নামাজ

নামাজের আগে আসমানের দরজা খোলার দোয়া: اَللهُ أَكْبَرُ كَبِيرً,  وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيرًا, وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً

অর্থ : ‘আল্লাহ মহান, সর্বশ্রেষ্ঠ; সব প্রশংসা অধিকহারে আল্লাহর জন্য, আল্লাহর গুণ বর্ণনা সকাল-সন্ধ্যায়।’


কানে হাত দেয়ার পর তাকবিরে তাহ্ রিমা পাথ >(اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহ মহান 


হাত দরে ছানা >  سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلٰهَ غَيْرُكَ


হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তোমার নাম চির বরকতময়, সকলের ঊর্ধ্বে, সকলের শীর্ষে তোমার মর্যাদা, তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই


আউযুবিল্লাহ:أَعُوذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।


বিসমিল্লাহ: بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيۡمِ অর্থ:শুরু করছি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে


সুরা ফতিহা,আমিন,কাফিরুন,,ইখলাস

আল্লাহর আকবার বলে রুকুতে জাবেন

রুকু >سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি।৩বার,৫বার,৭বার।


উঠার সময়:  سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ  অর্থ : আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে

 >>বলে সুজা দারাই যাবে: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ অর্থ : হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই

 

(اللَّهُ أَكْبَرُ)" বলে সিজদায় জাবেন

সিজদায় তাসবিহ سُبحانَ ربِّيَ  الأعلَى অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি।৩বার,৫বার,৭বার।



তসবির "(اللَّهُ أَكْبَرُ)"  বলে উঠে বসবেন>اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ,وَارْحَمْنِي,وَاهْدِنِيْ,وَعَافِنِيْ, وَارْزُقْنِيْ


অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক বৃদ্ধি করো


তারপর "(اللَّهُ أَكْبَرُ)" বলে সিজদায় জাবেন

সিজদার তাসবিহ=  سُبحانَ ربِّيَ الأعلَى ৩,৫,৭,বার 

(اللَّهُ أَكْبَرُ) বলে পুনরায় সোজা হয়ে দাড়িয়ে যাবেন পেটে হাত রেখে



দিতিয় রাকাত এ দোয়া ছানা পরতে হবে নাহ

রুকু সেজদা সেস করার পর তাশাহুদ,দুরুদ,চারটি পানাহ।



তাশাহুদ: أَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ، وَالصَّلَوَاتُ، وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ، اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُا وَرَسُوْلُهُ


যাবতীয় অভিবাদন আল্লাহ্‌র জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং আল্লাহ্‌র সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক সালাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্‌র বান্দা ও রাসূল



ইব্রাহিম : 

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ 

হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত




পানাহ: اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ,,وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ,,وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ,,وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ


দুনিয়া ও আখেরাত এর কল্যাণ:رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنۡيَا حَسَنَةً,وَّفِى الۡاٰخِرَةِ حَسَنَةً,,وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ


ডানে একবার বামে একবার : السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ


শিরক-اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ

অথ : হে আল্লাহ! আমি মনের অজান্তে আপনার সাথে শিরক করা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই এবং মনের অজান্তে যদি (শিরক) হয়ে যায়, তার থেকে আপনার কাছে ক্ষমা চাই।’


১ম রাকাতে সুধু সেজদা দিয়ে আল্লাহু আকবার।

২য় রাকাতে তাশাহুদ পরে আল্লাহু আকবার।

৩য় রাকাতে সুধু সেজদা দিয়ে আল্লাহু আকবার।

৪থ রাকাতে তাশাহুদ,দুরুদ ইব্রাহিম,চারটি পানাহ চাওয়া।

ডানে একবার বামে একবার আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ


সেই নামাজে সুধু ১ম ও ২য় রাকাত সুরা ফাতিহা এর পর সুরা মিলাতে হবে,,বাকি রাকাত গুলায় সুরা ফাতিহা এর পর সুরা পরতে হবে নাহ,রুকু দিতে হবে।।  


ফজর ফরজ নামাজ ২রাকাত

যোহর ফরজ নামাজ ৪রাকাত

আসর  ফরজ নামাজ ৪রাকাত

মাগরিব ফরজ নামাজ ৩রাকাত,

এশা ফরজ নামাজ ৪রাকাত হলে।।



কুনুত:

a>اَللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ

b>وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ

c>وَنُثْنِيْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ

d>وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ،

e>وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ،

f>اَللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّيْ ، وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعٰى

g>وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوۡ رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ،

h>إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ


১.হে আল্লাহ,আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি। তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। 

