব-পায়খানা করবেন না
১৫. কোন উঁচু স্থানে আরোহণ করতাম, তখন তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করতাম
১৬. নিচে নামার সময় , সে সময়ে সুবহানাল্লাহ্ বলতাম
১৭.সমতল ভূমি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু সুন্নত
অনুমতি:
১.অনুমতি গ্রহণের প্রাক্কালে সালাম দেওয়া
২.তিনবার অনুমতি চাওয়া
৩.অনুমতি গ্রহণকারীর পরিচয় পেশ করা
৪.জোরে জোরে দরজা খটখট না করা
৫.অনুমতির জন্য অপেক্ষা করানুমতি গ্রহণের সময় দরজা বরাবর না দাঁড়ানো
৬.দৃষ্টি অবনমিত রাখা
৭.অনুমতি দেওয়া না হ’লে ফিরে আসা
৮.বাড়ীতে বা গৃহে কেউ বসবাস করে না, সেখানে প্রয়োজন থাকলে প্রবেশ করা যাবে।
৯.কাউকে ডাকার জন্য লোক পাঠানো হ’লে এবং সে ঐ লোকের সাথে আসলে তার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
১০.মাহরাম মহিলাদের নিকটে প্রবেশকালে অনুমতি নেওয়া
১১.শিশুদের অনুমতি গ্রহণ
১২.বাড়ীতে বা গৃহে কেউ না থাকলে সেখানে প্রবেশ না করা
১৩বাড়ীতে বা গৃহে প্রবেশকালে স্ত্রীকে সতর্ক করা
১৪.তাসবীহ বলা বা হাতে হাত মারার মাধ্যমে অনুমতি প্রদান
১৫.অনুমতি প্রার্থীকে স্পষ্ট বা অস্পষ্ট ভাষায় প্রত্যাখ্যান করা :
১৬.বাড়ী বা গৃহ থেকে বের হওয়ার সময় অনুমতি নেওয়া :
১৭জিহাদের জন্য পিতা-মাতার অনুমতি চাওয়া
Comments
Post a Comment