২.তোমার উপর ইমান রাখি। তোমার উপর ভরসা করি।

৩.এবং সকল কল্যান তোমারই দিকে ন্যস্ত করি

৪.এবং আমরা তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা  তোমার প্রতি অকৃতজ্ঞ নই। 

৫.এবং যারা তোমার নাফরমানি করে আমরা তাদের পরিত্যাগ করে চলি।

৬.হে আল্লাহ, আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি (দ্বিতীয় কারো উপাসনা করি না) একমাত্র তোমার জন্য নামাজ পড়ি ও সিজদা করি এবং তোমার দিকে ধাবিত হই 

৭.তোমার রহমতের আশা ও তোমার আযাবের ভয় অন্তরে রাখি। 

৮.নিশ্চয়ই তোমার আযাব (অবাধ্য) অবিশ্বাসীদের কাফেরদের উপরেই পতিত হবে




●নামাজের ফরজ কাজ ১৩টি :


●নামাযের বাহিরে ৭ ফরয-

১) শরীর পাক। 

২) কাপড় পাক। 

৩) নামাযের জায়গা পাক। 

৪) সতর ঢাকা। 

৫) ক্বিবলামুখী হওয়া ।

৬) ওয়াক্তমত নামায পড়া। 

৭) নামাযের নিয়্যাত করা।



●নামাজের ভিতরে ফরজ ৬টি :


১. তাকবিরে তাহরিম

২. দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া। 

৩. কিরাআত পড়া 

৪. রুকু করা

৫.দুই সিজদা করা

৬.আখেরী বৈঠক




●নামাজের কোনো ফরজ বাদ পড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। সাহু সিজদা করলেও নামাজ সহিহ হয় না।






●নামাজের ওয়াজিব ১৪টি: 


১) আলহামদু শরীফ পুরা পড়া। 

২) আলহামদুর সঙ্গে সূরা মিলানো। 

৩) রুকু, সিজ্দায় দেরী করা। 

৪) রুকু, হইতে সোজা হইয়া খাড়া হওয়া।

৫) দুই সিজ্দার মাঝখানে সোজা হইয়া বসা।

৬) দরমিয়ানী বৈঠক। 

৭) দোন বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। 

৮) ইমামের জন্য ক্বিরাআত আস্তে এবং জোরে পড়া।

৯) বিতরের নামাযে দু'আয়ে কুনূত পড়া। 

১০) দুই ঈদের নামাযে ছয় ছয় তাকবীর বলা ।

১১) ফরয নামাযের ১ম দুই রাক'আতকে ক্বিরাআতের জন্য নির্ধারিত করা।

১২) প্রত্যেক রাক'আতের ফরযগুলির তারতীব ঠিক রাখা।

১৩) প্রত্যেক রাক‘আতের ওয়াজিবগুলির তারতীব ঠিক রাখা। 

১৪) “আসসালামু আলাইকুম” বলিয়া নামায শেষ করা।



বি.দ্র.- উল্লেখিত ওয়াজিবসমূহের মধ্য হতে কোন একটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। সিজদায়ে সাহু না করলে বা ইচ্ছাকৃত কোন ওয়াজিব তরক করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। পুনরায় পড়া ওয়াজিব হবে।




●সাহু সেজদার নিয়ম: 




●কাযা নামাজের নিয়ম: 





●নামাজের সুন্নত এ মুয়াক্কাদা ১২টি: 


১) দুই হাত উঠানো।

২) দুই হাত বাঁধা। (মেয়েদের জন্য দুই হাত রাখা।)

৩) ছানা পড়া ।

৪) আ'উজুবিল্লাহ্ পড়া।

৫) বিসমিল্লাহ পড়া।

৬) আল্হামদুর শেষে “আমীন” বলা।

৭) প্রত্যেক উঠা বসায় “আল্লাহু আকবার” বলা ।

৮)রুকু'র তাসবীহ পড়া। 

৯) রুকু’ হইতে উঠিবার সময়। বলা। (তাসমী ও তাহমীদ পড়া) 

১০) সিজদার তাসবীহ পড়া। 

১১) দুরূদ শরীফ পড়া।

১২) দু'আয়ে মাছুরা পড়া




●যদি ভুলবশত কোনো সুন্নত ছুটে যায়, তবে এতে নামাজ নষ্টও হবে না। সিজদায়ে সাহুও ওয়াজিব হবে না এবং গোনাহও হবে না।




●নামাজ ভঙ্গের কারন ১৯টি: 


১.  নামাযে অশুদ্ধ পড়া। 

২.  নামাযের ভিতর কথা বলা। 

৩.  কোন লোককে সালাম দেওয়া। 

৪.  সালামের উত্তর দেওয়া। 

৫.  উহঃ আহঃ শব্দ করা। 

৬.  বিনা উযরে কাশি দেওয়া। 

৭.  আমলে কাছীর করা। 

৮.  বিপদে কি বেদনায় শব্দ করিয়া কাদা। 

৯.  তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় সতর খুলিয়া থাকা। 

১০. মুক্তাদি ব্যতীত অপর ব্যক্তির লুকমা নেওয়া। 

১১. সুসংবাদ ও দুঃসংবাদের উত্তর দেওয়া। 

১২. নাপাক জায়গায় সিজদা করা। 

১৩. ক্বিবলার দিক হইতে সীনা ঘুরিয়া যাওয়া। 

১৪. নামাযে কুরআন শরীফ দেখিয়া পড়া। 

১৫. নামাযে শব্দ করিয়া হাসা। 

১৬. নামাযে দুনিয়াবী কোন কিছুর প্রার্থনা করা। 

১৭. হাচির উত্তর দেওয়া (জওয়াবে “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলা)। 

১৮. নামাযে খাওয়া ও পান করা। 

১৯. ইমামের আগে মুক্তাদি দাড়ানো বা খাড়া হওয়া




●নামাজ কবুল হয় না ১৬ শ্রেণীর মানুষ: 



1. ইমান নাই 2. সুন্নাহ অনুযায়ী 3. ইখলাস ব্যক্তি: 

1. নতুন মুসলমান মুশরিক, যদি সে ইসলাম ও ইসলামী সমাজে ফিরে না আসে

১। পবিত্র ছাড়া সালাত আদায়কারী

২। পলাতক ক্রীতদাস।  যে গোলাম তার মালিককে না জানিয়ে পালিয়েছে, বা ভাইদের মধ্যে মারামারি করেছে 

৩।। নারী, যাদের উপর স্বামী সারা রাত সন্তুষ্ট হয় না।

এমন স্ত্রী, যার স্বামী তার উপর রাগ করে আছে। স্ত্রী স্বামীকে সর্বদা খোশ রাখবে, তার (ভালো কথা ও কাজে) আনুগত্য করবে, তার সব কথা মেনে চলবে, যৌনসুখ দিয়ে তাকে সর্বদা তৃপ্ত রাখবে, কোন বিষয়ে রাগ হলে তা সত্বর মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সব কিছুতে তাকে সন্তুষ্ট রাখবে -এটাই হল স্ত্রীর ধর্ম। মহানবী (ﷺ) বলেন, তোমাদের (সেই) স্ত্রীরাও জান্নাতী হবে, যে স্ত্রী অধিক প্রণয়িণী, সন্তানদাত্রী, বারবার ভুল করে বারবার স্বামীর নিকট আত্মসমর্পণকারিণী, যার স্বামী রাগ করলে সে তার নিকট এসে তার হাতে হাত রেখে বলে, আপনি রাজী (ঠান্ডা) না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাব না।” (সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৮৭ নং)


কিন্তু এমন বহু মহিলা আছে, যারা তাদের স্বামীর খেয়ে-পরেও এমন রাগ-রোষকে পরোয়া করে না। নারী-স্বাধীনতার পক্ষপাতিনী স্বামীর সংসারেও পরম স্বাধীনতা-সুখ ভোগ করতে গিয়ে স্বামীকে নারাজ রাখে। ফলে বিশ্বস্বামীও নারাজ হন এবং সেই স্ত্রীর শয্যাসঙ্গী স্বামীকে খোশ করার আগে নামায পড়লেও সে নামাযে তিনি খোশ হন না। কারণ, ‘হুকূকুল ইবাদ’ আদায় না করা পর্যন্ত মহান আল্লাহ বান্দার তাওবাতে সন্তুষ্ট হন না। যার প্রতি অন্যায় করা হয়, তার নিকট আগে ক্ষমা পেলে তবেই মহান আল্লাহ ক্ষমা করেন। নচেৎ না।


৪। ইমাম, যার উপর লোকেরা সন্তুষ্ট নয়, ন্যায় সঙ্গত কারণে।  

এমন লোক যে কারো বিনা অনুমতি ও আদেশেই কারো জানাযা পড়ায় (ইমামতি করে)। এমন ইমাম, যার ইমামতি অধিকাংশ মুক্তাদীরা পছন্দ করে না। তার পিছনে নামায পড়তে তাদের রুচি হয় না। ইমামতিতে ভুল আচরণ অথবা চরিত্রগত কোন কারণে অধিকাংশ লোকে তাকে ইমামতি করতে দিতে চায় না। এমন ইমামের নামায তার কান অতিক্রম করে না, মাথার উপরে যায় না, আকাশের দিকে ওঠে না, সাত আসমান পার হয়ে আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়া তো বহু দূরের কথা। 


মহানবী (ﷺ) বলেন, “তিন ব্যক্তির নামায তাদের কান অতিক্রম করে না; পলাতক ক্রীতদাস, যতক্ষণ না সে ফিরে এসেছে, এমন স্ত্রী যার স্বামী তার উপর রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রিযাপন করেছে, (যতক্ষণ না সে রাজী হয়েছে), (অথবা যে স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্য চরণ করেছে, সে তার বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত) এবং সেই সম্প্রদায়ের ইমাম, যাকে লোকে অপছন্দ করে।” (তিরমিযী, সুনান, ত্বাবারানী,হাকেম, মুস্তাদরাক, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৮৮, ৬৫০নং)


৫।এমন লোক, যে কোন গণকের কাছে ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ জানার আশায় গণককে ‘ইলমে গায়বের মালিক’ মনে করে হাত দেখায়। এমন ব্যক্তির -কেবল গণকের কাছে যাওয়ার কারণেই- তার ৪০ দিনের (২০০ ওয়াক্তের) নামায কবুল হয় না! তার উপর গণক যা বলে তা বিশ্বাস করলে তো অন্য কথা। বিশ্বাস করলে তো সে মূলেই ‘কাফের’-এ পরিণত হয়ে যায়। আর কাফেরের নামায-রোযা অবশ্যই মকবূল নয়।


মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন গণকের নিকট উপস্থিত হয়ে কোন (ভূত-ভবিষ্যৎ বা গায়বী) বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, সে ব্যক্তির ৪০ দিনের নামায কবুল হয় না।” (মুসলিম, সহীহ ২২৩০নং)


মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন গণক বা জ্যোতিষীর নিকট উপস্থিত হয়ে সে যা বলে তা সত্য মনে (বিশ্বাস) করল, সে ব্যক্তি মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর অবতীর্ণ (কুরআনের) প্রতি কুফরী করল।” (আহ্‌মদ,হাকেম, সহীহুল জামে’ ৫৯৩৯নং)


৬। শারাবী, মদ্যপায়ী:-


মহানবী (ﷺ) বলেন, “আমার উম্মতের যে ব্যক্তি মদ পান করবে, আল্লাহ তার ৪০ দিন নামায কবুল করবেন না।” (নাসাঈ, সুনান, জামে ৭৭১৭ নং)


৭। এমন নামাযী, যে নামায পড়ে কিন্তু নামায চুরি করে। দায় সারা করে পড়ে। ঠিকমত রুকূ-সিজদাহ করে না। রুকূতে স্থির হয় না, সিজদায় স্থির থাকে না। কোমর বাঁকানো মাত্র তুলে নেয়। ‘সু-সু-সু’ করে দুআ পড়ে চটপট উঠে যায়! কারো কোমর ঠিকমত বাঁকে না। মাথা উঁচু করেই রুকূ করে। কারো সিজদার সময় নাক মুসাল্লায় স্পর্শ করে না। কারো পা দু’টি উপর দিকে পাল্লায়হাল্কা হওয়ার মত উঠে যায়। কেউ রুকূ ও সিজদার মাঝে স্থির হয়ে দাঁড়ায় না।হাফ দাঁড়িয়ে সিজদায় যায়।


মহানবী (ﷺ) বলেন, “হে মুসলিম দল! সে ব্যক্তির নামায হয় না, যে ব্যক্তি রুকূ ও সিজদাতে নিজ পিঠ সোজা করে না।” (আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫২৪ নং)


“আল্লাহ সেই বান্দার নামাযের দিকে তাকিয়েও দেখেন না, যে রুকূ ও সিজদার মাঝে নিজ পিঠকে সোজা করে (দাঁড়ায়) না।” (আহমাদ, মুসনাদ ৪/২২, ত্বাবারানী, সহিহ তারগিব ৫২৫, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৫৩৬ নং)


“মানুষ ৬০ বছর ধরে নামায পড়ে, অথচ তার একটি নামাযও কবুল হয় না! কারণ, হয়তো বা সে রুকূ পূর্ণরুপে করে, কিন্তু সিজদাহ পূর্ণরুপে করে না। অথবা সিজদাহ পূর্ণরুপে করে, কিন্তু রুকূ ঠিকমত করে না।” (আসবাহানী, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৫৩৫ নং)


“নামায ৩ ভাগে বিভক্ত; এক তৃতীয়াংশ পবিত্রতা, এক তৃতীয়াংশ রুকূ এবং আর এক তৃতীয়াংশ হল সিজদাহ। সুতরাং যে ব্যক্তি তা যথার্থরুপে আদায় করবে, তার নিকট থেকে তা কবুল করা হবে এবং তার অন্যান্য সমস্ত আমলও কবুল করা হবে। আর যার নামায রদ করা হবে, তার অন্য সকল আমলকে রদ্দ্‌ করে দেওয়া হবে।” (বাযযার, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৫৩৭ নং)


৮। আযান শুনেও যে নামাযী বিনা ওজরে মসজিদের জামাআতে নামায পড়ে না-


জামাআতে নামায পড়া ওয়াজেব। এই ওয়াজেব ত্যাগ করলে তার নামায কবুল নাও হতে পারে। মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি আযান শোনা সত্ত্বেও মসজিদে জামাআতে এসে নামায আদায় করে না, কোন ওজর না থাকলে সে ব্যক্তির নামায কবুল হয় না।” (আবূদাঊদ, সুনান ৫৫১, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৬৩০০ নং)

৯। এমন মহিলা, যে আতর বা সেন্ট মেখে মসজিদের জন্য বের হয়:-

এমন মহিলা যতক্ষণ পর্যন্ত না নাপাকীর গোসল করার মত গোসল করেছে ততক্ষণ পর্যন্ত তার নামায কবুল হবে না।

৪৪।মহিলাদের জন্য মাথায় ওড়না) ছাড়া সালাত আদায়কারী নারী

১০ পিতামাতার অবাধ্য সন্তান।

১১। দান করে যে দানের কথায় গর্ব ভরে প্রচার করে বেড়ায়।দান করে খোটা দেয়। 

১২। তকদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তি। (ত্বাবারানী, জামে ৩০৬৫ নং)

১৩ পরের বাপকে যে নিজের বাপ বলে দাবী করে। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ)

১৪। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে হ্‌ত্যা করে এবং তাতে সে গর্ববোধ করে ও খুশী হয়। (বায়হাকী ৮/২১, জামে ৬৪৫৪ নং)

১৫। খুনের বদলে খুনের বদলা নিতে যে ব্যক্তি (শাসন কর্তৃপক্ষকে) বাধা দেয়। (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, জামে ৬৪৫১ নং)

১৬। যে ব্যক্তি মদ্বীনায় কোন বিদআত কাজ করে অথবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দেয়। অথবা কোন দুষ্কর্ম করে বা দুষ্কৃতিকে আশ্রয় দেয়।মদীনায় ফেতনা সৃষ্টিকারী

১৭। যে ব্যক্তি মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ ১৩৭০ নং)

১৮।লোক-দেখানো নামাজ কবুল হয় না।

১৯। হারাম পথে উপার্জনকারী।হারাম খাদ্য গ্রহণকারি

২০।শাসক যে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তার প্রজাদের পরিচালনা করেন না।




উপর্যুক্ত ব্যক্তিবর্গের কোন ফরয-নফল নামায ও ইবাদতই (অথবা তওবা ও মুক্তিপণ কিয়ামতে) কবুল করা হবে না।



উজুতে ৪ ফরয-

১) সমস্ত মুখ ধোয়া

২) দুই হাতের কনুইসহ ধোয়া।

৩) মাথা মাসাহ্ করা। 

৪) দুই পায়ের টাখনুসহ ধোয়া। 



উজু করার তরীক্বা-

১) উজুতে নিয়্যাত করা সুন্নাত । 

২) উজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত । 

৩) দুই হাতের কব্জিসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত ।

৪) মিওয়াক করা সুন্নাত । 

৫) তিনবার কুলি করা সুন্নাত ।

৬) তিনবার নাকে পানি দেওয়া সুন্নাত । 

৭) সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া সুন্নাত । 

৮) ঘন দাড়ি খিলাল করা মুস্তাহাব।

৯) দুই হাতের কনুইসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত । 

১০) দুই হাতের অঙ্গুলী খিলাল করা সুন্নাত । 

১১) সমস্ত মাথা একবার মাসাহ্ করা সুন্নাত। 

১২) দুই কান মাসাহ করা সুন্নাত । 

১৩) গর্দান মাসাহ্ করা মুস্তাহাব।বিদয়াত

১৪) দুই পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত।

১৫) দুই পায়ের অঙ্গুলী খিলাল করা সুন্নাত।

১৬) উজুর শেষে কালিমাই শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব।



গোসলের ফরজ তিনটি—

১.ভালোভাবে কুলি করা,

২.নাকের ভেতর পানি দেওয়া,

৩.পুরো শরীর ধৌত করা



ফরয গোসলের সুন্নাহ নিয়ম

(নিয়ত,বিসমিল্লাহ)

(১)ইস্তিঞ্জা করা

(২)নাপাক ধোত করা

(৩)অজু করা পা বাদে, সমস্ত শরির ভাল মতে ধুয়ে গোসল করা,গোসল শেষ এ পা ধুয়ে বের হওয়া।তাহলে অজু ফরজ গোসল দুইটাই হবে।



তায়াম্মুম




উজু ভঙ্গের কারণ ৭টি : 


১) পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া

২) মুখ ভরিয়া বমি হওয়া।

৩) শরীরের ক্ষতস্থান হইতে রক্ত, পুজ বা পানি বাহির হওয়া

8) থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া

৫) চিৎ বা কাৎ হইয়া হেলান দিয়া ঘুম যাওয়া।

৬) পাগল মাতাল ও অচেতন হওয়া।

৭) নামাযে উচ্চৈঃস্বরে হাসা।

৮)গোসল ফরয হয় এমন কিছু ঘটে যাওয়া

৯)লজ্জাস্থান স্পর্শ করা

১০)উটের মাংস ভক্ষণ





উল্লিখিত বিষয়সমূহ দ্বারা তায়াম্মুম ভাঙ্গিয়া যাইবে।উল্লেখ্য যে, উজুর পরিবর্তে যদি তায়াম্মুম করিয়া ব্যবহারে সক্ষম হইলেও তায়াম্মুম ভাঙ্গিয়া যায়





দুরুদ- صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّم


১.আউযুবিল্লাহ-- أَعُوذُ بِاللَّهِ


১. বিসমিল্লাহ (بِسْمِ اللّهِ)

বিসমিল্লাহ অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু।

তাৎপর্য: আল্লাহর বারাকাহ ও নিরাপত্তা অর্জন।    


২. আলহামদুলিল্লাহ (الْحَمْدُ لِلّٰهِ)

আলহামদুলিল্লাহ অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর।

তাৎপর্য: আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া আদায় করা।        


৩. সুবহানাল্লাহ (سُبْحَانَ اللّٰهِ)

সুবহানাল্লাহ অর্থ: আল্লাহ পবিত্র।

তাৎপর্য: মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা।       


৪. আল্লাহু আকবার (اللّٰهُ أَكْبَرُ) 

আল্লাহু আকবার অর্থ: আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

তাৎপর্য: আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা ও সবকিছুর উপরে আল্লাহকে স্থান দেয়া।       


৫. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰه)

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ (মাবুদ) নেই।   

তাৎপর্য: আল্লাহর এককত্ব ঘোষণা করা এবং তার সাথে অন্য কাউকে শরীক না করা।       


৬. জাজাকাল্লাহু খাইরান   

(ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍللهُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)

জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থ: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।       

তাৎপর্য: অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।


৭. মাশাআল্লাহ (ما شاء الله)

মাশাআল্লাহ অর্থ: আল্লাহ যেমন চেয়েছেন।

 তাৎপর্য: আল্লাহর প্রশংসা করা। 


৮. ইনশাআল্লাহ (ان شاء الله)

ইনশাআল্লাহ অর্থ: যদি আল্লাহ চান।

তাৎপর্য: আল্লাহর উপর ভরসা কর। 


৯. আস্তাগফিরুল্লাহ (أَستَغْفِرُ اللهَ)

আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

তাৎপর্য: আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া ও তাওবাহ করা।  


১০.  ফি আমানিল্লাহ্ আল্লাহ হাফেয সুন্নাহ নাহ


১১.বিদায় এর সুন্নত: আছতাওউ"ল্ল-হ

أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكُم وَأَمَانَتَكُمْ وَخَوَاتِيْمَ أَعْمَالِكُمْ-

অর্থ: ‘আমি আপনার দ্বীন, আপনার আমানত সমূহ ও আপনাদের শেষ আমল সমূহকে আল্লাহর যিম্মায় ন্যস্ত করলাম


১১. নাউযুবিল্লাহ (نعوذ بالله)

নাউজুবিল্লাহ অর্থ: আল্লাহর কাছে এথেকে আশ্রয় চাই।

তাৎপর্য: মন্দ কিছু শুনলে কিংবা দেখলে এথেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা।


১২. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ  

(لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ)

অর্থ: আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ব্যতীত আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই।

তাৎপর্য: আল্লাহর এককত্ব ও বড়ত্ব প্রকাশ।  


১৩. ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি র-জিউন 

(إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ) 

অর্থ: নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাবো। 

তাৎপর্য: মৃত্যু ও পরকালের স্মরণ।

©️১৪.হাচির জবাবে  ইয়ারহামুকাল্লাহঃ-يَرْحَمُكَ اللهِ


খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেল: বিসমিল্লাহি আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহু













তওবার দোয়া : 


أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَا إِلٰهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ


অর্থ : মহান আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর কাছে তাওবা করি।



ইসতেগফার


اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ, لَا إِلٰهَ إلاَّ أَنْتَ, خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ

 وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ, وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ،.

 أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ،

 أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ, وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ, فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُا لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ


অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস।

আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি।

 আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 

আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। 

অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর।কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’



ইসমে আজম: 

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِأَنِّيْ أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللّٰهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُا كُفُوًا أَحَدٌ 


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা, বিআন্নী আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল আ'হাদুস সামাদ, আল্লাজী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান আ'হাদ। 


অর্থাৎ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি। নিশ্চয় আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনিই আল্লাহ। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি একক, অমুখাপেক্ষী যিনি কাউকে জন্ম দেন নি, তার থেকে কেউ জন্ম নেন নি এবং তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।




১। তাবা-রকাল্লাযী- বিয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুওয়া আ"লা- কুল্লি শাইয়িং ক্বদী---র।

২।আল্লাযী- খলাক্বল মাওতা ওয়াল হা"য়া-তা লিইয়াবএলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহ"ছানু আ"মালা-।

ওয়া হুওয়াল আ"ঝী-ঝুল গফূ---র।

৩।আল্লাযী- খলাক্ব ছাবএআ" ছামা-ওয়া-তিং ত্বিবা-ক্ব-।

মা- তার- ফী- খলক্বির রহ"মা-নি মিং তাফা-উত।ফারজিই"ল বাছ্বর হাল তার- মিং ফুত্বু---র।

৪।ছু(ছা)ম্মার জিই"লবাছ্বর কাররতাইনি ইয়াংক্বলিবএ ইলাইকাল বাছ্বরু খ-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হা"ছী---র

৫।ওয়া লাক্বদএ ঝাইয়ান্নাছ ছামা(৪)আদ্দুনইয়া- বিমাছ্ব-বী-হা" ওয়াজাআ"লনা-হা- রুজূ-মাল লিশশাইয়া-ত্বী---ন।ওয়া আ"তাদএনা- লাহুম আ"যা-

বাছছাঈ"---র

৬।ওয়া লিল্লাযী-না কাফারূ-বিরব্বিহিম আ"যা- বুজাহান্নাম।ওয়াবি'ছাল মাছ্বী---র।

৭।ইযা---উলক্বু-ফী-হা- ছামিউ"- লাহা- শাহী-ক্বওঁ ওয়াহিয়া তাফূ---র।

৮।তাকা- দুতামাইয়াঝুমিনাল গই-জ্ব।কুল্লামা---উলক্বিয়া ফী-হা- ফাওজুং ছাআলাহুম খঝানাতুহা---আলাম ইয়া'তিকুম নাযী---র।

৯।ক্ব- লূ-বালা- ক্বদএ জা(৪)আনা- নাযী---র। ফাকাযযাবএনা- ওয়া ক্বুলনা- মা- নাঝঝালাল্ল-হু মিং শাইয়ি-।ইন আংতুম ইল্লা- ফী- দ্বলা- লিং কাবী---র।

১০।ওয়া ক্ব-লূ-লাও কুন্না- নাছমাউ" আও নাআ"ক্বিলুমা- কুন্না-ফী---আছ্বহা"-বিছছাঈ"---র।



১১।ফাআ"তারফূ-বিযামবিহিম। ফাছুহ"ক্বল্লিআছ্বহা"- বিছছাঈ"---র।

১২।ইন্নাল্লাযী-না ইয়াখশাওনা রব্বাহুম বিলগইবি লাহুমমাগফিরতুও ওয়া আজএরুং কাবী---র।

১৩।ওয়া আছিররূ-ক্বওলাকুম আউইজএহারূ-বিহ। ইন্নাহূ-আ"লী-মুম বিযা- তিছ্বছ্বদূ---র।

১৪।আলা- ইয়াআ"লামু মান খলাক্ব। ওয়া হুওয়াল লাত্বী-ফুল খবী---র।

১৫।হুওয়াল্লাযী- জাআ"লা লাকুমুল আরদ্ব যালূ-লা। ফামশূ-ফী- মানা-কিবিহা- ওয়া কুলূ-মির রিঝক্বিহ। ওয়া ইলাইহিন্নুশূ---র।

১৬।আ আমিংতুম মাং ফিছছামা(৪)ই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদ্ব ফাইযা- হিয়া তামূ---র।

১৭।আম আমিংতুম মাং ফিছছামা(৪)ই আইঁ ইউরছিলা 'আ"লাইকুম হা"-ছ্বিবা-। ফাছাতাআ"লামূ-না কাইফা নাযী---র

১৮।ওয়া লাক্বদ কাযযাবাল্লাযী-না মিং ক্ববলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকী---র।।।।

১৯।আওয়ালাম ইয়ারও ইলাত্বত্বইরি ফাওক্বহুম ছ্ব(৪)ফফা-তিওঁ ওয়াইয়াক্ববিদ্বন । মা-ইউমছিকুহুন্না ইল্লাররহ"মা---ন।ইন্নাহূ-বিকুল্লি শাইয়িং বাছ্বী---র।

২০।আম্মান হা-যাল্লাযী- হুওয়া জুংদুল্লাকুম ইয়াংছ্বরুকুম মিং দূ- নিররহ"মা---ন।ইনিল কা-ফিরূ-না ইল্লা- ফী- গুরূ---র।





২১।আম্মান হা- যাল্লাযী- ইয়ারঝুক্বুকুম ইন আমছাকা রিঝক্বহ। বাল্লাজ্জূ-ফী- 'উ"তুওওয়িও ওয়া নুফূ---র।

২২।আফামাইঁ ইয়ামশী- মুকিব্বান 'আ"লা- ওয়াজহিহী--- আহদা--- আম্মাইঁ ইয়ামশী- ছাওয়ি ইয়ান আ"লা-ছ্বির-ত্বিমমুছতাক্বী---ম।

২৩।ক্বুল হুওয়াল্লাযী---আংশাআকুম ওয়া জাআ"লা লাকুমুছছামআ" ওয়াল আবছ্ব-র ওয়াল আফ ইদাহ। ক্বলী-লামমা-তাশকুরূ---ন।

২৪।ক্বুল হুওয়াল্লাযী- যারআকুম ফিল আরদ্বীওয়া ইলাইহি তুহ"শারূ---ন

২৫।ওয়া ইয়াক্বু-লূ-না মাতা-হা-যাল ওয়াআ"দু

ইং কুংতুম ছ্ব-দিক্বী---ন।

২৬।ক্বুল ইন্নামাল 'ই"লমু ই"ংদাল্ল- হি ওয়া ইন্নামা--- আনা- নাযী-রুম্মুবী---ন।

২৭।ফালাম্মা-রআওহু ঝুলফাতাং ছী(৪)আত ঊজূ-হুল্লাযী-না কাফারূ-ওয়া ক্বি-লা হা-যাল্লাযী- কুংতুম বিহী- তাদ্দাঊ"---ন।

২৮।ক্বুল আরআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্ল-হু ওয়া মাম্মাই"ইয়া আও রহি"মানা- ফামাইঁ ইউজী-রুল কা-ফিরী-না মিন ‘আ"যা-বিন আলী---ম।

২৯।ক্বুল হুওয়াররহ"মা-নু আ-মান্না-বিহী- ওয়াআ"লাইহি তাওয়াক্কালনা-। ফাছাতাআ"লামূ-না মান হুওয়া ফী- দ্বলা-লিম মুবী---ন।

৩০।ক্বুল আরআইতুম ইন আছ্ববাহা" মা(৪)উকুম গওরং ফামাইঁ ইয়া''তী-কুম বিমা(৪)ইম মাঈ---ন।






ক্ব,ত্ব,জ্ব,ছ্ব,দ্ব

ক্ব,ত্ব,জ্ব,ছ্ব,দ্ব

ক্ব,ত্ব,জ্ব,ছ্ব,দ্ব



Comments

Popular posts from this blog

আসমাউল হুসনা

Tilismati Duniya